এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > অপরাজিতা > গুরুদেব সহায় – ( লাভ স্টোরি ) – কলমে-অপরাজিতা -পর্ব- ৫

গুরুদেব সহায় – ( লাভ স্টোরি ) – কলমে-অপরাজিতা -পর্ব- ৫


মায়ের রাগও কম নয়, তিনি ছেলেকে ডাকলেনও না। কমলবাবু দুজনকে অনেক সাধ্যসাধনা করলেন। কাজ হলো না তিনিও শুয়ে পড়লেন। না রাখির কোনো বিকার নেই সে সাউন্ড কমিয়ে সিরিয়াল দেখেছে। খেয়েছে শুয়েছে। সকালেও ছেলে উঠে না খেয়ে বেরিয়ে গেলো। মা যদিও অনেকবার বলেছে খায়নি।কেননা ফের সকালে মা শুরু করেছিল।ছেলে হাতছাড়া হয়ে গেছে এখনই। ওই মেয়েকে ঘরে তুললে ছেলে হয়তো আর মায়ের মুখ ও দেখবে না। সাথে বোঝাতে শুরু করেছিলেন- মেজমাসিও বলছে যে ওরা লোক ভালো হবে না। যারা সম্পর্কের শুরুতে মিথ্যা কথা বলে তারা ভালো মানুষ নয়।

প্রিয়াঙ্কা দি রাত্রে আসবে.ছোট পিসি সকালেই আসবে তাই আজ রাজর্সির ব্যাঙ্কে যাবার দরকার নেই। অন্যসময় হলে ভেবে দেখতো কিন্তু আজ যেতেই হবে শ্রীপর্ণাকে অনেকদিন দেখেনি। ওর সাথে দেখা করতেই হবে। অনেক কিছু প্ল্যান করেছে দুজনে। সারাদিন ঘুরবে- শপিং মল, ক্যাফে ,রেস্ট্রুরেন্ট, সিনেমা দেখবে এইসব। তাই যেতেই হবে ওকে। কিন্তু না মা নাছোড়বান্দা।

রাজর্ষি বললো- ছোট পিসি আসবে আসুক, আমি তাতে কি করবো। দেখা করে নেবো পরে। আমার কাজ আছে ব্যাঙ্কে।

মা- তোর সাথে কথা বলতেই আসছে।

রাজর্ষি – আমার সাথে?

মা – হ্যাঁ। ছোট পিসির ওই মেয়ে পছন্দ নয়। সেও তো বললো যে রাজু এখন থেকেই সেই মেয়ের হয়ে এত কান্ড করছে বিয়ে হলে আমার মুখ দেখবে না। সেই মেয়ে যা বোঝাবে তাই বুঝবে। তাছাড়া সৎ মায়ের মেয়ে সে তো এমনিতেই ভালো হবে না।

মাথায় রাগ উঠলো রাজর্ষির। বললো তাহলে আমাকে এই সব বলতে আসছে ছোট পিসি। শোনো কে কি ভাবলো, কে কি বললো আমার কিছু আসে যায় না। আমি শ্রীপর্ণাকেই বিয়ে করবো আর কাউকে নয়। ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে গেলো। মায়ের হাজার কথাও কানে তুললো না। বাবা নির্বিকার।

ছেলেকে বড্ডো বেশি আগলে রাখতো রাজর্সির মা। তাই নিয়ে অনেকবার মানা করেছিলেন কমলবাবু। বলেছিলেন ছেলে বড় হয়েছে তাকে তার মতো থাকতে দাও। সব ব্যাপারে নাক গলিওনা। তার কি পছন্দ সে দিকেও গুরুত্ত্ব দাও। বিয়ে যখন সে করবে তার পছন্দ টাও তো সম্মান করা উচিত। মা বলেছিলেন ও এত বুঝবে না। আমি যা বলবো তাই হবে। রাজর্ষিও তখন কোনো কথা বলে নি। এখন যখন পরিস্থিতি এমন হয়েছে তখন মেনে নেওয়াই তো ভালো। অনেক বুঝিয়েছেন কাল রাত থেকে। এখনো বোঝাচ্ছেন স্ত্রীকে। না সে বুঝবে না।

