এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এনপিআর নিয়ে বিভাজনের ইন্ধন রয়েছে, দাবি হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতার

এনপিআর নিয়ে বিভাজনের ইন্ধন রয়েছে, দাবি হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতার


জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে বর্তমানে উত্তাল ভারতবর্ষের রাজনীতি। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সংসদে পাশ হওয়ার পর তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিরোধীদের তরফে কেন্দ্রকে খোঁচা দেওয়ার পালা শুরু হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার এই গোটা বিষয় নিয়ে মুখ খুলে কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। বস্তুত, সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের সিলেক্ট কমিটির সদস্য রয়েছেন প্রদীপবাবু।

এদিন এই নাগরিকত্ব আইনের ব্যাপারে মুখ খুলে নিজের দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। বস্তুত, সম্প্রতি এনআরসি নিয়ে সরকারি স্তরে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন মন্তব্য করতে গিয়ে প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “মোদি ঠিকই বলেছেন। কিন্তু অর্ধসত্য তার বয়ান। আমি নিজে একাধিকবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে প্রশ্ন করে জেনেছি, সরকারি স্তরে এনআরসি প্রসঙ্গে আলোচনা হয়নি। অথচ সংসদে দাঁড়িয়ে দেশের প্রতি ইঞ্চিতে এনআরসি হবে বলে জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।নিজের ক্যাবিনেট সদস্যের সেই মন্তব্য প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করেন কিনা, তা স্পষ্ট করেননি তিনি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এরপরই নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের দুই ধরনের মন্তব্য নিয়ে তাদের প্রতি আক্রমণ শানান প্রদীপ ভট্টাচার্য। সংঘের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে তিনি বলেন, “এই সংশোধিত আইনকে অস্ত্র করে এনআরসির নামে ধর্মীয় বিভাজন হচ্ছে সংঘের এজেন্ডা। তাই সরকারি স্তরে আলোচনা না করেই এনআরসির প্রসঙ্গ সংসদে এনেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর দেশজুড়ে চলা বিক্ষোভকে সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রী সেই প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন।”

এদিকে এনপিআর সম্পর্কেও এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে নিজের বক্তব্য প্রদান করেন প্রদীপ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “কংগ্রেস আমলে এনপিআরে নাগরিকদের পিতা-মাতার জন্ম সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে কোনো প্রশ্ন ছিল না। কিন্তু 2020 সালের এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া এনপিআরের সেই প্রশ্নটিকে ঘিরেই সন্দেহ দানা বাঁধছে। 50 বছর আগে যারা সাবেক পূর্ব বাংলা বা বাংলাদেশ গঠনের পর এই দেশে এসেছেন, তাদের বাবা-মায়ের জন্মতারিখ ইত্যাদি অনেকের পক্ষেই দেওয়া সম্ভব না। তখনই তাকে সন্দেহভাজন নাগরিক ঘোষণার সম্ভাবনা তৈরি হবে।” সব মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বৈত মন্তব্য এবং এনপিআরে থাকা প্রশ্নকে ঘিরে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রদীপ ভট্টাচার্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!