এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > হতাশা, গোষ্ঠীকোন্দল, নীচুতলায় ভাঙন! প্রধান বিরোধী দল বিজেপির এখন অস্তিত্ব রাখাই দায়?

হতাশা, গোষ্ঠীকোন্দল, নীচুতলায় ভাঙন! প্রধান বিরোধী দল বিজেপির এখন অস্তিত্ব রাখাই দায়?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ২০০ টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা নিলেও মাত্র ৭৭ টি আসন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বিজেপিকে। নির্বাচনের ফলাফলের পর থেকেই দলের কর্মীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে। স্থানে স্থানে দলের মধ্যে শুরু হয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, শুরু হয়েছে ভাঙ্গন। সবকিছু নিয়ে প্রধান বিরোধী দল বিজেপির অস্তিত্ব রাখাটাই পড়ে গিয়েছে প্রশ্নের মুখে। আর যার সম্পূর্ণ সুযোগ নিচ্ছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।

লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে বিজেপির অভূতপূর্ব উত্থান ঘটলেও বিধানসভা নির্বাচনে মুখ থুবরে পড়েছে গেরুয়া শিবির। এই পরিস্থিতিতে বাঁকুড়া জেলার বিজেপির ৩ জন নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য গতকাল বিজেপি ছাড়লেন, যোগদান করলেন তৃণমূলে। বাঁকুড়ার সারেঙ্গা ব্লকের বিক্রমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য সুন্দরী হেমব্রম, শিবদাস সিং, নিয়তি মল্ল বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরার নেতৃত্বে যোগদান করলেন তৃণমূলে। বিক্রমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ১১ টি আসনের মধ্যে ৬টি আসন ছিল বিজেপির দখলে, তৃণমূলের দখলে ছিল ৩টি, ২ টি ছিল নির্দল প্রার্থীর দখলে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপি এই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করেছিল। কিন্তু তিনজন সদস্য তৃণমূলে চলে যাওয়ায় এবার তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা হল ৬, বিজেপির সদস্য কমে দাড়ালো ৩। তাই যেকোনো সময় এই পঞ্চায়েত হাতছাড়া হতে চলেছে বিজেপির।

এদিকে পুরুলিয়া জেলার মানবাজারে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এলো। মানবাজারের বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন দলের সহ জেলা সভাপতি গৌরি সিং সর্দার। সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক অভিযোগ করতে দেখা গেল বিজেপি কর্মীদের তাঁর বিরুদ্ধে। টাকাপয়সা লুটপাটের অভিযোগ, বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার দাবিও জানানো হলো সোশ্যাল মিডিয়াতে। জেলা সভাপতির ফেসবুক গ্রুপ থেকেই কটাক্ষ করা হল দলের প্রার্থীকে। তবে জেলা সভাপতির দাবি, এই ফেসবুক গ্রুপ তিনি তৈরি করেননি। তাঁর নাম নিয়ে অন্য কেউ এই গ্রুপ তৈরি করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের নানা স্থানে ভোট পরবর্তী হিংসার পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের মারধর, হেনস্থা, তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর, দোকানপাট ভাঙচুর চালানো হচ্ছে। এই অবস্থায় বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, দুরবস্থার দিনে তাদের ছেড়ে অনেক ক্ষেত্রেই দূরে চলে গেছেন জেলা স্তরের নেতারা ও নির্বাচনের প্রার্থীরা। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, তারা সর্বস্ব দিয়ে দলের কাজ করলেও বিপদের দিনে দল তাদের উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারছে না। এর মধ্যে দলের বিধায়কদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত দলের কর্মীদের আরো ক্ষুদ্ধ করে তুলেছে।

দলের কর্মীদের হতাশা, গোষ্ঠী কোন্দল থেকে দলের নিচু তলায় ক্রমশ ভাঙ্গনের বলিরেখা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। দলের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে কেউ কেউ তৃণমূলে যোগদানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। সবকিছু নিয়েই তীব্র সংকটে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। নির্বাচনে পরাজয়ের পর দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতেই সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে এই দলকে। যা দলের নেতা-নেত্রীদের উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!