এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > “অতীত কলঙ্ক” নাকি “ডাকাবুকো মনোভাব” কোন পথে নির্ধারিত হবে হেভিওয়েট প্রাক্তন বাম সংসদের দলবদলের ভবিষ্যৎ?

“অতীত কলঙ্ক” নাকি “ডাকাবুকো মনোভাব” কোন পথে নির্ধারিত হবে হেভিওয়েট প্রাক্তন বাম সংসদের দলবদলের ভবিষ্যৎ?

2011 সালের আগে বাম সাম্রাজ্যে বিরোধীদের ওপর লাগাতার সন্ত্রাস ও অত্যাচারের নেপথ্য কারিগর হিসেবে নাম উঠেছে উঠে এসেছিল সিপিএমের প্রাক্তন নেতা লক্ষ্মণ শেঠের। এক সময় বিগত বাম সরকারের আমলে হলদিয়া সহ গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এলাকায় লক্ষণ শেঠই ছিলেন শেষ কথা।

কিন্তু 2011 সালে রাজ্যের ক্ষমতা চলে যাওয়ার পর সেই লক্ষ্মণ শেঠের প্রতিপত্তিও কমতে থাকে। এদিকে বামেদের পক্ষ থেকে তাঁকে বহিস্কারের পরই রাজনৈতিক অস্তিত্ব খুঁজে বের করার জন্য সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীতে সেই বিজেপি দলও ত্যাগ করেন লক্ষন শেঠ।

বর্তমানে কংগ্রেসের হয়ে লড়াই করবার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন তিনি। তবে বাম আমলের সন্ত্রাসের অন্যতম নায়ক লক্ষ্মণ শেঠকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি তুলেছেন বিধান ভবনের অনেক নেতারাই।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, সমস্ত কিছু ঠিকঠাক থাকলে আজ বিধান ভবনে রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দপ্তর সিপিএমের এই বহিস্কৃত সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠকে কংগ্রেসের পতাকা তুলে দিয়ে দলে স্বাগত জানাতে পারেন প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সোমেন মিত্র। তবে সোমেন মিত্রর পক্ষ থেকে এই লক্ষ্মণ শেঠকে দলে স্বাগত জানানো হলে বিদ্রোহের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্য কংগ্রেসের অনেক নেতাই।

কেননা বিভিন্ন সময় বিগত বাম আমলে এই কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি অভিযোগ করে এসেছিল যে, নন্দীগ্রাম গণহত্যা থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় বিরোধীদের আক্রমণের মূল ভূমিকায় ছিলেন এই লক্ষন শেঠই। ফলে সেই লক্ষন বাবুকে তাঁদের দলে নিলে দলের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে।

এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা আব্দুল মান্নান বলেন, “সিপিএমে থাকাকালীন যারা কংগ্রেস কর্মীদের উপর অত্যাচার চালিয়েছে, তাঁদের তৃণমূল দলে নিয়েছে বলে আমরা সমালোচনা করছি। কিন্তু এখন লক্ষণের মতো হার্মাদকে কংগ্রেসের জায়গা করে দিলে তা কোনো মতেই মেনে নেওয়া হবে না।”

সব মিলিয়ে এখন একদিকে লক্ষ্মণ শেঠের দলবদলের ভবিষ্যত আর অন্যদিকে লক্ষণ বাবুকে যদিও বা কংগ্রেসে নেওয়া হয় তাহলে কংগ্রেসের একাংশের বিদ্রোহ – ঠিক কি হতে চলেছে রাজ্য রাজনীতিতে এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!