এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > হারের তদন্ত নিয়ে গেরুয়া শিবিরের বৈঠকে বিস্ফোরক হলেন দলের একাধিক সাংসদ, উঠে এল বহিরাগত তত্ত্ব, জল্পনা তুঙ্গে

হারের তদন্ত নিয়ে গেরুয়া শিবিরের বৈঠকে বিস্ফোরক হলেন দলের একাধিক সাংসদ, উঠে এল বহিরাগত তত্ত্ব, জল্পনা তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বহিরাগত তত্ত্ব অন্যতম ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছিল এবং এই ইস্যুকে পূর্ণমাত্রায় কাজে লাগিয়েছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গিয়েছে রাজ্য বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতারা 200 আসনের লক্ষ্যমাত্রা রাখলেও অনেক আগেই তাঁরা থেমে গিয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে, এত ব্যাপকভাবে বাংলায় প্রচার করা সত্বেও কেন এই অসম হার? আর তাই নিয়েই মঙ্গলবার হেস্টিংসের অফিসে বসেছিল রাজ্য বিজেপির বৈঠক। রাজ্যের বেশীরভাগ সাংসদ, বিধায়ক এবং হেভিওয়েট নেতারা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্বে ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

কিন্তু গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর, এই বৈঠকে যে জট ছাড়ানোর প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল, তা কিন্তু সফল হয়নি। পাশাপাশি বিজেপির হারের কারণ খুঁজতে তৃণমূলের সেই বহিরাগত তত্ত্বেরই প্রতিধ্বনি এবার গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। জানা গিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনের নিয়ম-নীতি নিয়ে সবথেকে বেশি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। তাঁর মতে স্থানীয় নেতৃত্বকে কাজ করতে না দিয়ে বাইরে থেকে আসা নেতারা যেভাবে রাজনীতি করতে চেয়েছেন তা বাংলার মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। অর্জুন সিং এর সাথেই রাজ্যের বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ নাম না করেও হিন্দিভাষী নেতাদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।

একইসাথে এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ না থাকা বিজেপির হারের অন্যতম কারণ বলে ব্যাখ্যা করেছেন তৃণমূল থেকে আসা বিজেপির অন্যতম নেতা সব্যসাচী দত্ত। অন্যদিকে দলের সাংগঠনিক ত্রুটি তুলে ধরেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন, দলের মধ্যে একশ্রেণীর নেতারা ক্রমাগত তোলাবাজি সিন্ডিকেট চালাচ্ছে। মূলত এবারের বিধানসভা নির্বাচনে হারের পেছনে মূল কারণ হিসেবে সাংগঠনিক ত্রুটি এবং এলাকার সাংসদকে ভোটের কাজ থেকে দূরে সরিয়ে রাখা অন্যতম কারণ বলে সরব হয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। গেরুয়া শিবিরের অন্দরেও অনেকেই বলছেন, এই রাজ্যের 18 জন সাংসদের মধ্যে দুজন মন্ত্রী, যারা দিল্লিতেই বেশিরভাগ সময় কাটান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বাকি 16 জনের মধ্যে 15 জন দলের মধ্যেই উপেক্ষিত হয়েছেন। শুধুমাত্র দিলীপ ঘোষ যেহেতু সাংসদ হওয়ার সাথে সাথে রাজ্য বিজেপির সভাপতি, তাই তিনি সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তবে এবার রাজ্য বিজেপিতে অন্য গুঞ্জন। ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী দিল্লি চলে গিয়েছেন, যা নিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ কিছুই জানেন না বলে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। আর এবার দিলীপ ঘোষকে অন্ধকারে রেখে অর্জুন সিং, সৌমিত্র খাঁ এবং মঙ্গলবারের বৈঠকে ডাক না পাওয়া কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক দিল্লি পৌঁছালেন। যদিও এ ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি রাজ্য বিজেপি সভাপতি। তবে দিলীপ অনুগামী এক নেতার বক্তব্য অনুযায়ী, নির্বাচন পর্বে দিলীপ ঘোষের কথাও সেভাবে শোনা হয়নি।

বরং সবটাই কেন্দ্রীয় নেতারা পরিচালনা করেছেন। কিন্তু খারাপ ফল করার পর পুরো দায়টাই দিলীপ ঘোষের উপর চাপানোর চেষ্টা চলছে। একইসাথে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে শোনা যাচ্ছে, মঙ্গলবারের বৈঠকে যারা সরব হয়েছিলেন, তাঁরা বেশিরভাগই তৃণমূল থেকে আসা নেতা। সব মিলিয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, গেরুয়া শিবিরের বর্তমান সময় খুব একটা ভালো যাচ্ছেনা এ রাজ্যে। বিজেপির অন্দরে কোথাও একটা তাল কেটে গেছে। সাথে দলের নীচুতলায় শুরু হয়ে গিয়েছে ভাঙন যা ক্রমশ বিজেপির কপালে ভাঁজ ফেলছে। এই অবস্থায় আগামী দিনে বিজেপি নিজেদের গুছিয়ে নিতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেটাই এখন দেখার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!