এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > দেশে হাসপাতালের সংস্কৃতির তুলনায় মন্দিরের সংস্কৃতি অনেক বেশি প্রয়োজনীয় – বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ

দেশে হাসপাতালের সংস্কৃতির তুলনায় মন্দিরের সংস্কৃতি অনেক বেশি প্রয়োজনীয় – বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –গত ৫ ই আগস্ট দিনটি ছিল অযোধ্যার রাম মন্দিরের ভূমিপূজনের দিন। এদিন প্রধানমন্ত্রীর স্বহস্তে ভূমিপূজনের মধ্য দিয়ে রাম মন্দিরের ভিত্তি রচিত হলো। আর অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই অযোধ্যায় প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে সুরম্য রাম মন্দির। মধ্যযুগ, ইংরেজ যুগ পার করে আরোও কয়েকদশকের অপেক্ষার পর রামমন্দির নির্মাণের এই উৎসবে মেতে ওঠে গোটা দেশ। পশ্চিমবঙ্গে এদিন রাজ্য সরকারের লকডাউনের ভ্রূকুটিকে উপেক্ষা করেই রাজ্যের নানা স্থানে অনুষ্ঠিত হয় রাম পুজো ও যজ্ঞ। তবে বর্তমানে সারা দেশে করোনা পরিস্থিতির দিন দিন ক্রমাবনতি ঘটছে ধারাবাহিক ভাবে।

এখনো পর্যন্ত দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২১ লক্ষের কাছাকাছি চলে গেছে, মৃত্যু ঘটেছে এখনো পর্যন্ত প্রায় ৪৩ হাজার করোনা রোগীর। হাসপাতালে বেড না পেয়ে, বিনা চিকিৎসায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। তাই এই পরিবেশে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল থেকে উঠে শুরু করে দিয়েছে নানারকম প্রশ্ন ও টিপ্পনি। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে, দেশের যখন এরকম বিপর্যয়কর ভয়ানক পরিস্থিতি সময়ে অযোধ্যায় ভূমিপুজোর অনুষ্ঠান কতটা সমীচীন? এই অনুষ্ঠানের চেয়ে করোনা সংক্রমণ রোডের জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ কিংবা হাসপাতাল নির্মাণ অধিক গুরুত্ব পূর্ণ নয় কি?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাম মন্দিরের ভূমিপুজন নিয়ে উত্থাপিত এমন বহু প্রশ্নের উত্তর দিতে এবার এগিয়ে এলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আজ শনিবার রামমন্দিরের ভূমিপুজন তথা মন্দির নির্মাণ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বিবৃতি দিলেন, “ভারতের ঐতিহ্য, গর্ব রাম মন্দির (Ram Mandir)। তাই দেশে হাসপাতালের সংস্কৃতির তুলনায় মন্দিরের সংস্কৃতি অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। অযোধ্যার কোনও মানুষ তো রাম মন্দিরের ভূমিপুজো নিয়ে একবারও প্রশ্ন করেননি। বরং গত পাঁচ শতাব্দী ধরে রাম মন্দিরের জন্য বহু মানুষ তাঁদের প্রাণ বলি দিয়েছেন।” রাম মন্দিরের কথা বলতে গিয়ে নাম না করেও রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি দিলীপ ঘোষ।

রাজ্য সরকারের প্রতি ব্যঙ্গ করে তিনি বলেছেন, ” যাঁরা রাম মন্দিরের তুলনায় হাসপাতাল বেশি প্রয়োজন বলে দাবি করছেন তাঁরা সঠিকভাবে মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবাই দিতে পারেন না। হাসপাতালে পর্যাপ্ত বেড নেই। তাঁরা মানুষকে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করছেন। উত্তরপ্রদেশে পর্যাপ্ত হাসপাতাল রয়েছে। করোনা রোগীর তুলনায় সরকারি হাসপাতালের সংখ্যা যথেষ্ট বেশি। সেখানে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যাঁরা নিজেদের ধর্মের কথা বুক ফুলিয়ে বলতে ভয় পান, তাঁরাই রাম মন্দিরের বিরোধিতা করছেন। যাঁরা গর্ব অনুভব করছেন, তাঁরা রাম মন্দিরের ভূমিপুজোকে সমর্থন করছেন।”

প্রসঙ্গত, দেশের স্বাধীনতার লড়াই ও রাম মন্দির আন্দোলনের তুলনামূলক আলোচনা করেছেন রাজ্য সভাপতি। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, স্বাধীনতার লড়াই ১০০ বছর ধরে চললেও, রাম মন্দির আন্দোলন চলেছে ৫০০ বছর ধরে। লক্ষ লক্ষ মানুষ এই আন্দোলনে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন, আন্দোলনে নিজের অমূল্য প্রাণ ত্যাগ করেছেন কয়েক হাজারেও বেশি মানুষ। এরপর বিরোধী রাজনীতিবিদদের একহাত নিয়ে তিনি বলেছেন, “যাঁদের রাম মন্দিরের জন্য লড়াই সম্পর্কে ধারণা নেই, তাঁদের আন্দোলন সম্পর্কে আরও জানা উচিত।”

প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির অঙ্গনের অন্যতম মূল মধ্যমনি হয়ে উঠেছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। নিজের ক্ষুরধার বক্তব্যের জোরে বারবার তিনি উঠে এসেছেন, আলোচনার মূল কেন্দ্রে। প্রসঙ্গত, রাম মন্দির আন্দোলনে ক্ষুরধার বক্তব্য রেখে নিজের রাজনৈতিক বিরোধীদের উদেশ্যে তিনি কার্যত বোমা বিস্ফোরণ করলেন বলেই রাজনীতি মহলের অভিমত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!