এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > হাওড়ার দায়িত্ব পেয়েই রাজীবের মান ভাঙাতে উদ্যত ফিরহাদ! বরফ গলা নিয়ে সংশয়!

হাওড়ার দায়িত্ব পেয়েই রাজীবের মান ভাঙাতে উদ্যত ফিরহাদ! বরফ গলা নিয়ে সংশয়!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পর্যবেক্ষক পদ না হলেও বিভিন্ন জেলায় কোন কোন নেতা দায়িত্বে থাকবেন, তা স্থির করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সামনের বিধানসভা নির্বাচনের আগে উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় রাজ্যস্তরের নেতাদের দেওয়া হয়েছে দায়িত্ব। আর এই পরিস্থিতিতে হাওড়া জেলার দায়িত্ব পেয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। যে জেলাকে নিয়ে এখন টালমাটাল রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূলের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে লক্ষ্মীরতন শুক্লা সকলকে নিয়ে জল্পনা ক্রমশ দানা বাধতে শুরু করেছে।

তবে দায়িত্ব পাওয়ার পরই এবার সেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মান ভাঙানোর জন্য উদ্যত হলেন ফিরহাদ হাকিম। সূত্রের খবর, দায়িত্ব পেয়ে প্রথমে তিনি ফোন করেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যেখানে বেশ কিছুক্ষণ দুজনের মধ্যে কথা হয়েছে। কিন্তু রাজীববাবুর মান ভাঙ্গাতে কতটা সফল হলেন ফিরহাদ হাকিম, এখন সেটাই জল্পনার বিষয় রাজ্য রাজনীতিতে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরেই বেসুরো মন্তব্য করে চলেছেন ডোমজুড়ের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

সম্প্রতি একটি কর্মসূচিতে গিয়ে তিনি বলেন, “বেশ কিছু নেতা দলের কর্মীদের চাকর-বাকর ভেবে তাদের ভাবাবেগ নিয়ে খেলেন। তাদের জবাব কর্মীরা দেবে। কর্মীরাই ওই সমস্ত নেতাকে ক্ষমতাচ্যুত করবেন।” স্বাভাবিকভাবেই তার এই মন্তব্যের পর রীতিমত আলোড়ন পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। এদিকে রাজীব বন্দ্যপাধ্যায় যখন এই মন্তব্য করছেন, ঠিক তখনই সম্প্রতি মন্ত্রী এবং সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা পত্র পৌঁছে দিতে দেখা যায় লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে।

অন্যদিকে সেই লক্ষ্মীরতন শুক্লার পদক্ষেপের জন্য তাকে সমর্থন করে দলের বিরুদ্ধে বেসুরো মন্তব্য করতে শোনা যায় বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে। আর তাদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে তৃণমূল দল পচে গিয়েছে বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন রথীন চক্রবর্তী। স্বাভাবিকভাবেই একের পর এক নেতারা যখন বেসুরো মন্তব্য করতে শুরু করেছেন, তখন তাদের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে কার্যত চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে সেদিক থেকে সবচেয়ে স্বচ্ছ এবং গ্রহণযোগ্য মুখ হিসেবে পরিচিত রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যদি দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেন এবং তিনি যদি বিজেপিতে নাম লেখান, তাহলে তা যে শাসকদলের কাছে বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই এই পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নিয়েই সাথে সাথে সেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে তার সঙ্গে কথা বলে নিলেন ফিরহাদ হাকিম।

আর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দেওয়ার সাথে সাথেই ফিরহাদ হাকিম ফোন করায় এখন রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, তাহলে কি এবার মন গলানো সম্ভব হল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের! বিশেষ সূত্র মারফত খবর, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বললেও তার মানভঞ্জন করা সম্ভব হয়নি। একাংশ বলছেন, বিজেপির পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত দাবি করা হচ্ছে, তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েট তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। আর এই পরিস্থিতিতে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের বিরুদ্ধে বেসুরো মন্তব্য তার বিজেপি যোগের জল্পনাকে বাড়িয়ে দিয়েছিল।

তবে তিনি যদি বিজেপিতে যোগদান করেন, তাহলে হাওড়া এবং তার সংলগ্ন জেলাগুলোতে যে তৃণমূল কংগ্রেসের বড় ফাটল সামনে আসবে, সেই ব্যাপারে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল ঘাসফুল শিবিরের অন্দরমহলে। আর তাই দায়িত্ব পেতে না পেতেই ফিরহাদ হাকিম রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানভঞ্জনের চেষ্টা করলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, রাজীববাবুর মানভঞ্জনের চেষ্টা হলেও, তিনি আদৌ দলের হয়ে সক্রিয় হন কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!