এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পরিবেশ বান্ধব বাস নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত পরিবহন মন্ত্রীর,হলদিয়ার হবে বড়সড় কর্মসংস্থান

পরিবেশ বান্ধব বাস নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত পরিবহন মন্ত্রীর,হলদিয়ার হবে বড়সড় কর্মসংস্থান


রাজ্য সরকারের হাত ধরে হলদিয়ায় কর্মসংস্থায় জোয়ার আসতে চলেছে। প্রশাসনের তরফ থেকে দূষণমুক্ত যে ইলেকট্রিক বাস (ই-বাস) চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাটারি তৈরি করা হবে হলদিয়ায়। এমনটাই ঘোষণা করলেন রাজ্যের পরিবহণ ও পরিবেশ দপ্তরের মন্ত্রী তথা হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান শুভেন্দু অধিকারী। এদিন হলদিয়ায় ব্যাটারি নির্মাতা সংস্থা এক্সাইডের নতুন দুটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর করতে এসে একথা জানালেন তিনি।

শিলান্যাস অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডল, হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার বিভু গোয়েল, হলদিয়ার মহকুমা শাসক কুহুক ভূষণ, পুরসভার চেয়ারম্যান শ্যামলকুমার আদক, এক্সাইডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। উল্লেখ্য,এদিন শুভেন্দু বাবু হলদিয়া এক্সাইডের ব্যাটারও রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট এবং নতুন সম্প্রসারণ প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। দুটি প্রকল্প বাবদ মোট ব্যয় করা হবে ৫৫০ কোটি টাকা।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।

এদিন শুভেন্দু বাবু জানালেন, পরিবেশে বাড়তে থাকা দূষণের কথা মাথায় রেখেই পরিবেশবান্ধব সিএনজি বাস এবং ই-বাস চালানোর দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্যের পরিবহন দপ্তর। প্রাথমিকভাবে ৮০ টি বাস চালু করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ১৮ জুলাই। এ বিষয়ে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে ডিজেল বাসের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব বাস চালু করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশিকাও রয়েছে। ই-বাস চালানোর গুরু দায়িত্ব যে সংস্থার কাঁধে রয়েছে,তারা এখন বিদেশ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যাটারি আনার চেষ্টায় আছেন। আর রাজ্য পরিবহন দপ্তরের পক্ষ থেকে এক্সাইডের সঙ্গে ব্যাটারি নির্মান প্রকল্পের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। নতুন দুটি কারখানা তৈরি হয়ে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে অজস্র ছেলে মেয়েদের কর্মসংস্থানের নতুন দরজা খুলে যাবে বলেও আশ্বাস দিলেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বাবু আরো জানালেন,দূষণ নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর একের পর এক বিনিয়োগ আসছে হলদিয়ায়। আইওসির দু’টি প্রকল্পের জন্য প্রায় সাড়ে ছ’হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে। একটি প্রকল্প শেষ হলেই অন্যটি শুরু করা হবে। এমসিপিআই এরইমধ্যে এইচডিআর এর কাছে চার হাজার কোটি টাকার নতুন প্রকল্পের ডিপিআর জমা দিয়েছে এবং চেয়েছে ৯৬ একর জমি। আরো ৯৬ একর জমি দাবী করেছে ইন্ডিয়ান কোল কর্পোরেশান নামে একটি সংস্থা। এইচডি ল্যান্ড ব্যাঙ্ক থেকে এই জমি দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। এদিন শুভেন্দু বাবু আরো জানান,পুরানোর কারখানর সঙ্গে নতুন কারখানার যোগসূত্র রাখতে আলাদা এইচডির তরফ থেকে একটা করিডরও তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক্সাইড রোডে এলইডি লাইট বসিয়ে আলোকিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে রাণিচক রোটারি থেকে চিরঞ্জীবপুর হয়ে দুর্গাচক অব্দি।

কারখানার ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদাধিকারীর তরফ থেকে জানা গিয়েছে, জাপানের ফুরুকাওয়া ও হিতাচি এবং আমেরিকার ইস্টপেন সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে গড়ে উঠতে চলেছে ব্যাটারি নির্মান কারখানাটি। অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে নিকেল-ক্যাডমিয়াম ব্যাটারিটি তৈরি করা হবে বুলেট ট্রেন এবং মেট্রো ট্রেনে ব্যবহারের কথা মাথায় রেখে। এই কারখানা তৈরির জন্য হলদিয়া কর্তপক্ষ এক্সাইডকে দিয়েছে ১৯ একর জমি। অন্যদিকে ২১ একর জমি দিয়েছে লেড ব্যাটারি রিসাইক্লিং প্যান্ট তৈরির জন্যে। মাসে ১৫ হাজার টন উৎপাদন ক্ষমতা বিশিষ্ট দেশের মধ্যে সবথেকে বড় কারখানাটি গড়ে উঠবে ইতালিয়ান প্রযুক্তি অনুসরণ করে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!