এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মমতার চিন্তা বাড়িয়ে হালিশহরের তৃণমূলে ফেরা কাউন্সিলরদের নিয়ে বড়সড় দাবি শুভ্রাংশু রায় -এর

মমতার চিন্তা বাড়িয়ে হালিশহরের তৃণমূলে ফেরা কাউন্সিলরদের নিয়ে বড়সড় দাবি শুভ্রাংশু রায় -এর


দলবদলের খেলায় রীতিমতো জমে উঠেছে রাজ‍্য রাজনীতি। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান তো নিত‍্যদিনের ঘটনা। কোথাও কোথাও আবার গেরুয়া ছেড়ে সবুজে ফেরার ঘটনাও ঘটছে।

যেমন গত মাসের ২৮ তারিখ হালিশহর পৌরসভার ১৭ জন তৃণমূল কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এর ফলে ২৩ আসন বিশিষ্ হালিশহর পৌরসভা একরকম হাতছাড়া হয়ে যায় তৃণমূলের। গেরুয়া শিবিরের দখলে চলে যায় পুরসভা।এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয় গতকাল।

শোনা যাচ্ছে, পদ্ম ছেড়ে ফের আটজন কাউন্সিলর ‘ঘর ওয়াপসি’ ঘটিয়ে জোড়াফুল শিবিরে ফিরছেন। ফলে এখন হালিশহর পৌরসভায় তৃণমূলের কাউন্সিলরের সংখ্যা আবার বেড়ে হতে চলেছে ১১। উল্টোদিকে বিজেপির কাউন্সিলরের সংখ্যাও কমে হচ্ছে ১১। ২৩ আসনের পুরসভা দখল করতে ম‍্যাজিক সংখ‍্যা হল ১২। এই মুহূর্তে ওই পৌরসভায় ১জন নির্দল প্রার্থী রয়েছেন। ঐ প্রার্থী এখন যে শিবিরকে সমর্থন করবে তারাই পুরসভা দখল করতে পারবে। কিন্তু সমস‍্যা হল ঐ নিল্দল প্রার্থী এখন জেলে রয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরই মধ‍্যে সদ‍্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া শুভ্রাংশু রায় গতকাল দাবি করেছেন যে তৃণমূলে ফিরে আসা ওই আটজন কাউন্সিলরের মধ‍্যে পাঁচ-ছ’জন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। বীজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশুর দাবি যে ঐ কাউন্সিলরদের নানারকম চাপ দিয়ে জোর করে তৃণমূলে ফেরানো হচ্ছে।তৃণমূলের মধ্যে রেখে শুভ্রাংশু কে যখন নিষ্ক্রিয় করে রাখা হত তখনো ওই কাউন্সিলররা তাঁর পাশেই ছিল বলে তিনি জানিয়েছেন। এর পরেই তিনি স্পষ্ট জানান, কিছুদিনের মধ্যেই হালিশহর পৌরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনবেন তাঁর তাঁরা।

এই প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “কে কোথায় যাচ্ছে, কে কার সাথে যোগাযোগ করছে সেসব দিকে আমার নজর নেই ।লোকসভা নির্বাচনে হালিশহরের মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। আমার লক্ষ্য এখন মানুষের উন্নয়ন করা।” পাশাপাশি মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু আরো জানান, “হালিশহরের ঘাটের সৌন্দর্যায়ন ও নিকাশি ব্যবস্থার বিষয়টি জানিয়ে আজই খেলা দেখতে দেখতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাতে একটি চিঠি পাঠিয়েছি । হালিশহরে আমরা এর মধ্যে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনব । আর ভোট হলে আমরাই জিতব ।”

তৃণমূলের অবশ্য দাবি যে একোন মুখ লুকাতে এই সব বলছে। এই সব কথার কোনো ভিত্তি নেই।
রাজনৈতিকমহলের মতে ,অবশ্য এটা একটা মস্ত বড় চাল চাললেন মুকুল পুত্র। কেননা যারা গেছেন তারা বিজেপির সঙ্গে আছে এই কথা বললে একটা সন্দেহ তৈরী হলো তৃণমূলের মনে। যার ফলে ঘরে এনেই আতঙ্কে থাকতে হবে শাসকদলকে। পুরোপুরি ভরসা করতে পারবে না কিছুতেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!