হঠাৎ করে কেন বদলি করা হলো মুখ্যসচিবকে? কারণ ব্যাখ্যা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কংগ্রেস রাজনীতি রাজ্য May 30, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে হঠাৎ করেই বদলি করা হয়েছে। রাজ্যের দায়িত্ব ছেড়ে তাঁকে দিল্লিতে কর্মীবর্গ ও প্রশিক্ষণ দপ্তরের কাজে যুক্ত হবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত বিশ্বস্ত বলে পরিচিত মুখ্যসচিবের অকস্মাৎ বদলির ঘটনায় সরব হয়ে উঠেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। এবার এ বিষয়ে বক্তব্য রাখলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। রাজ্যের মুখ্য সচিবের বদলি নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের যে দ্বন্দ্ব বেড়েছে, তার কারণ হিসেবে অধীর চৌধুরী নির্দেশ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। গতকাল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে মুখ্যসচিবের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর আরজি জানিয়েছিলেন। তারপর তাঁর চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধিতে সম্মতি জানিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। যা একদম স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল। কিন্তু গত শুক্রবার আবার কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সংঘর্ষ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই সংঘর্ষ বৃদ্ধির কারণ হিসেবে তিনি মনে করছেন যে, শুক্রবার কলাইকুন্ডাতে প্রধানমন্ত্রীর রিভিউ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি মনে করছেন, এক্ষেত্রে ট্রিগারের কাজ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানান, দেশের প্রধানমন্ত্রী সকলের সঙ্গেই আলোচনা করতে পারেন। কিন্তু বিচারটা সমান হওয়ার প্রয়োজন ছিল। গুজরাটে যখন সাইক্লোন হয়েছিল, সেখানে প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে কংগ্রেস দলের বিরোধী নেতাকে আমন্ত্রণ করা হয়নি। কাউকে খাতির করা হবে, কাউকে করা হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী আরও জানিয়েছেন যে, দেশজুড়ে যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হল, তখন বারবার সর্বদলীয় মিটিং করার আর্জি জানানো হয়েছিল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। কিন্তু সেই মিটিং করা হয়নি। পশ্চিমবঙ্গে করোনা থেকে বিরাট বিপর্যয় এলেও বিরোধীদের ডেকে কোনো আলোচনা করা হয় না। বিরোধীদের সবসময় অবজ্ঞা করা হয়। যার অর্থ গণতন্ত্রকে অবজ্ঞা করা বলে, তিনি মনে করছেন। প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বিরোধ দীর্ঘসময়ের। তৃণমূলে থাকাকালীন মুর্শিদাবাদ জেলার দায়িত্ব নিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেসময় এই জেলায় কংগ্রেসের বিপর্যয় ঘটেছিল, মূলত তাঁর নেতৃত্বেই। এখন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এখনো পর্যন্ত অধীর চৌধুরীর বিরাগ মেটেনি বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা। অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রবল বিরোধী হিসেবে পরিচিত হলেও নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর থেকে মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীতার ঝাঁজ অনেকটাই কমিয়ে নিয়েছেন অধীর চৌধুরী। এক্ষেত্রে বিরোধিতা থাকলেও আগের মতো ততটা ঝাঁজ নেই বলেই, রাজনৈতিক মহলের দাবি। আপনার মতামত জানান -