এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > হকার উচ্ছেদ নিয়ে তুলকালাম! তৃণমূলের দুই হেভিওয়েটের দ্বন্দ্বে সরগরম রাজনৈতিক মহল

হকার উচ্ছেদ নিয়ে তুলকালাম! তৃণমূলের দুই হেভিওয়েটের দ্বন্দ্বে সরগরম রাজনৈতিক মহল

রাজ্যে আবার তৃণমূল অন্দরমহলে বিতর্কের সূত্রপাত। এবার বাঁকুড়াতে পুরসভার চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলে এলো প্রকাশ্যে। বরাবরই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শিরোনামে থেকেছে সব সময়। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কিছুতেই তা সফল হচ্ছে না। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই রাজ্যে বিরোধী দলগুলো শাসক শিবিরকে প্রতিহত করতে থাকে। এবার নতুন করে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসার ফলে তৃণমূল দলের অন্দরে শুরু হয়েছে চরম অস্বস্তি। হাই কমান্ড থেকে নির্দেশ পাবার পরেও কিভাবে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এখনো চলছে, তা নিয়ে দলের অন্দরেই জেগেছে প্রশ্ন।

সম্প্রতি বাঁকুড়া পুরসভায় হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। সপ্তাহের ছুটির দিন রবিবার শহরের রানীগঞ্জ মোড় থেকে চরবাজার পর্যন্ত হকার উচ্ছেদ করতে নেমেছিলেন বাঁকুড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ আগরওয়াল। অন্যদিকে দিলীপ আগরওয়ালের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে চেয়ারম্যান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, হকার উচ্ছেদ নিয়ে পুরসভার পক্ষ থেকে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছে পুরভোট। আগামী বছরে গোটা রাজ্যজুড়ে চলবে পুরভোট। এই পুরভোটে বিজেপিকে রুখে দেওয়াই এখন একমাত্র লক্ষ্য তৃণমূলের। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেত্রী বারংবার নির্দেশ দিচ্ছেন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে সবাইকে একসাথে কাজ করার জন্য। তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশ এক্ষেত্রে কোন কাজে আসলো না এবং তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন বাঁকুড়া চেয়ারম্যান দাবি করেছেন শহরের হকার উচ্ছেদ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি পাশাপাশি তিনি এও বললেন দলীয় সিদ্ধান্ত ছাড়া কোনরকম পুনর্বাসন বা উচ্ছেদ করা যাবেনা তবে রাস্তা ঘাটে বসে থাকার ফলে জ্যামের কারণ সম্পর্কে তিনি অবহিত। অন্যদিকে, জ্যামের কারণে সাধারণ মানুষের যে অসুবিধা হয়, সে সম্পর্কেও তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে পুনর্বাসন দেওয়ার পরেই হকার উচ্ছেদ করা হবে বলে স্পষ্ট ভাষায় এদিন জানিয়ে দিয়েছেন পুরপ্রধান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত।

শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে ঘিরে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহলে তুমুল সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে প্রতিদিন এমনিতেই দলীয় সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে চলেছে। বাঁকুড়ার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা সামনে আসতেই তৃণমূল নেত্রী রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন। তাই এবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেরামতিতে তৃণমূল নেত্রী কড়া ব্যবস্থা নিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, শাসক দলের অন্দরে যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে তা থামাতে না পারলে অদূর ভবিষ্যতে তৃণমূল কংগ্রেস বড় রকমের অসুবিধায় পড়তে পারে। আপাতত দেখার, মুখ্যমন্ত্রী বারণ করার পরেও যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এলো বাঁকুড়ায় তা সামাল দিতে তৃণমূল কংগ্রেস কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!