লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্যের তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েট নেতা, বিধায়ক গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেছেন। যার ফলে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের মুকুট থেকে একের পর এক পালক খসে পড়েছে। আর এবার ফের এক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা ছড়িয়ে পড়ল।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার লোকসভা নির্বাচনের আগে মন্তেশ্বরে চামুণ্ডা মন্দিরে করা মানতের পুজো দিতে এসেছিলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ এসএস আলুওয়ালিয়া। আর আশ্চর্য্যজনকভাবে এদিন বিজেপি সাংসদের পাশে থাকতে দেখা যায় প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধক্ষ তথা তৃণমূল নেতা তড়িৎ রায়কে। যা নিয়েই এবার ছড়িয়ে পড়েছে জল্পনা।

এদিন এই বিজেপি সাংসদের সাথে জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী, প্রাক্তন সভাপতি সুপ্রকাশ মণ্ডল সহ বিজেপির অনেক কর্মীরা থাকলেও সেইভাবে বিজেপি সাংসদের আসার খবর ছিল না গেরুয়া শিবিরের একাংশের কাছে। কিন্তু বিজেপির অনেকেই এসএস আলুআলিয়ার আসার খবর না পেলেও তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধক্ষ তড়িৎ রায়ের সেই বিজেপি সাংসদের সাথে থাকার ঘটনা আলোড়ন ফেলে দিয়েছে সর্বত্র।

অনেকে বলছেন, বর্তমানে মন্তেশ্বর ব্লক তৃণমূলের সঙ্গে এই তড়িৎবাবুর সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। লোকসভা ভোটের আগেও সেইভাবে তৃনমূলের সভায় উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি তাকে। কিন্তু এবার বিজেপি সাংসদ এসএস আলুওয়ালিয়া চামুণ্ডা মন্দিরে পুজো দিতে আসায় তার সঙ্গে সেই তৃণমূল নেতাকে দেখা যাওয়ায় তড়িৎবাবুর বিজেপিতে যোগদানের প্রবল জল্পনা ছড়িয়ে পড়ল। তাহলে কি সত্যিই তিনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন!

এদিন এই প্রসঙ্গে তড়িৎ রায় বলেন, “আমি তৃণমূলেই আছি, তৃণমূলে থাকব। বিজেপিতে যোগদানের কোনো প্রশ্ন নেই। আমি চামুণ্ডা মন্দিরে পুজো কমিটির একজন সদস্য। বিজেপি সাংসদ মন্দিরে পুজো দিতে আসায় তার সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেছি।” কিন্তু তড়িৎবাবু যে কথাই বলুন না কেন, যেভাবে তিনি বিজেপি সাংসদের সঙ্গে ঘোরাফেরা করলেন, তাতে তিনি যে ভবিষ্যতে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাবেন না, সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারছে না কেউই।