কেন পদ হারালেন তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রী, পিছনে কি প্রশান্ত কিশোর – জল্পনা তুঙ্গে কলকাতা রাজ্য হাওড়া-হুগলি July 4, 2019 লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফল হওয়ার পর বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে তা বাস্তবায়িত হল। হুগলি জেলা তৃণমূলের সভাপতির পদ থেকে সরানো হল তপন দাশগুপ্তকে। তপনবাবুকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় বসানো হয়েছে দিলীপ যাদবকে। এর আগে তৃণমূলের কার্যকরি সভাপতি হিসেবে আরামবাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন তিনি। এর পাশাপাশি সাংগঠনিক শক্তি বাড়িয়ে জেলায় ঘুরে দাড়ানোর জন্য নতুন ৪জন কার্যকরি সভাপতি করা হয়েছে হুগলিতে। তাঁরা হলেন গোঘাটের বিধায়ক মানস মজুমদার, হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্না, উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল ও ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র । হুগলি জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান করা হয়েছে প্রাক্তন সাংসদ রত্না দে নাগকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কেন কোপ পড়লো তাঁর উপর তাই নিয়ে রাজনৈতিকমহলে শুরু জল্পনা। অনেকে বলছেন যে লোকসভা ভোটের ফালাফালি এর কারণ। কেননা লোকসভা ভোটে যে কয়েকটি কেন্দ্রের ফলকে তৃণমূল নেত্রী একেবারেই মেনে নিতে পারেননি তার মধ্যে অন্যতম হল হুগলি কেন্দ্র। দুবারের সাংসদ ডা. রত্না দে নাগ প্রায় ৮০০০০ ভোটে পর্যুদস্ত হন বিজেপির লকেট চ্যাটার্জীর কাছে। বলাগড়, চুঁচুড়া ও আদিসপ্তগ্রামে তৃণমূলের চরম বিপর্যয় হয়। প্রাথমিক বিষ্ময়ের ধাক্কা কাটিয়ে হারের ময়নাতদন্তে উঠে আসে কাটমানি ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ব। আর সবক্ষেত্রেই দলের অন্দরে অভিযোগের আঙুল ওঠে কৃষি বিপনন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে। আর তার জেরেই তাঁকে তৃণমূলের জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, নির্বাচনের ফল সামনে আসার পর থেকেই কার্যত দলের মধ্যে একঘরে হয়ে পরেছেন সপ্তগ্রামের বিধায়ক ও রাজ্যের কৃষি ও বিপনন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত। একদিকে শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছে তিনিই ঐ কেন্দ্রে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্য দায়ি, আবার নিচুতলার কর্মীরা অভিযোগ এলাকাজুড়ে নানারকমের তোলাবাজি, কাটমানির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তপনবাবু। কয়েকদিন আগেই সরকারি প্রকল্পে কাটমানি নেওয়াকে কেন্দ্র করে তপনবাবুর আবাসনের সামনে বিজেপির নেতৃত্বে বিক্ষোভও দেখানো হয়েছিল। তপন দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে ওঠা এইসমস্ত অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীরও কানে পৌঁছয়।এরপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় তপনবাবুকে। এদিকে এখানেই শেষ নয়।শোনা যাচ্ছে শুধুমাত্র সভাপতির পদই নয় ভবিষ্যতে মন্ত্রীত্বও খোয়াতে পারেন তিনি। যার নৈপথ্যে নাকি রয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। কেননা আগামী পুরভোট ও বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছেন তৃণমূলের ভোট ম্যানেজার। আর এদিকে তিনি নেত্রীকে দলে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি আনতে দল থেকে কয়েকজন নেতা মন্ত্রীকে নিষ্ক্রিয় করার পরামর্শও দিয়েছিলেন ফলে একদলের দাবি তাপনবাবুকে দিয়েই সেই কাজ শুরু করলেন তৃণমূল নেত্রী। ফলে কারণ জানা না গেলেও জল্পনার পারদ চড়ছে। যদিও এই নিয়ে এখনো পর্যন্ত তৃণমূল বা তাপনবাবুর কাছ থেকে কোনো পতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। আপনার মতামত জানান -