অবশ্য সবটাই যে তার দোষ তা নয়। তার চারপাশের মানুষ জন এই সুযোগে নিজেদের ক্ষুদ্র জ্ঞান নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন রাজর্ষির মাকে বোঝাতে। ছেলে বিয়ের আগেই এই মেয়ের জন্য পাগল। বিয়ে হলে কি না করবে এই মেয়ের জন্য। এইসব অযৌতিক কথাবার্তা।

মা ফের কাঁদতে বসলো, বাবা হাজার বুঝিয়েও কিছু হাল বের করতে পারলো না। এদিকে আজ আবার ডাক্তারকে দেখানোর দিন আছে কমল বাবুর। তিনিও একটু পরেই বেরিয়ে যাবেন। ছোট বোন মঞ্জু আসবে সেখানেই চিন্তা সেও খুব একটা সুবিধার মানুষ নয়। আবার ডাক্তারের কাছে না গেলেও নয়, ডেট পেতে অনেক দেরি হয়। অনেকে কষ্টে ডেট পাওয়া গেছে। যা হয় হোক ডাক্তার দেখিয়ে এসেই যা করার করবেন। তিনিও বেরিয়ে গেলেন।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

ছোট পিসি এসেছেন তিনিও হায় হায় করছেন। কি সর্বনাশ হয়ে গেলো। ছেলে একবারে পাগল হয়ে গেলো। কি হবে এবার। তিনি কোনো গুরুর কাছে গিয়েছিলেন তিনি বলেছেন সামনের অমাবস্যায় কি যজ্ঞ করবেন তারপর একটা তাবিজ দেবেন তা পড়ালেই এইসব মাথা থেকে নেমে যাবে। যেন বৌদি চিন্তা না করে , যদিও মঞ্জুর গুরুদেবের উপরে তেমন ভরসা নেই অনিমার। একবার গিয়েছিলেন বড্ডো গায়ে পড়া মনে হয়েছে। আর বেশি বাজে কথা বলে শক্ত পোক্ত কাজ কর্ম। ভালো লাগে না। তবুও বিপদে যেই এগিয়ে আসবে তাকেই ভালো লাগে তেমনটাই আরকি। যদি এতে কাজ হয় তবে তাই হবে।

মঞ্জু – আচ্ছা বৌদি – ওদের তো ফোন নম্বর আছে তুমি ফোন করে ঝাড়তে পারলে না।

অনিমা – তোমার দাদার কাছে ছিল। আমার কাছে নেই। আর মাথায় ছিল না।

মঞ্জু – কেমন অসব্য লোকজন রে বাবা। সম্পত্তি আছে দেখে মেয়েকে লেলিয়ে দিয়েছে। আমি বলছি বৌদি ও মেয়ে বাড়ি ঢুকেই হাঁড়ি আলাদা করবে। ওসব মায়ের চাল। দেখবে রাজুকে নিঃস্ব করে ছেড়ে দেবে।

অনিমা – আমি কি করবো বলো তো, তোমার দাদা ও তো বলছে ছেলে রাজি যখন তখন হ্যা করে দাও। বস আমি চা করে আনি।

মঞ্জু- তুমি কেন? রাখি কোথায় ?

অনিমা – লক্ষ্মীর শরীর খারাপ, দেখতে গেছে।

বলতে বলতেই বেল বাজলো। রাখি ঢুকলো। সে চা করে নিয়ে এলো। সাথেই যা বললো বড়সড় বাজ পড়লো অনিমার মাথায়। রাখি মঞ্জু আর অনিমার কথা শুনছিলো। বললো -দাদা অফিসে যায়নিকো, ওই মেয়েটার সাথে দেখা করতে গেছে।

অনিমা- চমকে – তুই কি করে জানলি?

রাখি- প্রায় দাদার সাথেই তো আমি বেরোলাম , তখনিই শুনলাম দাদা ফোন করে বলছে ওই মেয়েটাকে।

মঞ্জু- কি সর্বনেশে মেয়ে গো, ছি ছি

অনিমা- এতদূর?না আর সহ্য করবো না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!