এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > BREAKING NEWS – বড়সড় চমক! সরকারি কর্মচারী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখকে দলে নিল গেরুয়া শিবির

BREAKING NEWS – বড়সড় চমক! সরকারি কর্মচারী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখকে দলে নিল গেরুয়া শিবির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া এক্সক্লুসিভ – লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে গেরুয়া শিবির ১৮ টি আসন ছিনিয়ে নেওয়ার পরে, অন্যদল থেকে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক লেগে গিয়েছিল। কিন্তু, তারপরে উৎসবের মরশুমে কোথাও গিয়ে যেন সেখানে ভাটা পড়েছিল। উল্টে, তৃণমূলের হাত ধরে চলছিল ঘর-ওয়াপসি। কিন্তু, রাজ্যের ৩ আসন্ন উপনির্বাচনের আবহে, আবার পুরোনো ছন্দে ফিরতে শুরু করল রাজ্য বিজেপি। এদিন, নিজেদের বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠানে, বড়সড় চমক দিয়ে সরকারি কর্মচারী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখকে দলে নিল তারা।

এদিন বিজেপি প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী পরিষদের বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠানে, দি কলকাতা পোস্টাল ক্লাব হলে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত ধরে সংগঠনে যোগদান করলেন, এই মূহুর্তে রাজ্য সরকারি কর্মচারী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ সুবীর সাহা। সুবীরবাবু আইএনটিইউসি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার পাশাপাশি, কংগ্রেস প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজেরও গুরুত্বপূর্ণ পদে দীর্ঘদিন ছিলেন। সুবীরবাবু ছাড়াও আজ নবান্ন ও খাদ্যভবন থেকে অনেকেই যোগদান করেন, যোগদান করেন কনফেডারেশনের একাধিক কর্মীও।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সবথেকে বড় কথা, বহুল চর্চিত ডিএ মামলার অন্যতম প্রধান স্তম্ভ ছিলেন সুবীরবাবু। ডিএ মামলায় গুরুত্বপূর্ণ নথি জোগাড় করা, সেই মামলার খরচ চালানোর জন্য চাঁদা তুলে অর্থের ব্যবস্থা করা, সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্যান্য সংবাদমাধ্যমে ডিএ মামলার অবস্থান তুলে ধরে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে এই মামলা নিয়ে আরও সচেতনতা বাড়ানো সহ একাধিক পদক্ষেপে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। সেই সুবীর সাহাই এবার একাধিক নেতা ও অনুগামীকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপি-পন্থী সরকারি কর্মচারী পরিষদে যোগদান করলেন।

কিন্তু, কেন এই দলবদল? এই প্রসঙ্গে সুবীরবাবু জানিয়েছেন, আমি যে সংগঠনটি করতাম, সেখানে দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে এসেছি যে, কর্মচারীদের ন্যায্য পাওনা হাতে তুলে দিতে হলে, শুধু আইনি লড়াই নয়, পথে নেমে বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে হবে। সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করা না গেলে, এই সরকার কিছুতেই আমাদের ন্যায্য পাওনা দেবে না! কিন্তু কোনো অজ্ঞাত কারণে, আমার পুরোনো সংগঠন রাস্তায় নেমে আন্দোলনে যেতে চায় নি! আর তার ফল তো আমরা সবাই দেখছি!

বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে সরকার কর্মচারী পরিষদের রাজ্য আহ্বায়ক দেবাশীষ শীল।

সুবীরবাবুর আরও বক্তব্য, আদালতের সুনির্দিষ্ট রায় থাকা সত্ত্বেও, রাজ্য সরকার সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ ও এরিয়ার নিয়ে উদাসীন। আর এইসবের পরিপ্রেক্ষিতে, সরকারি কর্মচারী পরিষদ কিন্তু আইনি লড়াই ও রাস্তার আন্দোলন – দুইই জারি রেখেছে। ফলে, আগামীদিনে এই রাজ্য সরকারের কাছ থেকে সরকারি কর্মচারীদের অধিকার ছিনিয়ে নিতে হলে বৃহত্তর প্রেক্ষাপট ও আন্দোলন দরকার। যা একমাত্র সরকারি কর্মচারী পরিষদ দিতে পারে, তাই দেবাশীষদার নেতৃত্বে আস্থা রেখে দলবদল করলাম।

অন্যদিকে, সরকারি কর্মচারী পরিষদের রাজ্য আহ্বায়ক দেবাশীষ শীল বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকারের মত এত বঞ্চনা এর আগে কেউ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের উপর করে নি। রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন, এই সরকারের পরিবর্তন না ঘটলে, তাঁদের ন্যায্য পাওনার কিছুই মিলবে না! আর এর প্রতিবাদ করলে মিলবে বদলি-সন্ত্রাস! তাই, আগামীদিনে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সুদিন ফিরিয়ে আনতে পারে একমাত্র বিজেপিই, এই আস্থা থেকে লোকসভা নির্বাচনে ৪২ টির মধ্যে ৩৯ টি আসনেই বিজেপিকে জিতিয়েছিলেন সরকারি কর্মচারীরা।

দেবাশীষ শীলের নেতৃত্বে সরকারি কর্মচারী পরিষদে যোগ দিলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারী আন্দোলনের অন্যতম দাপুটে নেতা সুবীর সাহা।

দেবাশীষবাবু আরও বলেন, কিন্তু বর্তমানে সরকারি কর্মচারীরা বুঝতে পারছেন, শুধু পর্দার আড়ালে থেকে পোস্টাল ব্যালটে বিজেপিকে জেতালেই হবে না – দরকার এই সরকারের বিরুদ্ধে তীব্রতর আন্দোলন, যা একমাত্র সরকারি কর্মচারী পরিষদই দিতে পারে। আর তাই কিছুদিন আগেই তৃণমূল থেকে অনেকে যোগ দিয়েছেন। এবার সুবীর সাহার মত দক্ষ ও তরুণ নেতারাও যোগ দিলেন। আগামীদিনে সরকারি কর্মচারী পরিষদই যে একমাত্র সরকারি কর্মচারীদের জন্য প্রকৃত লড়াই করতে পারবে – সেই আস্থা সকলের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ছে। তাই আগামীদিনে, অন্যান্য সংগঠনে ছেড়ে আরও বড় সংখ্যায় সরকারি কর্মচারী পরিষদে যোগদান হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!