প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শিবসেনার সঙ্গে কঙ্গনা রানাউতের বাকযুদ্ধ থামার বাদলে ক্রমেই জোরদার হচ্ছে। সম্প্রতি কঙ্গনা রানাওয়াত মহারাষ্ট্রকে ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীর’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে চূড়ান্ত বাকবিতন্ডা। এই মন্তব্যের কারণে কঙ্গনা রানাওয়াতের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত শিবসেনা। ইতিমধ্যেই তাঁরা গেরুয়া শিবিরের দিকে প্রশ্ন তুলেছে, মহারাষ্ট্রের ভাবমূর্তিকে আঘাত করা সত্ত্বেও কিভাবে কঙ্গনা রানাওয়াতকে সমর্থন করছে বিজেপি তাই নিয়ে।

এই বিতর্কের জেরে কঙ্গনা রানাউতের মহারাষ্ট্রে ঢোকার ব্যাপারে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছিল শিবসেনা। কঙ্গনা রানাউতের অফিসটিও ভাঙচুর করা হয় বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নজরে দেখে কঙ্গনা রানাওয়াত সোজা দেখা করলেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির সঙ্গে। জানা গেছে, রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে কঙ্গনা রানাওয়াত তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া অন্যায়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন। এদিন কঙ্গনা রানাউতের সঙ্গে তাঁর বোন রঙ্গোলি চান্দেলও উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে কঙ্গনা যখন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বাইরে আসেন, তখন তাঁর হাতে দেখা যায় দুটি পদ্মফুল। আর তাই নিয়েই শুরু হয়েছে তীব্র জল্পনা। অনেকেই মনে করছেন, কঙ্গনা রানাওয়াত এবার বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। প্রসঙ্গত কঙ্গনা রানাউতের সঙ্গে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একের পর এক ঘটনার উল্লেখ করে তিনি এবং তার পরিবার বিজেপিতে যোগ দেবেন বিজেপিকে সমর্থন করবেন বলে জানিয়েছেন। করোনার অফিস ভেঙে দেওয়ার পর এবার পালি হিল এলাকায় করোনার ফ্ল্যাটটিও ভাঙার জন্য কোমর বেঁধেছে বিএমসি। আর বাড়ি ভাঙার খবরটি কানে আসামাত্রই কঙ্গনা রানাওয়াত সোজা গিয়ে সাক্ষাৎ করেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপালের সঙ্গে।

কঙ্গনা অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। রাজনীতির সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই। অন্যদিকে বিজেপিকে সমর্থন করলেও বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে এখনো পর্যন্ত কঙ্গনা রানাওয়াত বা তাঁর পরিবারের তরফ থেকে কেউ কোনো মন্তব্য করেননি। তবে আগামী দিনে কঙ্গনা রানাওয়াতের সঙ্গে শিবসেনার যুদ্ধ যে আরও বেড়ে উঠতে চলেছে, সে ব্যাপারে নিঃসন্দেহ বিশেষজ্ঞরা। এদিকে নজর দিয়ে কঙ্গনা রানাওয়াতকে মুম্বাই ছাড়তে হতে পারে বলেও মন্তব্য করছেন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে কঙ্গনা রানাওয়াত কি সিদ্ধান্ত নেন, সেদিকেই এখন নজর ওয়াকিবহাল মহলের।