এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > বাংলায় পুলিশের মদতেই দিনের পর দিন চলছে “গুন্ডাট্যাক্স” আদায়? হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে সরকার

বাংলায় পুলিশের মদতেই দিনের পর দিন চলছে “গুন্ডাট্যাক্স” আদায়? হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে সরকার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার ফের হাইকোর্টে বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। বস্তুত, মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং দুই দিনাজপুর জেলায় ট্রাক চালাতে গেলে গুন্ডাট্যাক্স দিতে হচ্ছে বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ রয়েছে। যেখানে দুষ্কৃতীরা রীতিমতো লরি আটকে দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকা প্রতি লরির পিছনে আদায় করছে বলে অভিযোগ। এমনকি টাকা না দিলে লরি চলবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তারা‌। স্বাভাবিকভাবেই গোটা ঘটনায় একাধিকবার ট্রাক মালিকরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন।

কিন্তু তাতেও লাভের লাভ কিছু হয়নি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হলেও বাস্তবে যেমনটা ছিল, ঠিক তেমনটাই রয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে চার জেলায় ট্রাক চালাতে গিয়ে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ট্রাক মালিকরা। কেন প্রশাসনে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও, সুরাহা হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তারা। আর এবার বাধ্য হয়ে এই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বেশ কয়েকজন ট্রাক মালিক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাদের অভিযোগ, মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘী, সুতি, জঙ্গিপুর, সামশেরগঞ্জ, ফারাক্কা, মালদহের বৈষ্ণবনগর, কালিয়াচক, ইংলিশবাজার, মালদা ট্রাফিক, ওল্ড মালদা, গাজোল, উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি, ডালখোলা, ইসলামপুর, চাপরা এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর, ইটাহার, বুনিয়াদপুর এবং গঙ্গারামপুর থানা এলাকায় দুষ্কৃতীদের এই বাড়বাড়ন্ত চলছে। স্বাভাবিক ভাবেই এবার গোটা ঘটনা আদালতে চলে যাওয়ায় প্রশাসন যে ব্যাপক সমস্যায় পড়বে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ।

সূত্রের খবর, সোমবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের এজলাসে একটি ভিডিও কনফারেন্স এই মামলার শুনানি হয়। যেখানে ট্রাক মালিকদের আইনজীবী মহিনুর রহমান এবং মারিয়া রহমান বলেন, “পুলিশের মদতেই কি দিনের-পর-দিন এই ট্যাক্স আদায় করে চলেছে দুষ্কৃতীরা?” এদিকে এদিনের এই এজলাসে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আইনজীবী না থাকায় সরকারি কৌঁসুলি আনন্দ ফরমানিয়াকে রাজ্যের ডাইরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ বা ডিজিপির মতামত নেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার।

পাশাপাশি যে চার জেলায় এই বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে, সেখানকার পুলিশ আধিকারিকদের রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। জানা গেছে, আগামী 12 আগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। স্বাভাবিক ভাবেই পরবর্তী শুনানিতে রাজ্য প্রশাসন এই ব্যাপারে আদালতের কাছে কি জবাবদিহি করে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের পক্ষ থেকে কি বলা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!