এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > গুরুত্বপূর্ণ পদে বসতে চাওয়া হল বায়োডাটা, শুভেন্দুকে কোণঠাসা করতে বড় পদক্ষেপ তৃণমূলের!

গুরুত্বপূর্ণ পদে বসতে চাওয়া হল বায়োডাটা, শুভেন্দুকে কোণঠাসা করতে বড় পদক্ষেপ তৃণমূলের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়। যেখানে শুভেন্দু অধিকারীর অন্যতম ঘনিষ্ঠ মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মন্ডল তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করে যোগদান করেন কংগ্রেসে। পরবর্তীতে তিনি কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন। আর এরপর থেকেই ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস। বিধানসভা নির্বাচনে কি ফলাফল হয়, তার দিকে তাকিয়ে ছিলেন সকলে।

সেই মত করে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃণমূল তৃতীয় বার ক্ষমতায় বসতে না বসতেই এবার মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং সহ সভাধিপতি পদ নিয়ে তৎপরতা শুরু করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে আগ্রহী ব্যক্তিদের এই দুই পদে বসানোর জন্য সকলের কাছে বায়োডাটা চেয়ে পাঠাল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। স্বভাবতই মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের এই উদ্যোগকে ঘিরে এখন রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, মূলত স্বচ্ছ ভাবমূর্তির দুই ব্যক্তিকে সভাধিপতি এবং সহ-সভাধিপতি করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে অন্যান্য সদস্যদের কাছে বায়োডাটা চাওয়া হয়েছে। অর্থাৎ অনেকেই এই দুই পদ গ্রহণের জন্য ইচ্ছুক হয়ে রয়েছে। তবে যারা যারা এই পদ গ্রহণের জন্য ইচ্ছুক, তাদের সকলের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে তাদের কাছে বায়োডাটা চেয়ে তা রাজ্যস্তরে পাঠিয়ে দেবে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

অর্থাৎ গোটা বিষয়টিতে যাতে স্বচ্ছতা বজায় থাকে, তার চেষ্টা করছে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী বা মোশারফ হোসেন মন্ডলকে বার্তা দিতে এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই ঘাসফুল শিবিরের এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ সূত্র মারফত খবর, আগামী 16 জুন জেলা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ এই দুই পদের নির্বাচন রয়েছে। তবে তার আগে 15 তারিখে এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে তার আগে সবার কাছে অর্থাৎ যারা এই পদে বসার জন্য ইচ্ছুক, সেই সমস্ত সদস্যদের কাছ থেকে তাদের বায়োডাটা সংগ্রহ করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খান বলেন, “বায়ো ডাটা আমরা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠাব। তাদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ঠিক হবে, জেলা পরিষদের পরবর্তী সভাধিপতি এবং সহকারি সভাধিপতি পদে কে বসবেন।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, কথায় আছে, ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না। তৃণমূল কংগ্রেসে যখন শুভেন্দু অধিকারী ছিলেন, তখন তিনি নিজের মত করে এই জেলার দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছিলেন। এক্ষেত্রে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি মোশারফ হোসেন মন্ডল শুভেন্দু অধিকারীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার সাথে সাথেই মোশারফ হোসেন মন্ডলকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়।

পরবর্তীতে তিনি কংগ্রেসে যোগদান করায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই অতীত অভিজ্ঞতা নিয়ে বিরোধীদের বার্তা দিতে এবং মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সভাধিপতি এবং সহ-সভাধিপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে দলীয় সদস্যদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং সহ সভাধিপতি কে হন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!