এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দলীয় হেভিওয়েট বিধায়কের বিরুদ্ধে ত্রাণসামগ্রী পাচারের অভিযোগ তুললেন আর এক প্রাক্তন মন্ত্রী, বড়সড় অস্বস্তি শাসকদলে

দলীয় হেভিওয়েট বিধায়কের বিরুদ্ধে ত্রাণসামগ্রী পাচারের অভিযোগ তুললেন আর এক প্রাক্তন মন্ত্রী, বড়সড় অস্বস্তি শাসকদলে

বিরোধীদের তরফ থেকে বরাবর শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে ত্রাণসামগ্রী পাচারের অভিযোগ উঠেছে , বিরোধীদের সেই দাবিকে বার বার ফুৎকারে উড়িয়ে শাসকদলের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে তারা মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিলি করছেন, বিরোধীরা শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুৎসা করার জন্য এই অপবাদ দিচ্ছেন।

কিন্তু এবার বিরোধীদের অভিযোগকে একপ্রকার মান্যতা দিয়ে হেভিওয়েট বিধায়ক তথা ইংরেজবাজারের পুরপ্রধান নীহাররঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে ত্রাণসামগ্রী পাচারের অভিযোগ তুলে সরব হলেন তৃণমূলে প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী ও তাঁর ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলরেরা। আর এই নিয়েই নাকি বুধবার সকালে পুরসভা ভবনেই বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূলে দুই হেভিওয়েট। তবে এই ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন ইংরেজবাজারের পুরপ্রধান নীহাররঞ্জন ঘোষ।

দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, ইংরেজবাজার পুরসভার গুদামে দীর্ঘদিন ধরে যে শীতবস্ত্র, শিশুদের পোশাক, ত্রিপল, বন্যা, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য যে ত্রাণ সামগ্রী আছে সেই সব কিছু নাকি পুরপ্রধানের গাড়িতে করে পুরসভার গুদাম থেকে বের করার চেষ্টা চলছিল বলে অভিযোগ করেন দলেরই কাউন্সিলরের একাংশ। আর এই খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ কাউন্সিলর নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি, প্রসেনজিৎ দাসদের সঙ্গে পুরসভায় যান এবং অভিযোগ তিনি দেখেন পুরসভার গুদামের বাইরে প্যাকেটে ভরা রয়েছে ত্রাণসামগ্রী।আর এর পরেই নাকি এইসব নিয়ে ঝামেলা শুরু হয় পুরসভায়।

ইংরেজবাজার পুরসভার গুদামে দীর্ঘদিন ধরে মজুত রয়েছে ত্রাণসামগ্রী। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শীতবস্ত্র, শিশুদের পোশাক, ত্রিপল এবং খেলার সামগ্রী সেখানে রয়েছে। বন্যা, অগ্নিকাণ্ডে কোনও পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হলে সে সব সামগ্রী দেওয়া হয়। এ দিন সকালে পুরপ্রধানের গাড়িতে করে পুরসভার গুদাম থেকে সে সব ত্রাণসামগ্রী বের করার চেষ্টা চলছিল বলে অভিযোগ করেন দলেরই কাউন্সিলরের একাংশ। এর পরেই কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ কাউন্সিলর নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি, প্রসেনজিৎ দাসদের সঙ্গে পুরসভায় যান। অভিযোগ, সেই সময় পুরসভার গুদামের বাইরে প্যাকেটে ভরা ছিল ত্রাণসামগ্রী। তা নিয়ে হইচই শুরু হয়ে যায় পুরসভায়।

জানা যাচ্ছে ঠিক সেই সময়েই পুরসভায় আসেন পুরপ্রধান নীহাররঞ্জন ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। যা নিয়েই তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয় পুরসভায় , অন্যান্য কাউন্সিলররা হস্তক্ষেপ করলে তখনকার মতো পরিস্থিতি সামলানো যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও এই নিয়ে এখনো পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেন নি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। যদিও তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ কাউন্সিলর নরেন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘কাউকে না জানিয়েই পুরপ্রধান নিজের গাড়িতে করে ত্রাণসামগ্রী পুরসভা থেকে পাচার করছেন। ত্রাণসামগ্রীর দায়িত্ব এক অস্থায়ী কর্মীকে দিয়েছেন। স্থায়ী কর্মীদেরই এই দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়। লকডাউন পরিস্থিতিতেও পুরপ্রধান দুর্নীতিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।”

যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে এদিন এই নিয়ে নীহাররঞ্জন ঘোষ দাবি করেন, ‘‘কাউন্সিলরদের সঙ্গে ত্রাণের বিষয়ে আগাম আলোচনা করা হয়েছিল। ত্রাণসামগ্রী কাউন্সিলরদের বাড়িতেই পৌঁছনো হচ্ছে। কারন সে সব ত্রাণসামগ্রী পুরনো। নতুন সামগ্রী মজুত করা হবে।’’ তাঁর আরো দাবি যে বিরোধীরা তাঁর বিরুদ্ধে চক্তান্ত করেই এইভাবে তাঁকে দোষারোপ করছেন।

যদিও এই নিয়ে পুরোপ্রধানকে কঠাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধী কাউন্সিলর সিপিএমের দুলালনন্দন চাকি। তিনি বলেন, “পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে নিজেদের দলেরই কাউন্সিলরেরা প্রশ্ন তুলছেন। ফলে বোঝাই যাচ্ছে কী ভাবে চলছে পুরসভা।”
বিষেশজ্ঞমহলের মতে, এই সময়ে একেই বিরোধীরা প্রবলভাবে শাসকদলের উপর বিরোধিতায় নেমেছেন, সেখানে দলের পাশে একজোট হয়ে না দাঁড়ালে ফল ভুগতে হতে পারে শাসকদলের নেতা নেত্রীদের। আর বিরোধীদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে এই যে অভিযোগ উঠলো পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে তা শাসকলের স্বস্তি বাড়লো বই কমল না বলেই মত রাজনৈতিকমহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!