এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > হঠাৎ করেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল স্টেশন বিল্ডিংয়ের একাংশ, ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানে

হঠাৎ করেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল স্টেশন বিল্ডিংয়ের একাংশ, ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানে


100 বছরের প্রাচীন বর্ধমান স্টেশনটি বর্তমানে আধুনিকীকরণের কাজ চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। তবে আধুনিকীকরণ করতে গিয়ে যে ভেতরে ভেতরে স্টেশনের অনেকগুলি ইঁট আলগা হয়ে গেছে, তা বোধহয় কেউ বুঝতে পারেনি। এ দিন রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বর্ধমান স্টেশন এর মূল ফটক হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। এর ফলে বর্ধমান স্টেশনের সামনের গেটটি হয়ে যায় সম্পূর্ণরূপে বন্ধ। স্টেশনের ভেতরে থাকা যাত্রীদের পেছনের দরজা দিয়ে বের করা হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ এলাকা ঘিরে ফেলেছে। সূত্রের খবর, বর্ধমান স্টেশনের বাকি বিল্ডিংয়ের গায়েও ফাটল দেখা গিয়েছে। গোটা বিল্ডিংটাই অনেকটা বেঁকে গেছে বলে জানা গেছে।

এ দিন বর্ধমান স্টেশনে বহু মানুষের ব্যস্ততার সময় আচমকাই বিকট আওয়াজ করে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বহু পুরনো বিল্ডিং এর একাংশ। মুহূর্তেই স্টেশন চত্বরে পড়ে যায় হুড়োহুড়ি। মুহুর্তের মধ্যে পুরো স্টেশন চত্বরে ছবিটি বদলে যায়। শনিবার সন্ধ্যা 8 টা 14 মিনিটে এই ঘটনাটি ঘটে। ধ্বংসস্তূপের ভেতরে অনেকেই আটকে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে।

অন্যদিকে, যাত্রীদের মধ্যে ইতিমধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্টেশন বিল্ডিং ভেঙ্গে পড়া নিয়ে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল, রেলপুলিশ, বর্ধমান জেলা পুলিশ, রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। বহু মানুষ ভিড় করেছেন স্টেশন চত্বরে। এদিন প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যেবেলা আচমকাই বর্ধমান স্টেশনের সামনের অংশটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। বর্ধমান স্টেশনে যেখানে গাড়ি বারান্দা আছে সেই অংশটি এবং অনুসন্ধান অফিসের অংশটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। দুজন যাত্রী ঐসময় ওইখানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মাথার উপর বাড়ির অংশটি ভেঙ্গে পড়েছে বলে জানা গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে ধ্বংসস্তূপের তলায় আরো বেশ কয়েকজন আটক রয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, যে সময় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে, সেই সময় বর্ধমান স্টেশনে আপ বর্ধমান লোকাল ঢুকছিল, তাই যাত্রী ওঠানামা লেগেছিল। এর সাথে স্টেশনেও প্রচুর মানুষের ভিড় ছিল। ঠিক সেসময় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে এবং যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। কেউ রেললাইনে নেমে পড়ে, কেউ ট্রেনে উঠে পড়েন। গোটা প্ল্যাটফর্ম জুড়ে বিশৃঙ্খলা অবস্থা শুরু হয়ে যায়। অনেকেই এই ঘটনায় রেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকে দায়ী করেছেন। যেমন কার্জন গেট এর বাসিন্দা নিত্যযাত্রী অর্ণব ভট্টাচার্য্য বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই ভগ্নদশায় রয়েছে এই বাড়িটি। বহু প্রাচীন এই বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে আগেও বহুবার রেল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে, কিন্তু লাভ হয়নি। বাড়িটিকে দেখলেই মনে হত যে কোনও দিন এর চাঙড় খসে পড়বে। সেটাই হল। ‘

ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকল বাহিনী। ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। কয়েকজন আহত যাত্রীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। বর্ধমান স্টেশন চত্বরে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা বলয় দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। সূত্রের খবর, হাওড়া বর্ধমান মেন এবং কর্ড, কোনো শাখাতেই ট্রেন বর্ধমান স্টেশনে যাচ্ছে না। মেন লাইনের ট্রেনগুলো গাংপুর পর্যন্ত যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

ইতিমধ্যে বর্ধমান স্টেশন চত্বর ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে। স্টেশনের বাইরে প্রায় 10 থেকে 15 হাজার মানুষ ভিড় করেছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, হাওড়া ডিভিশন এডিআরএম জানিয়েছেন ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রয়েছে। অন্যদিকে জানা গেছে, রেলের তরফে বিশেষজ্ঞদের পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে তাঁরা খতিয়ে দেখছেন স্টেশন বিল্ডিং এর বাকি অংশ ভেঙে পড়ার কোনো সম্ভাবনা আছে কি না। ঘটনার পরেই আতঙ্কে যাত্রীরা দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেন। তবে সবাইকে রেল কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছে। যেহেতু বর্ধমান স্টেশন প্রবেশপথের বাইরের অংশ ভেঙে পড়েছে তাই যাত্রীদের প্রবেশ ও বেরোনোর জন্য বিকল্প পথের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!