প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমানে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে উঠে এসেছে নানা প্রশ্ন। যতই মুখে বড় বড় কথা বলা হোক না কেন, মেয়েরা যে আদৌ নিরাপদ নয়, সেই কথাই ফুটে উঠেছে। উত্তরপ্রদেশের গণধর্ষনের কাণ্ডে তাই সমাজে মেয়েদের জায়গা নিয়ে আবারও সংকট তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সমাজের নেতা নেত্রী বা জননেতাদের মন্তব্য সাধারণ মানুষের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।

কিন্তু বর্তমানে যেভাবে একের পর এক সোশাল মিডিয়ায় বিতর্কিত মন্তব্য ভিডিও দেখা যাচ্ছে, তাতে লিঙ্গ বৈষম্য বা সমতা দূরে থাক, মানবিকতা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে সম্প্রতি আবারও খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে যোগীরাজ্য। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের হাথরাস কাণ্ড নিয়ে গোটা দেশজুড়ে যে চূড়ান্ত উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে, তারই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও থেকে শুরু করে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা যাচ্ছে বিজেপির অন্দরে।

উত্তরপ্রদেশে বর্তমানে সরকারে রয়েছে গেরুয়া শিবির। সেইসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের এহেন ঘটনায় সম্প্রতি এক বিজেপি নেতার মন্তব্য ঝড় তুলেছিল বিরোধীদের মধ্যে। তবে সম্প্রতি কংগ্রেসকে নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সেই সঙ্গে সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা গেছে, দলেরই একজন আর একজনের কলার ধরে মারপিট করছে। কংগ্রেসের নিজেদের সদস্যদের মধ্যেই চলছে তুমুল মারপিট।

জানা গেছে ব্যানার কারা ধরবে, তা নিয়েই সমস্যার সূত্রপাত হয়েছিল। স্যোশাল মিডিয়ায় এই ভিডিও ভাইরাল হতেই, একের পর এক মন্তব্য আসতে থাকে। একজনকে ব্যাঙ্গ করে লিখতেও দেখা যায় ‘প্রোটেস্ট ইন প্রোটেস্ট’। অন্যদিকে কেউ বলেন দেখে মনে হচ্ছে, পরবর্তী সময়ে যদি তারা দ্বিতীয়বার এই সুযোগ না পায়, তাই যোগী আদিত্যনাথ, এরকম করছেন। এই ব্যক্তিকে এই কথায় সায় দিতেও দেখা যায়। উত্তরপ্রদেশে তরুণীর গণধর্ষণের ঘটনায় যেখানে দেশ জুড়ে এক প্রতিবাদ চলছে, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ থেকে শুরু করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের উপর উঠেছে নানান অভিযোগ উঠতেও দেখা গিয়েছিল।

এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর অপদার্থতার দোয়াই দিয়ে তাঁকে বরখাস্ত করার জন্যও শ্লোগান উঠেছিল। কিন্তু এরই মধ্যে ৫ই অক্টোবর সোমবার মুম্বাইয়ের ভাসাইয়ে কংগ্রেস কর্মীরা হাথরস ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে গিয়েছিলেন বলে জানা যায়। আর সেখানে নিজেদেরকেই শুরু করে দিতে দেখা গেছে গোষ্ঠীদ্বন্ধ। গণধর্ষণের প্রতিবাদী সভায় নিজেরাই নিজেদের নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু করে। দেখা যায় নিজেদের মধ্যেই তুমুল সংঘর্ষ। যে ঘটনার ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই কমেন্ট করতে দেখা গেছে অসংখ্য মানুষকে।