এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > হাতরসে পুলিশি প্রতিরোধের মুখে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল

হাতরসে পুলিশি প্রতিরোধের মুখে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত মঙ্গলবার দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যু হয় উত্তরপ্রদেশের হাথরসের গণধর্ষিতা নির্যাতিতার। অভিযোগ উঠেছে গত ১৪ ই সেপ্টেম্বর উচ্চবর্ণের ৪ জন অভিযুক্ত দলিত এই তরুণীকে গণধর্ষণ করে। দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের মতো এই কান্ডেও গণধর্ষণের পর এই তরুনীর উপর নির্মম ভাবে অত্যাচার চালানো হলো। অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে তাঁকে আলিগড়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকলে তাকে স্থানান্তর করা হয় দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে।

এরপর থেকে নির্যাতিতার গ্রাম ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এই ১৪৪ ধারা ভেঙে সেখানে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল। কিন্তু পুলিশের বাধার সম্মুখীন হতে হয় তাদের। আজ শুক্রবার নির্যাতিতা তরুণীর বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে পুলিস আটকে দেয় তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে। যে দলে ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, মমতা বালা ঠাকুর, প্রতিমা মন্ডল প্রমুখেরা। অভিযোগ উঠেছে বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও পুলিশ তাদের গ্রামে ঢোকার অনুমতি দেয়নি। জোর করে ঢোকার চেষ্টা করলে তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ধাক্কাধাক্কিতে মাটিতে পড়ে যান তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। সংবাদ সংস্থা এএআইয়ের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে এমনটাই দেখা যাচ্ছে। তৃণমূল দলের তরফ থেকে প্রকাশ করা বিবৃতিতেও পুলিসের দুর্ব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত গতকাল বৃহস্পতিবার হাতরসে পৌঁছানোর চেষ্টা করলে রাহুল, প্রিয়াঙ্কাকেও বাঁধা দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। রাহুল গান্ধীর কনভয় আটকে দেওয়া হলে গাড়ি থেকে নেমে কথা বলতে গিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ উঠেছে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে সেসময়ে ফেলে দেয় পুলিশ। সাংবাদিকদেরও সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

হাতরসে ধর্ষণের ঘটনায় দেশজুড়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। এ বিষয়ে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ফোন পাওয়ার পর চাপে পড়েই যোগী সরকার দ্রুত সিট্ গঠন করেছে। বলা হয়েছে সাত দিনের মধ্যে এর রিপোর্ট দিতে। সেইসঙ্গে জানানো হয়েছে ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্টে হবে এই মামলার শুনানি। ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে নির্যাতিতা তরুণী পরিবারকে। কিন্তু বিরোধী দলের অভিযোগ, সিট্ গঠন করতে এতটা সময় কেন নিয়েছে যোগী সরকার? সেই সঙ্গে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠেছে নানা অভিযোগ। নির্যাতিতা তরুণীর মা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে, তাঁর মেয়েকে চোখের দেখা দেখতে না দিয়েই জোর করে পুলিশ তার দেহ সৎকার করেছে।

এ ঘটনায় যোগী সরকারকে অভিযোগের কাঠ গড়ায় তুলে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী একটি ভার্চুয়াল বিবৃতিতে জানালেন, ” আপনি প্রধানমন্ত্রীর ফোনের অপেক্ষায় ছিলেন? এক ধর্ষিতার পরিবারের সঙ্গে এ কেমন ব্যবহার? একজন মা তাঁর মৃত সন্তানের দেহ বাড়ি নিয়ে যেতে পারল না। আপনার সরকার কী ভাবে এত অমানবিক হয়? ” উত্তপ্রদেশকে জঙ্গলরাজের সঙ্গে তুলনা করে যোগী সরকারের তীব্র সমালোচনা করলেন রাহুল গান্ধী। এ প্রসঙ্গে তিনি টুইট করেন, ” বিজেপি সরকার দলিতদের দমিয়ে রাখছে। আমাদের লড়াই এই বিদ্বেষের বিরুদ্ধে।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!