এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > করোনা আবহে গাফিলতিতে হাসপাতালের বাইরেই বিনা চিকিৎসায় প্রাণ গেল মহিলার! বাড়ছে ক্ষোভের পারদ!

করোনা আবহে গাফিলতিতে হাসপাতালের বাইরেই বিনা চিকিৎসায় প্রাণ গেল মহিলার! বাড়ছে ক্ষোভের পারদ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার সময়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবরায় অত্যন্ত সংকটজনক অবস্থায় করোনা আক্রান্ত এক মহিলাকে হাবরা হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক লক্ষ্য করে তাঁকে হাসপাতালের আনার আধ ঘন্টার মধ্যেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে রেফার করে দেয়। কিন্তু তার পরিবারের অভিযোগ হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোন অ্যাম্বুল্যান্স এর ব্যবস্থা করা হয়নি। এরফলে হাসপাতালের বাইরেই অপেক্ষা করে থাকতে হয় তাঁদের দীর্ঘসময় ধরে।

বারবার চেষ্টা করেও তারা কোনো অ্যাম্বুল্যান্স যোগার করতে পারেন নি। অবশেষে গত কাল বিকেল চারটায় সেই মহিলাকে কলকাতা নিয়ে যাবার জন্য একটি অ্যাম্বুল্যান্স এসে পৌঁছায়। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, সেই অ্যাম্বুল্যান্স ড্রাইভার পিপিই কিট পরিধান করতে আরো কুড়ি মিনিট সময় লাগিয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত সাড়ে চারটার সময়ে হাসপাতালের বাইরেই মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, বিনা চিকিৎসার কারণে তাঁর মৃত্যু হলো। সময়মতো চিকিৎসা পেলে হয়তো তাকে বাঁচানো সম্ভব হতো। হাসপাতালের এই গাফিলতির বিষয়টি নিয়ে তাঁরা অভিযোগ জানান রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে।

মৃতার পরিবারের সদস্যদের কাছে এই গুরুতর অভিযোগ শোনার পর এই ঘটনার তদন্তে হাবরা হাসপাতালে উপস্থিত হলেন রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের এক প্রতিনিধি দল। আজ শুক্রবার দুপুর বেলায় হাসপাতালের সুপার সহ সমস্ত কর্মীদের সঙ্গে তাঁরা এ ব্যাপারে আলোচনা করেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে হাসপাতাল কর্মীদের সমস্ত জবাবদিহি তাঁরা রেকর্ড করে নিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

হাবরা হাসপাতলে আজ দু সদস্যের এই বিশেষ প্রতিনিধি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের উপ স্বাস্থ্য আধিকারিক নিরঞ্জন গঙ্গোপাধ্যায়। এই হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও কর্মীদের সঙ্গে তারা এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। হাসপাতাল সুপার বিবেকানন্দ বিশ্বাসের সঙ্গেও তাঁদের কথা বলতে দেখা গেছে।

হাসপাতাল সুপার বিবেকানন্দ বিশ্বাস প্রতিনিধিদলকে জানিয়েছেন যে, ভবিষ্যতে এমন ধরনের এমন কোন ঘটনা কোনোভাবেই হাসপাতালে ঘটতে দেয়া হবে না। তাঁরা সর্বদাই এই বিষয়গুলোর উপর লক্ষ্য রাখবেন। এছাড়া কোন রোগীকে এক হাসপাতাল থেকে অন্য কোন হাসপাতালে পাঠান যাতে সহজে করা যায়, সেজন্য স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে বিশেষ আবেদন জানালেন তিনি। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের উপ স্বাস্থ্য আধিকারিক নিরঞ্জন গঙ্গোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেছেন যে, এ বিষয়ে তাঁদের তদন্তের রিপোর্ট দ্রুত দাখিল করা হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!