প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজনৈতিক যুদ্ধের প্রস্তুতি এখন বাংলার রাজনৈতিক মহলে। বিধানসভা নির্বাচনের মসনদ দখল করতেই এখন যাবতীয় ঘুঁটি সাজানোর কাজ চলছে রাজনৈতিক শক্তিগুলির। একে অপরকে মাত দেওয়ার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে প্রত্যেকেই। নিজেদের শক্তি বাড়ানোর উদ্দেশ্যে মেতে উঠেছে বর্তমানে শাসক-বিরোধী উভয় শিবিরই। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দেখা গেছে, জঙ্গলমহলে উন্নয়নের ধারাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছে গেরুয়া শিবির। জঙ্গলমহল থেকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে তৃণমূল।

এই অবস্থায় শাসকদল জঙ্গলমহলের এলাকা পুনর্দখলের দিকে আবার নতুন করে নজর দিয়েছে। কিন্তু তাতে বিশেষ কিছু হেরফের হচ্ছেনা। কারণ সম্প্রতি জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকা এবং হাওড়া হুগলি থেকে দলে দলে বিভিন্ন দলের কর্মীরা যোগদান করে চলেছেন বিজেপিতে বলে দাবী করা হচ্ছে গেরুয়া শিবির থেকে। সম্প্রতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে বাঁকুড়ায় 500 জন তৃণমূল কর্মী এবং এক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক সুমিত্রা সিংহ দেব যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে।

এছাড়াও পুরুলিয়ার সাংগঠনিক জেলার পারা বিধানসভায় গেরুয়া শিবিরকে জোরদার করতে 26 টি পরিবার থেকে মোট 120 জন তৃণমূল এবং সিপিএম ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করলেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে পুরুলিয়ার সাংগঠনিক জেলার রঘুনাথপুর বিধানসভাতেও একই ছবি। সেখানেও একইভাবে 75 টি পরিবার থেকে মোট 365 জন তৃণমূল সমর্থক এদিন যোগ দিলেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। অন্যদিকে ঝাড়গ্রাম সাংগঠনিক জেলার নয়াগ্রাম বিধানসভাতেও দলবদল ঘটেছে।

সেখানেও গেরুয়া শিবিরের শক্তি বৃদ্ধি করতে এবং পশ্চিমবঙ্গ বুক থেকে তৃণমূলকে সরাতে সিপিএম থেকে 220 টি পরিবার এবং তৃণমূল থেকে 90 টি পরিবার যোগ দিয়েছে গেরুয়া শিবিরে বলে জানা যাচ্ছে। শুধু জঙ্গলমহলই নয়, গেরুয়া শিবিরে দলবদলের ধারা অব্যাহত হুগলী জেলাতেও। সম্প্রতি হুগলির সাংগঠনিক জেলা বলাগড় বিধানসভায় তৃণমূল ও সিপিএমের 700 জন কর্মী গেরুয়া শিবিরের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে হাওড়া গ্রামীণ সাংগঠনিক জেলা উলুবেড়িয়া দক্ষিণ বিধানসভায় 75 টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিশেষজ্ঞদের মতে, গেরুয়া শিবিরের দাবি যদি সত্যি হয় তাহলে একুশের নির্বাচনের আগেই গেরুয়া শিবির কয়েক কদম এগিয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই দলবদলের পরিপ্রেক্ষিতে এখনো পর্যন্ত তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, যেভাবে অন্যান্য দল থেকে গেরুয়া শিবিরে যাবার জন্য ঢল নেমেছে তাতে গেরুয়া শিবিরের শক্তি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে বাংলার বুকে।