গুরুংকে কাছে টেনে শুধু পাহাড় নয়, এবার সমতলেও বাজিমাতের ভাবনায় মমতা! শুরু নতুন পরিকল্পনা উত্তরবঙ্গ তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য October 29, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন অন্তরালে থাকার পর অবশেষে পর্দার সামনে এসেছেন বিমল গুরুং। তৃণমূলের সঙ্গে তার মতানৈক্যের জন্য পাহাড়ের রাজনীতিতে নানা ঘটনা ঘটে গেলেও, এবার এনডিএ ছেড়ে সেই তৃণমূলের হাত ধরার কথা শোনা গেছে তার গলায়। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণ হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তৃণমূলের পক্ষ থেকেও সেই বিমল গুরুংকে স্বাগত জানানো হয়েছে। তবে এই বিমল গুরুং তৃণমূলের হয়ে সক্রিয় হলে তা তৃণমূলের কাছে যথেষ্ট স্বস্তির কারণ হবে বলেই দাবি করছে শাসকদলের ঘনিষ্ঠ মহল। কেননা গত বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরকে সমর্থন জুগিয়েছিলেন বিমল গুরুং। যার ফলে বেশিরভাগ আসনে জয়যুক্ত হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই এবার সেই বিমল গুরুং তৃণমূলের দিকে চলে আসায় ডুয়ার্সে তৃণমূল অনেকটাই ভালো ফল করবে বলে দাবি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় বিমল গুরুংয়ের ঘনিষ্ঠ অনুগামী এবং সর্মথকরা তাকে স্বাগত জানিয়ে নানা পোস্টার টাঙাতে শুরু করেছেন। তবে বিমল গুরুং তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বৃদ্ধি করার পর যেভাবে বিনয় তামাংকে সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে বিমল গুরুং যদি আবার সক্রিয় হন, তাহলে বিনয় তামাং এবং তার গোষ্ঠীদের ক্ষোভ বাড়তে পারে। আর তা যদি হয়, তাহলে অস্বস্তি বাড়তে পারে শাসক দলের বলে দাবি একাংশের। অনেকে বলছেন, বিমল গুরুং তৃণমূলের হয়ে সক্রিয় হলে পাহাড়ের পাশাপাশি সমতলেও শাসক দলের ভাবমূর্তি অনেকটাই পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে। কেননা পাহাড়ে যেমন তার একটা আধিপত্য রয়েছে, ঠিক তেমনই সমতলে ভোটব্যাঙ্কে এর প্রভাব কিছুটা হলেও পড়বে। আর বিমল গুরুংয়ের এই সক্রিয়তা এখন শাসকদলের কাছে পাহাড়ের পাশাপাশি সমতলের জন্যও আশার আলো দেখাতে শুরু করেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে মাদারিহাটের বীরপাড়ার বিমল গুরুং ঘনিষ্ঠ মোর্চার শ্যাম থাপা বলেন, “আমাদের এখন একটাই লক্ষ্য বিমল গুরুংকে স্বাগত জানানো। আমরা আশাবাদী, খুব তাড়াতাড়ি তিনি ডুয়ার্সে এসে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তাকে স্বাগত জানাতে আমাদের এখন জোর প্রস্তুতি চলছে।” এদিকে এই ব্যাপারে আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, “বিমল গুরুং এলে শক্তি বৃদ্ধি হবে ঠিকই। তবে এই ব্যাপারে রাজ্য নেতৃত্ব নির্দিষ্ট করে বলতে পারবে।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূল কংগ্রেস আশায় রয়েছে যে গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে তাদের যে ভরাডুবি হয়েছিল, তা যাতে এবার সাফল্যের দিকে নিয়ে যাওয়া যায়। আর তাই গত লোকসভায় বিজেপিকে বাড়তি অক্সিজেন পাইয়ে দিতে বিমল গুরুংয়ের ভূমিকা থাকলেও, এবার সেই বিমল গুরুং তাদের দিকে চলে আসায় পাহাড়ের পাশাপাশি সমতলেও তাকে দিয়ে কাজ হাসিল করতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। সব মিলিয়ে বিমল গুরুংকে দিয়ে তৃণমূলের সাফল্য পাওয়ার মন্ত্র কতটা কাজে দেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -