এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > হাততালি পেলেও কাজে দিল না মহাগুরুর ডায়লগ, ছোবল মারতেই পারল না বিজেপি!

হাততালি পেলেও কাজে দিল না মহাগুরুর ডায়লগ, ছোবল মারতেই পারল না বিজেপি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নবান্ন দখল করতে বিজেপিতে প্রচুর সুপারস্টার থেকে শুরু করে হেভিওয়েট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের যোগদান করানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে অন্যতম তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ তথা মহাগুরু বলে পরিচিত মিঠুন চক্রবর্তী। প্রধানমন্ত্রীর ব্রিগেড সমাবেশের মঞ্চে ধুতি পাঞ্জাবি পরে উপস্থিত হয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন তিনি। আর এরপরে “জাত গোখরোর” জনপ্রিয় সংলাপ বলে মাতিয়ে দিয়েছিলেন ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড। পরবর্তীতে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার করতে বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে বিভিন্ন বিধানসভায় যেতে হয়েছিল মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীকে।

প্রথমদিকে শোনা গিয়েছিল, তিনি প্রার্থী হতে পারেন। পরবর্তীতে প্রার্থী না হলেও বিজেপির তারকা প্রচারক হিসেবে বিখ্যাত সংলাপ জনসভায় বলে মানুষের হাততালি পেতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। তবে মিঠুন চক্রবর্তীর মত মহাগুরুকে এনেও কোনো লাভ করতে পারল না ভারতীয় জনতা পার্টি। প্রচুর হাততালি এবং ডায়লগ দিয়ে মানুষের মন জয় করলেও, ভোটবাক্সে যে মানুষের হাতের আঙ্গুল পদ্মফুলের দিকে যায়নি, তা ফলাফল প্রকাশের মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার হয়ে গেল।

বলা বাহুল্য, রবিবার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে, বিজেপি এই রাজ্যে কার্যত মুখ থুবরে পড়েছে। আর তখন থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, মিঠুন চক্রবর্তী সহ একাধিক হেভিওয়েট জনপ্রিয়তম ব্যক্তিকে বিজেপি নিজেদের দিকে নিয়ে এসেছিল। তাদের সংলাপ, বাচনভঙ্গিমা প্রচুর হাততালি পেয়েছে। কিন্তু ভোটবাক্সে কেন তার প্রতিফলন হল না? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু মিঠুন চক্রবর্তী নয়। গত কয়েক মাসে যে সমস্ত তারকারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাদের কেউই সেভাবে বিজেপিকে সাফল্য এনে দিতে পারেননি। বিজেপি প্রার্থীদের একটা বড় অংশ তারকা হিসেবে ভোটে দাড়িয়ে পরাজিত হয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেই তুলনায় তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়ানো তারকা প্রার্থীরা অনেকটাই সাফল্য পেয়েছেন। তবে মিঠুন চক্রবর্তীর মত সুপারস্টার যখন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন, তখন সংস্কৃতিপ্রেমী বাংলার মানুষ সেই মিঠুন চক্রবর্তীকে দেখে বিজেপির প্রতি আকৃষ্ট হবেন বলেই মনে করা হয়েছিল। এমনকি মিঠুন চক্রবর্তী যদি বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী না হন, তাহলে তাকে রাজ্যের ক্ষমতা দখলের পর বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্যসভায় পাঠানোর হতে পারে বলেও জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু যেভাবে বিজেপি রাজ্যে মুখ থুবড়ে পড়ল, তাতে সেই সম্ভাবনা আর নেই বলেই জানা যাচ্ছে।

একাংশ বলছেন, 2011 সালে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন সময়ে একাধিক নির্বাচনে তারকা প্রার্থীদের দাঁড় করিয়েছিল। এমনকি তারা বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলেন, এক্ষেত্রে বাংলার মানুষের নজর ছিল সেই সমস্ত তারকা প্রার্থীদের দিকে। স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যে পরিবর্তন আনতে গিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি অনুভব করেছিল তারকা প্রার্থীকে। বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে তারা হয়ত জয়লাভ করতে সক্ষম হবে।

কিন্তু বাস্তবে ফলাফল উল্টো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির তারকা প্রার্থীরা জনসভা করতে গেলে হয়ত ভিড় হয়েছে ঠিকই, এমনকি তাদের নিত্য নতুন ডায়লগ মানুষের মনে আনন্দের সৃষ্টি করেছে। কিন্তু ভোটবাক্সে মানুষ সমর্থন রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকেই। এক্ষেত্রে মিঠুন চক্রবর্তী থেকে শুরু করে অন্যান্য সুপারস্টার অভিনেতা-অভিনেত্রীরা যতই বিজেপির হয়ে গলা ফাটাক, কার্যত যে তাদের পরিশ্রম এবং চেষ্টা ফ্লপ হয়ে গেল, তা বলাই যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!