এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক ও প্রভাবশালী নেতার দ্বন্দ্বে উত্তাল নদীয়া! অস্বস্তি বাড়ছে শাসকদলের অন্দরে

হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক ও প্রভাবশালী নেতার দ্বন্দ্বে উত্তাল নদীয়া! অস্বস্তি বাড়ছে শাসকদলের অন্দরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসে একটি বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিচ্ছে গোষ্ঠী কোন্দল। গোষ্ঠী কোন্দলে স্থানে স্থানে আক্রান্ত হচ্ছে করছে শাসক দল তৃণমূল। এ সম্পর্কে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর একাধিকবার সতর্ক করে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও বারবার ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তাঁর দলের নেতাকর্মী তথা সদস্যদের।

কিন্তু এত করেও দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বে কিছুতেই যেন লাগাম পড়ানো যাচ্ছে না। স্থানে স্থানে দলের মধ্যে ঘঘুরে ফিরে দেখা দিচ্ছে অন্তর্দ্বন্দ্ব। যা রূপ নিচ্ছে সংঘর্ষ, অস্থিরতার। গতকাল নদীয়া জেলার চাপড়া গ্রামে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দেখা দিল প্রবল অন্তর্দ্বন্দ্ব।

নদীয়া জেলার চাপড়া তৃণমূল ব্লক সভাপতি জেবের শেখের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিধায়ক রুকবানু রহমানের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে দীর্ঘ সময় ধরে। তাদের মধ্যে চলে আসছে তীব্র বিরোধ। তাদের এই বিরোধের জেরে চাপরা ব্লকে এই দুই নেতার অনুগামীরা দুটি পরস্পর বিরোধী শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। চাপড়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রুপালি দাস ও তার দলীয় সমর্থকেরা সকলেই জেবের পন্থী।

কিন্তু চাপড়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জিয়ার মন্ডল ও তার অনুগামী তৃণমূল সদস্যরা সকলেই রুকবানু পন্থী। এই দুই পক্ষের মধ্যে সবসময়ই অশান্তি, অভিযোগ ও পারস্পরিক সংঘর্ষের চলে আসছিল। সম্প্রতি বাংলা আবাস যোজনা তালিকা প্রকাশের পর থেকেই তাদের বিবাদ আরো কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। সম্প্রতি বাংলা আবাস যোজনা তালিকাতে যাদের নাম উঠেছে তাদের নামের সঙ্গে আধার কার্ড যুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছিল পঞ্চায়েত অফিসে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই পরিস্থিতিতে গতকাল শুক্রবার দুপুরবেলায় হঠাৎ করে ও দুই পক্ষের মধ্যে প্রচন্ড বচসা ও অশান্তি দেখা দিল। দুপক্ষের ধস্তাধসির জেরে পঞ্চায়েত অফিসে কম্পিউটার ল্যাপটপ ভেঙে ফেলা হলো, টেনে ছিঁড়ে ফেলা হলো বাংলা আবাস যোজনার দরকারি ফাইল। শেষপর্ন্তত গাঙগলের খবর পেয়ে পুলিশ পঞ্চায়েত অফিসে পৌছায়, ও দুপক্ষকে শান্ত করে ঘটনার সামাল দেয়। এই ঘটনার পর পরস্পর বিরোধী দু পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।

চাপড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রুপালি দাস এ প্রসঙ্গে অভিযোগ করেছেন যে, গতকাল দুপুরে তারা যখন তারা পঞ্চায়েত অফিসে লোকজন নিয়ে আবাস যোজনার তালিকাভূক্তদের নামের সঙ্গে তাঁদের আধার কার্ড যুক্ত করার কাজ করছিলেন, সে সময় হঠাৎ করেই সেখানে চলে আসেন উপপ্রধান জিয়ার মন্ডল তার অনুগামীদের নিয়ে। দাবি জানান, তাঁর অনুগামীদের নামের সঙ্গে আগে আধার কার্ড যুক্ত করে দিতে হবে। এরপরেই শুরু হয় বচসা। পঞ্চায়েত প্রধান রুপালি দাস সম্পর্কে অভিযোগ করেছেন, ” ওরা আগেই নিজেদের লোকজনের আধার কার্ড যুক্ত করে নিয়েছে। এ দিন শুধু অশান্তি করতেই এসেছিল।”

উপপ্রধান জিয়ার মন্ডল তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। উল্টে অভিযোগ করেছেন প্রধানের বিরুদ্ধে এ সম্পর্কে তিনি জানিয়েছেন, “আমাদের অন্ধকারে রেখে প্রধান তাঁর লোকজন দিয়ে নিজের মতো করে কাজ করছেন। আমরা তার প্রতিবাদ করাতেই লোকজন দিয়ে আমাদের মারধর করাল। নিজেরাই ভাঙচুর করে এখন আমাদের নামে দোষ দিচ্ছে।”

গতকালের পঞ্চায়েত অফিসের এই গন্ডগোল সম্পর্কে চাপড়া তৃণমূল ব্লক সভাপতি জেবের শেখ অভিযোগ করেছেন বিধায়ক রূপ বানুর রহমানের অনুগামীদের প্রতি। এ সম্পর্কে তিনি জানিয়েছেন, ” শুধু ভাঙচুর করাই নয়, মহিলা প্রধানকে যে ভাষায় গালিগালাজ করেছে বিধায়কের লোকজন, তা মানা যায় না। আমি চাই, পুলিশ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করুক, সে তারা যে দলেরই হোক না কেন।”

অন্যদিকে গতকালের ঘটনা সম্পর্কে চাপড়ার বিধায়ক রুকবানুর রহমান ব্লক সভাপতিকে অভিযোগের কাঠগড়ায় তুলে জানিয়েছেন, ” ব্লক সভাপতি জেবের শেখ সমাজবিরোধীদের দিয়ে সর্বত্র সমস্যা তৈরি করছেন। ওই পঞ্চায়েতেও সেই একই ঘটনা ঘটেছে। আমি শীর্ষ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানাব।” এভাবেই বিধায়ক ও ব্লক সভাপতি একে অপরের দিকে অভিযোগের কাদা ছোড়াছুড়ি করছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!