গুটিয়ে আসছে সরদার জাল? এবার ঘুম উড়তে চলেছে একের পর এক ‘রাঘববোয়ালদের’? ক্রমশ তীব্র জল্পনা বর্ধমান রাজ্য July 31, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রায় সাত বছর আগে বহুচর্চিত সারদা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন দেবযানী মুখোপাধ্যায় সহ সুদীপ্ত সেন। তারপর রাজ্যে সারদাকাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যে প্রচুর জলঘোলা হয়েছে। শাসকদলের অনেক হেভিওয়েট নেতা নেত্রীর নাম সারদা-কাণ্ডে জড়িয়েছে। এখনও সিবিআই দপ্তরে নিয়মিত হাজিরা দিতে হয় তাঁদের অনেককেই। তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে উল্লেখযোগ্যভাবে আবারও সারদা তদন্ত নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু হল। আট মাস পর সিবিআই এর তরফ থেকে এবার সারদার তদন্তের জাল গোটানোর পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হলো বলে জানা যাচ্ছে। গত মঙ্গলবার সেই সূত্রে অবসরপ্রাপ্ত রাজ্য পুলিশের ডিএসপি দিলীপ হাজরার বর্ধমানের বাড়িতে খানাতল্লাশি চালালো সিবিআই। তবে বর্তমানে লকডাউন চলার জন্য সিবিআই এর কলকাতা জোন দিল্লি থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে এসেছে বলে খবর। শুধু তাই নয়, তদন্তকারী অফিসারেরা মাস্ক এবং স্যানিটাইজার সাথে নিয়েই তল্লাশিতে যান বলে জানা গেছে। এমনকি তল্লাশির সময় দূরত্ববিধিও মেনে চলা হয়েছে বলে সিবিআই দাবি করেছে। প্রাক্তন ডিএসপির বিরুদ্ধে অভিযোগ সারদা তদন্তে রাজ্য সরকারের গঠন করা সিটের হয়ে তিনি তদন্ত চালিয়েছিলেন বহুদিন। কিন্তু সুদীপ্ত সেন এবং দেবযানী মুখোপাধ্যায় বয়ানে জানিয়েছিল, পুলিশ কোন কোন নথি বাজেয়াপ্ত করেছে। পরবর্তীকালে সিটের তরফ থেকে মামলা চলে যায় সিবিআইয়ের হাতে। এবং তখন সিবিআই দেখে সুদীপ্ত দেবযানীর বয়ান অনুযায়ী বহু নথিপত্র তাঁদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। বিশেষ করে যেসব নথির সঙ্গে প্রভাবশালীদের যোগাযোগ রয়েছে সেই নথিগুলি বাদ হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - দিলীপ হাজরার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে, কারণ সে সময় বিধান নগর পুলিশ কমিশনারেটে ইন্সপেক্টর পদে বহাল ছিলেন তিনি। এবং সন্দেহ তাঁর হাত দিয়ে বহু নথি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। মাস খানেক ধরেই সিবিআই দিলীপ হাজরার খোঁজ চালাচ্ছিল বলে জানা গেছে। কিন্তু তাঁকে কোনোমতেই সিবিআই নাগালের মধ্যে পাচ্ছিল না। তবে মঙ্গলবার প্রাক্তন ডিএসপি দিলীপ হাজরার বাড়িতে যখন সিবিআই এর তরফ থেকে তল্লাশি চালানো হয় তখন তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে সিবিআই দাবি করেছে, বর্ধমানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি এবং মিসিং লিঙ্ক এসেছে তাঁদের হাতে। বিশেষজ্ঞদের তরফে প্রশ্ন উঠছে, গত সাত বছর ধরে যে তদন্ত চলছে, তাঁর প্রামাণ্য নথি কি এখনও কেউ যত্নসহকারে নিজের কাছে রাখবে? এদিকে সামনেই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। তাঁর আগে কোনোমতেই কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তত্ব কখনই নিজেকে কালিমালিপ্ত করতে চাইবে না। এই অবস্থায় সিবিআইয়ের দাবি যদি সত্যি হয়, তাহলে বলাইবাহুল্য রাজ্যের অনেক প্রভাবশালীর রাতের ঘুম উড়বে। আপাতত প্রাক্তন ডিএসপির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সিবিআই এর হাতে কোন প্রামাণ্য নথি এসে পৌঁছাল, সে দিকেই এখন নজর সবার। আপনার মতামত জানান -