এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > হাই-প্রোফাইল বৈঠক এড়ালেন শুভেন্দু? পিকে স্যারের বিশেষ উপস্থিতি! সরগরম তৃণমূলের অন্দরমহল!

হাই-প্রোফাইল বৈঠক এড়ালেন শুভেন্দু? পিকে স্যারের বিশেষ উপস্থিতি! সরগরম তৃণমূলের অন্দরমহল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি রাজনৈতিক মহলে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জোরদার চর্চা চলছে। বেশ কিছুদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী দলের সঙ্গে এবং দলনেত্রীর সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন। প্রাথমিকভাবে সবার নজর এড়ালেও ধীরে ধীরে ক্রমশ তা প্রকাশ্যে আসে এবং একুশের বিধানসভার নির্বাচনের আগে যে ব্যাপক সংগঠনিক রদবদল হয়, সেখানেও দেখা যায় বিভিন্ন জায়গা থেকে শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠদের ছেঁটে ফেলা হচ্ছে।

যদিও শুভেন্দু অধিকারী নিজে কখনো দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলেননি। কিন্তু তাঁর ক্ষোভ নিজের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়েই স্পষ্ট করে দিচ্ছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যেরকম সম্প্রতি রাজ্যের নতুন কো-অর্ডিনেশন কমিটির একটি বৈঠক ছিল। এই কমিটি তৈরি হয়েছে 21 জন সদস্য নিয়ে, যার মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী অন্যতম। মূলত বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলকে পরিচালনা করাই এই কমিটির মুখ্য উদ্দেশ্য বলে জানা গেছে।

শুক্রবার এই কমিটির বৈঠকে দুটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটলো। একটি হল 21 জন কমিটি মেম্বারদের মধ্যে একমাত্র শুভেন্দু অধিকারীর অনুপস্থিতি। এবং দ্বিতীয়টি হলো তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভোট কৌঁশলী প্রশান্ত কিশোর। এবং এই দুইয়ের মিশেলে সরাসরি রাজনীতির রং লেগেছে সে ব্যাপারে নিঃসন্দেহ বাংলার রাজনৈতিক মহল। অন্যদিকে বিরোধী শিবিরের অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, বিশেষজ্ঞ ভোট কৌঁশলী হিসেবে তৃণমূলের বৈঠকে প্রশান্ত কিশোরের উপস্থিতি থাকতেই পারে।

কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হওয়া সত্ত্বেও শুভেন্দু অধিকারী কেন এই বৈঠকে এলেন না তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। আর এই ন্যেই তৃণমূলের অন্দরেও শুরু হয়েছে গুঞ্জন। যদিও এখনো পর্যন্ত শাসক দলের পক্ষ থেকে এ প্রসঙ্গে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তবে ওয়াকিবহাল সূত্রে জানা যাচ্ছে, সমস্যার সূত্রপাত বহুদিন আগে থেকেই। যেভাবে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম সহ একাধিক জেলায় রাজ্য কমিটি ও জেলা কমিটি থেকে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠদের একের পর এক সরানো হয়েছে তাতে দ্বন্দ্ব আরও বেড়েছে বৈ কমেনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের এক বাম বিধায়ক জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারীর ডানা ছাঁটতে অখিল গিরি এবং তাঁর গোষ্ঠীর হাতে তৃণমূল শিবিরের পক্ষ থেকে বেশ কিছুটা ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। যেটি কোন ভাবেই পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ভালো চোখে দেখেননি। হয়তো সে কারণেই তিনি এদিন দলীয় বৈঠকেও ইচ্ছাকৃতভাবেই উপস্থিত হননি। অন্যদিকে এ ধরনের মন্তব্যকে সম্পূর্ণ উড়িয়ে তৃণমূল শিবিরের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী শুধু 21 জনের কো-অর্ডিনেটর কমিটির সদস্যই নন, তিনি একইসাথে যে 7 জনের স্টিয়ারিং কমিটি তৈরি হয়েছে, সেখানেও দায়িত্বে আছেন।

আর তাই ডানা ছাঁটা সংক্রান্ত যেসব মন্তব্য করা হচ্ছে, সেগুলি সম্পূর্ণ বেকার। 21 জনের কমিটির শীর্ষ রয়েছেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম এর মতন হেভিওয়েট তৃণমূল ব্যক্তিত্বরা। যার মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী অন্যতম। তবে প্রশ্ন উঠছে, যদি কোন ব্যাপার নাই থাকে, তাহলে স্টিয়ারিং কমিটিতে জায়গা পাওয়ার পরেও শুভেন্দু অধিকারী কেন দলীয় বৈঠকে উপস্থিত হলেন না?

সে ক্ষেত্রে কি তিনি তাঁর অসন্তুষ্টের বার্তাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন? অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বরাবরই শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল শিবিরের অন্যতম লড়াকু সৈনিক হিসেবে পরিচিত। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে আগে যদি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দলের দূরত্ব বাড়ে, তাহলে কিন্তু তৃণমূল শিবির বিপাকে পড়তে পারে অচিরেই। আপাতত পরিবহণ মন্ত্রীর সঙ্গে দলীয় নেতৃত্বের দূরত্ব কবে কমে কিংবা এই দূরত্ব মেটানোর জন্য অন্য কেউ আশু পদক্ষেপ নেয় কিনা সেদিকেই এখন নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!