এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দিলেন না হেভিওয়েট নেত্রী, পদ থেকে সরে গিয়ে বাড়িয়ে দিলেন জল্পনা, ব্যাপক চাপে বিজেপি!

গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দিলেন না হেভিওয়েট নেত্রী, পদ থেকে সরে গিয়ে বাড়িয়ে দিলেন জল্পনা, ব্যাপক চাপে বিজেপি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হওয়ার পর থেকেই বিজেপির ভাঙ্গন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠতে শুরু করেছে। গেরুয়া শিবিরের অন্যতম শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত আসানসোল। কিন্তু সেখানেও কিছুদিন আগে ব্যাপক নেতা-কর্মী যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। আর এবার দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আসানসোল জেলা বিজেপির সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দিতে দেখা গেল সুধাদেবীকে। রীতিমতো ফেসবুক পোস্ট করে নিজের এই ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়ে দিলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সুধাদেবীর মত হেভিওয়েট নেত্রী ইস্তফা দেওয়ার পরেই তার দলবলের জল্পনা ক্রমশ মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে।

যদিও বা এই ব্যাপারে দলবদল করার কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি এই বিজেপি নেত্রী। এক্ষেত্রে সাধারণ সদস্য হিসেবেই দলের সঙ্গে যুক্ত থেকে কাজ করার কথা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। তবে যে যাই বলুন না কেন, দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর সুধাদেবী যে তার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কর্মপন্থা সম্পর্কে খুব তাড়াতাড়ি বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ। স্বাভাবিক ভাবেই এই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্রমশ চাপ বাড়ছে ভারতীয় জনতা পার্টির।

সূত্রের খবর, বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হওয়ার পর বুধবার আসানসোল জেলা বিজেপির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সেখানে সম্পাদক সুধাদেবী অনুপস্থিত ছিলেন। আর তার আগেই রীতিমতো ফেসবুক পোস্ট করে নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়ে দেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই গেরুয়া শিবিরের মধ্যে এই নিয়ে রীতিমত তোলপাড় তৈরি হয়। কেন হঠাৎ করে তিনি তার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন?

এই প্রসঙ্গে হেভিওয়েট এই বিজেপি নেত্রী বলেন, “আট বছর ধরে আমি দল করছি। এই প্রথম দেখলাম আমাদের বিধানসভা ভোটে কোনো কাজে লাগানো হল না। দুই মাস হতে চলল। অথচ কারও কোনো হেলদোল নেই। কেন পরাজয় হল, তা নিয়ে আত্মসমালোচনার জন্য কোনো বৈঠক হয়নি। কিভাবে সংগঠনকে মজবুত করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে, তা নিয়েও উচ্চবাচ্য নেই। তাই আমি নিজেকে সরিয়ে নিলাম। আমি দল ছাড়ব না। সাধারণ কর্মী হিসেবে কাজ করে যাব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে হেভিওয়েট এই বিজেপি নেত্রী তার গুরুত্বপূর্ণ পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেই রীতিমতো চিন্তার ভাঁজ পড়ে গিয়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যে। বর্তমানে তিনি দলের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন বলে জানালেও, ভবিষ্যতে যদি তার সঙ্গে আলোচনা না করা হয়, তাহলে তিনি দলবদলের মত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলেও আশঙ্কা করছেন একাংশ। স্বাভাবিক ভাবেই এখন থেকেই সুধাদেবীর মানভঞ্জন করতে রীতিমত উঠেপড়ে লেগেছে গেরুয়া শিবির। এদিন এই প্রসঙ্গে আসানসোল জেলা বিজেপির আহ্বায়ক শিবরাম বর্মন বলেন, “ওনার একটু রাগ হয়েছে। আমরা বসে মিটিয়ে নেব।”

যদিও বা হেভিওয়েট এই বিজেপি নেত্রী তার পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই গোটা ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “খনি এলাকায় প্রায়শই ধ্বসের খবর শুনতে পাওয়া যায়। বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর সেই ধ্বস বিজেপিতে নামতে শুরু করেছে। কেউ দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন, কেউ বা আবার রাতারাতি সমস্ত পদ থেকেই ইস্তফা দিচ্ছেন।”

বস্তুত, বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হওয়ার পরেই বিজেপির অনেক হেভিওয়েট নেতা-নেত্রী বেসুরো হতে শুরু করেছেন অনেকেই দলবদলের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর এই পরিস্থিতিতে দলের যোগ্য সম্মান না পাওয়ার কারণে কার্যত নিজের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে ইস্তফা দিতে দেখা গেল সুধাদেবীকে। যার ফলে আসানসোলের মত শক্ত ঘাঁটি নিয়েও গেরুয়া শিবিরের চিন্তা ক্রমশ বাড়ছে বলেই দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। তবে অভিমানী সুধাদেবীর মানভঞ্জন করতে বিজেপির পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!