এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > হঠাৎ করেই নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেওয়া হল প্রাক্তন তৃণমূল মন্ত্রীর, কি ব্যাপার? জল্পনা তুঙ্গে

হঠাৎ করেই নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেওয়া হল প্রাক্তন তৃণমূল মন্ত্রীর, কি ব্যাপার? জল্পনা তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যত ভোট কাছে আসছে, ততই বাংলার মাটিতে একের পর এক নিত্যনতুন রাজনৈতিক ঘটনা হয়ে চলেছে। এবার মালদা জেলার দাপুটে তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর নিরাপত্তা তুলে নেওয়ায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে তীব্র জল্পনা। হঠাৎ করে কেন কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হল, তা নিয়ে একাধিক প্রশ্নের উত্থাপন হচ্ছে।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর নিরাপত্তারক্ষীদের ফোন করে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। অন্যদিকে প্রাক্তন মন্ত্রী জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তিনি শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন।অন্য আরেকটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার রাতে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর একজন নিরাপত্তারক্ষী সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জেলা পুলিশ। এরপর কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীই ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করে সমস্ত নিরাপত্তারক্ষীদের ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা ব্যাপক রাজনৈতিক জল্পনার জন্ম দিয়েছে। প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পরেই দলে গুরুত্ব বাড়ে হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর। মালদা জেলা কমিটির চেয়ারম্যান পদে তাঁকে বসানো হয়। পাশাপাশি মোয়াজ্জেম হোসেনকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে করা হয় রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই পরিবর্তনের সাপেক্ষে স্পষ্ট হয়ে ওঠে মালদার জনপ্রিয় নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকে কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল। তারপর হঠাৎ করে কি এমন ঘটলো, যাতে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা ঘটলো? সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক মহলের অনুমান অন্য। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, কিছুদিন আগেই ইংরেজবাজারের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষের বাড়িতে হামলার ঘটনায় কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী সহ তাঁর অনুগামীদের নাম জড়ায়। প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক মহলের সবার জানা নীহাররঞ্জন ঘোষের সঙ্গে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর ব্যাপক দূরত্বের কথা।

এই হামলার ঘটনায় কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য একাধিক মামলা করা হয়। ফলস্বরূপ, ভোটের মুখে অস্বস্তির হাত থেকে বাঁচতে কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখছে প্রশাসন। আর তাই নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেওয়ার মধ্য দিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের কড়া বার্তা বলেই দাবী রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়বে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে মালদার তৃণমূল নেতার। আপাতত রাজ্য রাজনীতিতে এই ঘটনা নতুন কোন মোড় আনে কিনা সেটাই এখন দেখার।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!