এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > হনুমান চালিশা বিক্রি নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা বইমেলায়, জোর চাঞ্চল্য !

হনুমান চালিশা বিক্রি নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা বইমেলায়, জোর চাঞ্চল্য !


কবি লিখে গেছেন, “কোরান-পুরাণ-বেদ-বেদান্ত-বাইবেল-ত্রিপিটক, জেন্দাবেস্তা-গ্রন্থসাহেব পড়ে যাও যত সখ।” কিন্তু কবির সেই লেখা মাঝেমধ্যেই ভারতবর্ষের শাসকের দ্বারা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে সরব হতে দেখা যায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। এমনকি সাধারণ মানুষ তাদের সর্বধর্ম সমন্বয়ের মধ্যে দিয়ে নিজেকে বৃদ্ধি করতে পারছেন না বলেও মাঝেমধ্যেই দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এবার সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনাধীন রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী খোদ কলকাতা বইমেলায় হনুমান চল্লিশা বিক্রি নিয়ে বাধা দানের ঘটনা রীতিমতো নানা প্রশ্ন তুলে দিতে শুরু করল।

জানা যায়, এদিকে কলকাতা বইমেলায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্য, সমর্থকরা নিজেদের স্টল থেকে হনুমান চালিশা বিক্রি করছিল। আর তা খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছে পুলিশ সেই বই দিতে বাধা দেয়। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সমর্থকরা। প্রবল বিক্ষোভ করতে থাকেন তারা। ক্রমেই গোটা পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কিন্তু হঠাৎ কেন পুলিশ এই বই বিলি করাতে বাধা দিল! এখন তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বইমেলায় ধর্মীয় বই বিলির কারণে বাধা দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের বই বিলি দর্শনার্থীদের মধ্যেকার আবেগকে উসকে দিতে পারে। যার ফলে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সমস্যা তৈরি হবে। আর তার কারণেই এরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশের তরফ থেকে এই জন্য দাবি করা হলেও পাল্টা যুক্তি দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।

এদের এই প্রসঙ্গে ভিএইচপি সদস্য স্বরূপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ প্রথমে বুঝতে ভুল করেছিল। বইমেলার মধ্যে কোরান এবং বাইবেল বিক্রি করা হচ্ছিল। সেখানে তাদের কেন হনুমান চালিশা দিতে বাধা দেওয়া হল! তবে পরবর্তীতে পুলিশ আর আমাদের বাধা দেয়নি।” তবে যে যাই বলুন না কেন, কলকাতা বইমেলার মত জায়গায় হনুমান চালিশা বই নিয়ে যেভাবে পুলিশের তরফে বাধাদানের ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে কিন্তু অনেকেই অনেক প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

একাংশ বলছেন, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি শাসিত কোনো রাজ্যে এরকম কোনো ঘটনা ঘটলে সরব হন, বলেন, সারাদেশে সর্বধর্ম সমন্বয়ের পরিবেশকে বিঘ্নিত করছে বিজেপি। সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যে কলকাতার মত বই মেলায় কোরান, বাইবেল বিক্রি হলেও হনুমান চালিশা বিক্রিতে বাধা আসবে কেন? তাহলে কি যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকারকে দোষারোপ করেন, তিনিও সেই একই দোষে দুষ্ট! পুলিশের আচরনে এখন সেই প্রশ্নই তুলতে শুরু করেছে সমালোচক মহলের একাংশ। সব মিলিয়ে কলকাতা বইমেলায় হনুমান চালিশা বিক্রিতে পুলিশের বাধাদানে প্রবল চাঞ্চল্য সৃষ্টি হল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!