হ্যাটট্রিকের পুরস্কার পেল কুমারগঞ্জ? বড়সড় রদবদলে গুঞ্জন! উত্তরবঙ্গ তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য August 16, 2021 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিগত বাম সরকারের আমলে যখন বিরোধী নেত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন অন্যান্য আন্দোলনের মতো তার আন্দোলনের সরণিতে জায়গা পেয়েছিল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ এলাকা। বারবার নির্বাচনী সভায় দক্ষিণ দিনাজপুরে আসলেই সেই কুমারগঞ্জের কথা তুলে ধরতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কুমারগঞ্জের নিহত ছাত্র পার্থ সিংহ রায়ের কথা তুলে ধরে তারা আন্দোলন এবং বালুরঘাট আদালতে মুভ করার কথা উল্লেখ করেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। আর এবার সেই কুমারগঞ্জের কথা মনে রেখেই কি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পরিচালনার ভার কুমারঞ্জের হাতে তুলে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো? ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যাপক রদবদলের পর এই জল্পনা ক্রমশ মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে। মূলত, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি এবং চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়েছে কুমারগঞ্জ জেলা থেকেই। যার ফলে মনে করা হচ্ছে, 2011, 2016 এবং 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থীরা জয়লাভ করেছিলেন। তাই সেই কারণে সেই কুমারগঞ্জের উপর ভরসা রেখে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তৃণমূল কংগ্রেস যে এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই পরিচালিত হবে, তা তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে পরিষ্কার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেসে “এক ব্যক্তি এক পদ” নীতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন জেলায় পরিবর্তন হতে পারে বলে গুঞ্জন তৈরি হয়। আর সোমবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে কার্যত বিভিন্ন জেলার সংগঠনে পরিবর্তনের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। যেখানে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পরিবর্তন দেখে অনেকেরই চোখ কপালে উঠে যায়। জেলা তৃণমূলের সভাপতি করা হয় কুমারগঞ্জের উজ্জ্বল বসাক এবং চেয়ারম্যান করা হয় সেই কুমারগঞ্জের নিখিল সিংহ রায়কে। যার ফলে একাংশ বলছেন, তিন-তিনবার তৃণমূলকে জিতিয়ে দেওয়ার ফল পেল কুমারগঞ্জ। 2011 সালে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস পাঁচটি আসনে জয়লাভ করেছিল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে তারপর বিভিন্ন সময় গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে অনেক আসন হারাতে হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে। কিন্তু বরাবর কুমারগঞ্জ বিধানসভা আসনে লিড পেয়েছে ঘাসফুল শিবির। আর সেই কারণেই কি কুমারগঞ্জকে বড়সড় পুরস্কার দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? কার্যত সকলকে চমকে দিয়ে কুমারগঞ্জের দুই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতাকে জেলা সংগঠনের বড়সড় দায়িত্ব দিয়ে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব বুঝিয়ে দিল, যারা দলকে ভালোবেসে সংগঠনকে চাঙ্গা করবার জন্য কাজ করবে, তাদের জন্য দল অবশ্যই চিন্তা করবে। বলা বাহুল্য, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদর শহর হিসেবে পরিচিত বালুরঘাট এবং গঙ্গারামপুরের মধ্যেই তৃণমূলের সংগঠনের দায়িত্ব কারা পাবে, তা নিয়ে দড়ি টানাটানি চলত। এমনকি এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে বারবার কখনও বালুরঘাট, আবার কখনও বা গঙ্গারামপুরে তৃণমূলের প্রার্থীদের পর্যুদস্ত হতে হয়েছে। এমনকি 2021 সালের সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনের বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর এবং তপনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন। তবে এই জেলার বাকি তিনটি আসনে জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যার মধ্যে অন্যতম কুমারগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র। তাই সেই কুমারগঞ্জ ভালো ফল করার জন্য সেখানকার নেতৃত্বদের ওপর ভরসা রেখে সেখানকার দুই নেতাকে জেলার চেয়ারম্যান এবং সভাপতি করে পুরস্কৃত করল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -