এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > দলনেত্রীর কড়া নির্দেশে লড়াই ভুললেন দুই হেভিওয়েট শীর্ষনেতা – একের প্রচারে নামলো অন্যজন

দলনেত্রীর কড়া নির্দেশে লড়াই ভুললেন দুই হেভিওয়েট শীর্ষনেতা – একের প্রচারে নামলো অন্যজন


আইএমএ হেডকোয়াটার্সের ভোট প্রক্রিয়া শুরু হতেই চোখ কপালে ওঠার মতো নজির দেখা গেল। এতোদিন ধরে যাদের বিবাদে উত্ত্যক্ত হয়েছে রাজ্যে স্বাস্থ্যক্ষেরত্র, তাঁদেরই হাতে হাত রাখতে দেখা গেল। এবং এই অসম্ভব কাজটি সম্ভব হয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে। এমনটাই সূত্রের খবর। কথা হচ্ছে আইএমএ হেডকোয়াটার্সের শীর্ষপদের জোড়ালো দাবীদার তৃণমূল সদস্য ডাঃ শান্তনু সেন এবং তৃণমূলের হেভিওয়ের বিধায়ক ডাঃ নির্মল মাঝির।

শান্তনু বাবুর জন্য ভোট চাইতে জেলায় জেলায় এবার প্রচারাভিযানে নামতে দেখা গেল নির্মল মাঝিকে। ১৮ সেপ্টেম্বর থেকেই শুরু হয়েছে এই প্রচার কর্মসূচি। নির্মল-শান্তনু গোষ্ঠীর ক্ষমতা দখলের লড়াই কারোর অজানা নয়। এবার এই যুযুধান গোষ্ঠীর একজনকে অপরজনের প্রচার কর্মসূচিতে দেখে চক্ষু চড়ক গাছ অনেকেরই। রাজ্যরাজনীতির অন্দরে জোর চর্চা চলছে এটা নিয়ে। দলীয় অন্দরের খবর থেকে জানা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের কালিঘাটের বাসভবনে ডেকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটানোর নির্দেশ দিয়েছেন। স্পষ্ট ভাষায় কড়া হুঁসিয়ারীতে দিয়ে ডাঃ মাঝিকে জানিয়েছেন,’আইএমএ হেডকোয়াটার্সের শীর্ষপদের লড়াই সম্মানের লড়াই। এখানে শান্তনুবাবুর পাশে দাঁড়াতেই হবে। ‘

প্রসঙ্গত,দেশের প্রায় চার লাখ চিকিৎসকের ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন-এর (আইএমএ) হেডকোয়াটার্সের শীর্ষপদ হল সভাপতির পদ। দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পর এই পদের অন্যতম দাবিদার হয়েছে বাংলা। এবারের সভাপতির দাবিদার তিনজনের মধ্যে দু’জনই বাংলার চিকিৎসক। একজন তৃণমূলের রাজ্যসভার এমপি ডাঃ শান্তনু সেন। অন্যজনও বিজেপি মনোভাবাপন্ন শান্তনুবাবুর বিরোধী বলে পরিচিত চিকিৎসক ডাঃ রামদয়াল দুবে। তৃতীয় প্রার্থী হলেন দিল্লি আইএমএ’র প্রাক্তন সভাপতি ডাঃ হরীশ গুপ্ত। ডাঃ গুপ্তা এই ইস্যুতে সরাসরি বিজেপির সমর্থন পাচ্ছেন বলে অভিযোগে জানা গিয়েছে। তবে এ অভিযোগে বিশেষ আমল দেননি ডাঃ গুপ্তা। উল্টে জানিয়েছিলেন,তিনি বিজেপি মনোভাবাপন্ন হতে পারেন। কিন্তু, দল করেন না। এই নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রচার ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। সর্ব ভারতীয় আইএমএ’র পদাধিকারীরা ছাড়াও সেন্ট্রাল ওয়ার্কিং কমিটি এবং সেন্ট্রাল কাউন্সিল মেম্বাররা আছেন প্রায় চার হাজার ভোটারদের মধ্যে। অনেকের দাবী, আইএমএ’র প্রতি ১০০ জন সদস্যের মধ্যে একজন হেডকোয়াটার্স নির্বাচনের ভোটার।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এ প্রসঙ্গে,নির্মলবাবু শান্তনুবাবুকে ‘আমার ছোট ভাই’ বলে ব্যাখ্যা করলেন। জানালেন তিনি তাঁর ভাই এর জন্যে প্রোগ্রেসিভ ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশান (পিডিএ)- তরফ থেকে প্রাচারাভিযান শুরু করেছেন জেলায় জেলায়। পিডিএ’র সবকটি শাখাই প্রচারে নেমেছেন বলে জানান তিনি। নির্মল বাবু এবং তাঁর পারষ্পরিক দ্বন্দ্ব নিয়ে প্রশ্ন করা হলে,দোষ বিজেপিকে দিকে ছুঁড়ে তিনি জবাবে জানালেন,বিজেপির ষড়যন্ত্রেই এরকম মন কষাকষি তৈরি হয়েছিল। বিজেপির এক হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেশের সমস্ত রাজ্যের বিজেপির ডাক্তার সেল-এর নেতাদের ফোন করে বিজেপি মনোভাবাপন্ন প্রার্থীদের জন্য ভোট জোগাড় করার নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। এরপর পরিস্থিতিতে নির্মল বাবুর মতো একজন এতোদিনের রাজনীতির পোড়খাওয়া মানুষ তথা চিকিৎসককে প্রচার কর্মসূচিতে পাশে পেয়ে কীভাবে মনোবল বাড়তে পারে শান্তনু বাবুর? এ প্রশ্ন নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তাঁরা ভোট পাওয়ার স্বার্থে একসাথে চলছেন এখন,এ বিষয়ে দুজনের কেউই কোনো মন্তব্য করলেন না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!