এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > প্রথম ম্যাচের হতাশা কাটিয়ে হায়দারবাদকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে জয়ের সরণীতে ফিরল টীম KKR!

প্রথম ম্যাচের হতাশা কাটিয়ে হায়দারবাদকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে জয়ের সরণীতে ফিরল টীম KKR!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট অবশেষে হারের হতাশা কাটিয়ে জয়ের নিশান উড়ল কেকেআর শিবিরে। এতদিনের এত কষ্ট, এত অনুশীলনের সঠিক দাম পেলেন ক্রিকেটাররা। সেই সঙ্গে দীনেশ কার্তিকের মাথা থেকে অধিনায়কত্ব ছাড়ার ফাঁড়া টাও বোধ হয় সরে গেলো বলেই মনে হচ্ছে। আর কেকেআর ভক্তদের উচ্ছ্বাসে সামিল হল নতুন করে খেলায় ফেরার উন্মাদনা। যদিও এদিন দীনেশ কার্তিক ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেননি, তবুও শুভমান গিল দলের মুখ রেখেছেন। আর সেই গিলকে নিয়েই আপাতত নতুন আশার আলো দেখছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।

এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় হায়দ্রাবাদ অধিনায়ক। কিন্তু আগের দিনের তুলনায় এ দিন বেশ ভালোই ফর্মে ছিলেন কামিন্স। শুরুতেই তিনি ৫ রানে বাড়ি পাঠান বেয়ারস্টোরকে। অন্যদিকে শিবম মাভি এবং কমলেশ নাগরকোটিও কামিন্সকে যোগ্য সহযোগিতা করেন। ফলে প্রথম দশ ওভারে দুই উইকেটে মাত্র ৬১ রান তুলতে সক্ষম হয় হায়দরাবাদ। তবে মনীশ পাণ্ডে ৩৮ বলে ৫১ রান করে এবং বাংলার ছেলে ঋদ্ধিমান ৩০ রান করে কোনওক্রমে হায়দ্রবাদের ১৪০ রানের গণ্ডি টপকে দেয়। এরপর নির্ধারিত ২০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান ঘরে তোলে হায়েদ্রবাদ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর ব্যাট করতে নেমে শুরুতে নারিনের ব্যর্থতা নাইট শিবিরের চাপ বাড়িয়ে দেয়। তবে তা সামাল দিতে মাঠে নামেন নীতীশ রানা এবং শুভমান গিল। এদিনও রানা ভাল শুরু করলেও ১৩ বলে ২৬ রান করেই আউট হয়ে যান তিনি। এরপর শূন্যরানে ফিরতে হয় অধিনায়ক দীনেশ কার্তিককেও। তবে এরপর দলের রান এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার তুলে নেন মর্গ্যান এবং গিল। এর মধ্যে নিজের অর্ধশতরান পূর্ণও করেন গিল। শেষপর্যন্ত এই জুটিই দলকে জয় এনে দেয়। যদিও তখনও ১২ বল বাকি ছিল। গিল ম্যাচ শেষে অপরাজিত ৭০ রান করেন। যার মধ্যে মারেন পাঁচটি চার ও দু’‌টি ছয়। অন্যদিকে, ২৯ বলে ৪২ রান তুলে অপরাজিত থাকেন মর্গ্যানও।

তবে ১৭ তম ওভারের প্রথম বলেই অভিষেক শর্মাকে স্টেপ আউট করে ছয় মারতেই স্কোরবোর্ডে যখন লেখা দেখাল, “Where there is a ‘Gill’, There is a way.” তখনই হয়ত কেকেআর মনে মনে বলে দিয়েছিল যে, পিকচার অভি বাকি হ্যায়। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে নিজে ব্যর্থ হয়েছিলেন গিল। হেরেছিল দলও। কিন্তু সেই শুভমান গিলই কেকেআরকে কাল আইপিএলে জয়ের পথ দেখলেন। বোলিং এর সঙ্গে সঙ্গে রশিদ খান–ভুবনেশ্বর কুমারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে নেমেও করলেন দুরন্ত অপরাজিত ৭০ রান। তবে অন্যদিকে, KKR বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল হিসেবে কামিন্সকেই মনে করা হচ্ছে। চার ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে তুলে নেন একটি উইকেট। অন্যদিকে ভাল বোলিং করেছেন রহস্য স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীও। ওয়ার্নারকে ৩১ রান দিয়ে যে বলে তিনি আউট করলেন, সেটি বুঝতেই পারেননি অজি ক্রিকেটার। প্রথমে রীতিমতো হকচকিয়ে যান। তবে এদিনের লড়াই ছিল মূলত হায়দরাবাদের বোলিং বনাম কেকেআরের ব্যাটিংয়ের। তবে প্রথম ম্যাচে খারাপ পারফরম্যান্স থেকে শুরু করে ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে সমালোচনা সব কিছুর এবার বোধ হয় যোগ্য জবাব দিল কেকেআর জয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!