এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > হাইকোর্টের রায়ে বড়সড় স্বস্তি! আপাতত জেলযাত্রার হাত থেকে বাঁচলেন দিলীপ! শেষরক্ষা হবে কি?

হাইকোর্টের রায়ে বড়সড় স্বস্তি! আপাতত জেলযাত্রার হাত থেকে বাঁচলেন দিলীপ! শেষরক্ষা হবে কি?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 1999 সালে ঝাড়খণ্ডের কয়লা ব্লক বন্টনের দুর্নীতির অভিযোগে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দিলীপ রায় অভিযুক্ত হন। বেশ কিছুদিন মামলা চলার পর সিবিআই আদালত দিলীপ রায়ের জন্য তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের ঘোষণা করে। কিন্তু প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আপাত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন দিল্লী হাইকোর্টের নির্দেশে। আপাতত দিল্লী হাইকোর্ট সিবিআই এর শাস্তি রদ করেছে বলে জানা যাচ্ছে। সিবিয়াইয়ের সাজা ঘোষণার 24 ঘণ্টার মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত দিল্লি হাইকোর্টের।

আপাতত দিল্লি হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে আর জেলমুখো হতে হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। গত সোমবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে দিলীপ রায়ের 3 বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা হয়। প্রাক্তন মন্ত্রী সরাসরি সময় নষ্ট না করে হাইকোর্টে আবেদন করেন এবং আপাতত জেলে যাওয়ার বিরতি। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুরেশ কুমার এই নিয়ে সিবিআইকে একটি নোটিশ পাঠিয়েছেন। ফলে নতুন করে আইনি প্রক্রিয়া আবার শুরু হতে চলেছে এই মামলায়।

প্রায় বছর কুড়ি আগেই অটলবিহারী বাজপেয়ীর শাসনকালে কয়লা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন উড়িষ্যার বিজু জনতা দলের তৎকালীন রাজ্যসভার সাংসদ দিলীপ রায়। সে সময় তিনি ঝাড়খণ্ডের গিরিডি জেলার ব্রহ্মডিহা কয়লা ব্লকটি বেআইনিভাবে ক্যাস্ট্রন টেকনোলজি লিমিটেডকে পাইয়ে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। 2017 সালে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা সিবিআই আদালতে যায়। তারপর থেকে দীর্ঘদিন শুনানি চলে এবং গত 6 অক্টোবর কয়লা দপ্তরের প্রাক্তন রাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ রায় দোষী সাব্যস্ত হন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাঁর পাশাপাশি এই মামলায় অন্যতম দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আমলা প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, নিত্যানন্দ গৌতম এবং ক্যাস্ট্রন টেকনোলজি লিমিটেডের অধিকর্তা মহেন্দ্র কুমার আগরওয়াল। দিলীপ রায়ের সাথে তাঁদেরও সাজা ঘোষণা হয় বলে জানা গিয়েছে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সহ বাকি দুই অভিযুক্ত তিন বছরের কারাদণ্ড পান। অন্যদিকে ক্যাস্ট্রন টেকনোলজিস লিমিটেড ও ক্যাস্ট্রন মাইনিং লিমিটেড কোম্পানি 7 লক্ষ এবং 10 লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ পান বলে জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে সোমবারই 1 লক্ষ টাকা বেল বন্ড দিয়ে এই মামলায় জামিন পান প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দিলীপ রায়। সিবিআই এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার জন্য তাঁর হাতে সময় ছিল আগামী 25 শে নভেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু বিন্দুমাত্র কালবিলম্ব না করে মঙ্গলবারই দিলীপ রায় দ্বারস্থ হন দিল্লি হাইকোর্টের। আর সেখানেই মিলল স্বস্তি প্রাক্তন মন্ত্রীর। দিল্লি হাইকোর্টের পক্ষ থেকে সিবিআই এর কাছে জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। মামলার পরবর্তী শুনানি হতে চলেছে আগামী 25 শে নভেম্বর।

1999 সালে ঝাড়খণ্ডের গিরিডিতে ব্রহ্মডিহা কয়লা ব্লক বণ্টনে ব্যাপক অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। দিলীপ রায়কে ভারতীয় আইন অনুসারে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। অভিযোগ ওঠে, সরকারি পদাধিকারী হয়ে তিনি যেভাবে বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন তা ফৌজদারি অপরাধ। তবে সাজা পেলেও যেভাবে দিল্লি হাইকোর্ট দিলীপ রায়ের সাজা রদ করলেন তা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য। তবে দুর্নীতির অপরাধ থেকে এত সহজে যে দিলীপ রায় মুক্তি পাবেন না সে ব্যাপারে স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। আপাতত সিবিআই তাঁদের সমস্ত প্রামাণ্য যুক্তি নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে হাজির হতে চলেছে আগামী 25শে নভেম্বর। তবে ততদিন পর্যন্ত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতেই পারেন প্রাক্তন মন্ত্রী দিলীপ রায়।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!