কলকাতায় হাসিনা-মমতা বৈঠক, শরণার্থী নিয়ে ধন্যবাদ জানালেন ভারতকে কলকাতা জাতীয় রাজ্য November 23, 2019 বর্তমানে গোটা দেশ জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে উত্তপ্ত। অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তালিকা থেকে প্রচুর হিন্দু বাদ যাওয়ার পরেই বাংলাতেও এনআরসি করা হবে বলে একাংশ দাবি জানাতে থাকে। আর বিজেপি নেতাদের মধ্যে থেকে ওঠা সেই দাবি ভিত্তিহীন বলে দাবি করতে দেখা যায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। ইতিমধ্যেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বাংলায় চালু করা হবে বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে কলকাতার মাটিতে পা রেখে 1971 সালের মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে করিয়ে ভারতকে ধন্যবাদ জানালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সূত্রের খবর, এদিন 1971 এর মুক্তিযুদ্ধের সময় এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। আর এনআরসি ইস্যু নিয়ে চর্চা সময় পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র প্রধানের এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। জানা গেছে, এদিন পিঙ্ক বল টেস্ট উপলক্ষে কলকাতায় আসেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগেভাগে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার বৈঠকের কোনো কথা না থাকলেও বৃহস্পতিবারই রাজ্য সরকারের সদর দপ্তর নবান্ন থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলতে চেয়ে একটি বার্তা পাঠানো হয়। আর তাতে সম্মতি জানিয়েই শুক্রবার সন্ধ্যা সওয়া ছটা নাগাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শেখ হাসিনা মুখোমুখি বৈঠকে বসেন। জানা গেছে, আলিপুরের একটি হোটেলে আয়োজিত হওয়া এই বৈঠকে দুই পক্ষের মধ্যে নানা বিষয়ে কথা হয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিনের এই বৈঠকে দুই বাংলার মধ্যে শিল্প, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি বিষয়ে আদান-প্রদানের সুযোগ রয়েছে বলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে বাংলাদেশে সাইকেল শিল্পের বাড়বাড়ন্তের কথা শেখ হাসিনা তুলে ধরলে সেই বাংলাদেশের সাইকেল নির্মাতা যদি পশ্চিমবঙ্গে লগ্নি করতে চায়, তাহলে তাদের জমি দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেন বঙ্গের প্রশাসনিক প্রধান। তবে তিস্তা সমস্যা, যা দীর্ঘদিনের ইস্যু, তা নিয়ে কি দুই নেত্রীর মধ্যে কোনো আলোচনা হল! এদিন এই ব্যাপারে কোনো কথা না হলেও ভারতে এনআরসির বিষয়ে যে তিনি অবগত রয়েছেন, তা বুঝিয়ে দেন শেখ হাসিনা। বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, এনআরসির ব্যাপারটি আঁচ করেই এদিন 71 সালের মুক্তিযুদ্ধের কথা তুলে ধরে ভারতকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আসলে ভারতের তরফে এখন যদি সত্যিই এনআরসি করা হয় এবং তাতে যদি বাংলাদেশের অনেক মানুষ ফেরত যান, তাহলে বাংলাদেশ সরকার বিপাকে পড়তে পারে। আর তাইতো সেদিক থেকে নিজেদের রক্ষা করতে আগাম ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রাখলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে শেষ পর্যায়ে এনআরসি ইস্যুকে বাদ দিয়ে সমস্ত বিষয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আলোচনা যে সদর্থক হয়েছে, তা তাদের চোখে-মুখেই ফুটে উঠেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -