এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > এখনও প্রার্থী ঘোষণা না হলেও কর্মীসভা করে জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন এই হেভিওয়েট বিজেপি নেতা

এখনও প্রার্থী ঘোষণা না হলেও কর্মীসভা করে জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন এই হেভিওয়েট বিজেপি নেতা

লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি 18 টি আসন পাওয়ার পর তাদের টার্গেট, আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। আর একথা বিজেপির ছোট, বড়, মেজো সব নেতাদের গলাতেই শোনা গেছে। এদিকে লোকসভা নির্বাচনের কিছুদিন যেতে না যেতেই রাজ্যের 3 কেন্দ্রের বিধানসভা উপনির্বাচনের দামামা বাজলে শাসক-বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছেই এটা অ্যাসিড টেস্ট হিসেবে গণ্য হবে বলে মনে করেছিল রাজনৈতিক মহল।

সেইমতো করিমপুর, খড়্গপুর এবং কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে ইতিমধ্যেই সমস্ত রাজনৈতিক দল তাদের প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। কর্মীদের একাংশের মধ্যে হতাশা চরম পরিমাণে লক্ষ্য করা গেছে। অনেকেই প্রশ্ন করছেন, যেখানে বিজেপি ক্ষমতা দখলের আশা দেখছে, সেখানে তড়িঘড়ি প্রার্থী ঘোষণা না করে কেন সময় নষ্ট করা হচ্ছে!

এক্ষেত্রে তো শাসক দল বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দল অনেকটাই প্রচারে অ্যাডভান্টেজ পেয়ে যাবে! তবে বিজেপির অন্দরমহল সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা গেছে যে, তিন বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হতে চেয়ে একাধিক নাম জমা পড়েছে। তাই কাকে দিলে জয়লাভ করা বেশি সহজ হবে, তা নিয়েই দলের অন্দরে চর্চা চলছে। তবে খুব শীঘ্রই প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রার্থী ঘোষণা না হলেও বৃহস্পতিবার করিমপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রস্তুতি বৈঠক করতে দেখা গেলেও বিজেপি রাজ্য নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর জয়প্রকাশবাবুর এই করিমপুরে আগমন নিয়ে এখন নানা মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। অনেকেই বলছেন, করিমপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রথম থেকেই বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন জয়প্রকাশবাবু বলে শোনা গিয়েছিল। ফলে এবার তিনি করিমপুরে আসায় সেই সম্ভাবনা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠল বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। সূত্রের খবর, এদিন করিমপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবে বেসরকারি লজে যুব মোর্চার একটি কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। আর সেখানেই উপস্থিত হন রাজ্য বিজেপির নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার।

যেখানে করিমপুর বিধানসভার 5 মণ্ডলের যুব মোর্চা সভাপতি এবং প্রতি মন্ডলের 31 জন সদস্যকে নিয়ে একটি বৈঠক করেন তিনি। তবে এদিনের এই বৈঠকের সংবাদমাধ্যমের প্রবেশের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু কি নিয়ে আলোচনা হল বৈঠকে! এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির অনেকে বলছেন, আগামী বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়লাভের জন্য রণকৌশল করা হল। তা যাতে কেউ জানতে না পারে, তার জন্য সংবাদমাধ্যমের প্রবেশের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।

তাহলে কি তিনিই করিমপুরে বিজেপির প্রার্থী! এদিন এই প্রসঙ্গে বৈঠক থেকে বেরিয়ে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “আমাদের দলে সর্বভারতীয় স্তরে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। তাই কে প্রার্থী হচ্ছেন, সেসব না ভেবে এখন থেকেই বিধানসভায় জেতার জন্য ঝাঁপাতে হবে। দল যাকেই প্রার্থী করুক, তিনিই জিতে বিধানসভায় যাবেন।” কিন্তু জয়প্রকাশবাবু যাই বলুন না কেন, করিমপুর কেন্দ্রে তাঁর নাম প্রস্তাব করেন স্বয়ং রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর তা সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়ে যায়। তার উপরে এই কর্মীসভা।

ফলে বিজেপির অন্দরে ইতিমধ্যেই এইসব নিয়ে তীব্র কানাঘুষো শুরু হয়ে গেছে। যেহেতু প্রার্থী ঘোষণার আগে এই কেন্দ্রে জয়প্রকাশবাবুর নাম নিয়ে আলোচনা চলেছিল, সেহেতু তাঁর আগমনে তিনিই যে এই কেন্দ্রের প্রার্থী হচ্ছেন, তা একপ্রকার স্পষ্ট হয়ে গেল বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের একাংশের। তবে শেষ পর্যন্ত বিজেপির প্রার্থী ঘোষণা না হলে, কোনো ব্যাপারই পরিষ্কার হবে না। তাই গেরুয়া শিবির কবে প্রার্থী ঘোষণা করে এবং কাকে এই করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করে, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!