এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > হেভিওয়েট মন্ত্রীর সামনেই দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ কর্মীরা, তীব্র অস্বস্তিতে শাসক দল

হেভিওয়েট মন্ত্রীর সামনেই দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ কর্মীরা, তীব্র অস্বস্তিতে শাসক দল

লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 42 এ 42 এর স্লোগান দিলেও তা পূর্ণ হয়নি। উল্টে বিজেপির এই রাজ্যে তড়িৎ গতিতে উত্থান ঘটেছে। যা নিয়ে প্রবল চিন্তায় পড়েছে শাসক দল। তবে কেন তাদের এই খারাপ ফলাফল হল, তা নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে দলের নিচুতলার কর্মীদের দুর্নীতি এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই যে প্রধানভাবে দায়ী তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

আর এই পরিস্থিতিতে এবার পুরুলিয়ায় তৃণমূলের এক বৈঠকে রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীদের সামনেই পুরুলিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান এবং কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গেল তৃণমূল কর্মীদের। সূত্রের খবর, শনিবার দুপুরে পুরুলিয়ার একটি বেসরকারি হোটেলে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মী, পদাধিকারী ও নেতৃত্বদের নিয়ে জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি বৈঠক ডাকা হয়।

যেখানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় মন্ত্রী মলয় ঘটক, পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো, পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরুলিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান সামিম দাদ খান, ভাইস-চেয়ারম্যান পুরুলিয়া শহর তৃণমূল সভাপতি বৈদ্যনাথ মন্ডল সহ তৃণমূলের একাধিক নেতা এবং কর্মীদের।

আর এই বৈঠকের শুরুতেই কে পুরুলিয়ার পর্যবেক্ষক, শুভেন্দু অধিকারী নাকি মলয় ঘটক! তা নিয়ে বৈঠকে উপস্থিত মন্ত্রী মলয় ঘটকের উদ্দেশ্যেই প্রশ্ন ছুড়ে দেন তৃণমূলের অনেক কর্মী। যার জেরে সূচনাতেই কিছুটা তাল কাটতে শুরু করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এরপরই পুরুলিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান সামিম দাদ খান বক্তব্য রাখতে উঠলে কর্মীদের একাংশ তীব্র প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। যার জেরে চাপে পড়ে কোনক্রমে নিজের বক্তব্য শেষ করে সেখান থেকে চলে যান পুরুলিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান। এদিকে এরপরই পুরুলিয়া পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তারকেশ চট্টোপাধ্যায় বক্তব্য রাখতে শুরু করলে আগে কর্মীদের কথা শুনতে হবে বলে দাবি জানাতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা।

অবশেষে কর্মীদের সমস্ত দাবিতে মেনে নিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডের পক্ষ থেকে একজন করে গোটা পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন। জানা গেছে, সিংহভাগ কর্মীরাই শহর তৃণমূল সভাপতি এবং পৌরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। কেন এইভাবে বিক্ষোভ দেখালেন কর্মীদের একাংশ!

এদিন এই প্রসঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, “কোনো বিক্ষোভের বিষয়ে আমার জানা নেই। কর্মীদের সঙ্গে কি কথা হয়েছে তা আমি সংবাদমাধ্যমকে বলব না।” অন্যদিকে বক্তব্য রেখে মিটিং শেষ হওয়ার আগেই কেন তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে গেলেন! তা নিয়ে পুরুলিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “পুরসভায় অন্য একটি অনুষ্ঠান থাকায় এদিন আমি বেরিয়ে গিয়েছি। কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি।”

তবে নেতৃত্বরা যতই ব্যাপারটাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করুন না কেন, পুরুলিয়া শহর তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে এবং পৌরসভার বিরুদ্ধে যে কর্মীদের একাংশের প্রচুর ক্ষোভ রয়েছে, তা এদিনের বৈঠক থেকেই আঁচ করা গেল বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!