এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বহিষ্কৃত হেভিওয়েট সংখ্যালঘু তৃণমূল নেতা,তীব্র জল্পনা রাজনৈতিকমহলে

বহিষ্কৃত হেভিওয়েট সংখ্যালঘু তৃণমূল নেতা,তীব্র জল্পনা রাজনৈতিকমহলে

দলবিরোধী কাজের জন্য,৬ বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কৃত হলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের চোপড়া ব্লক সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য জাকির আবেদিন। গতকাল ইসলামপুরে দলীয় সাংগঠনিক সভায় এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়। তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতাদের যৌথ মতামতেই এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুরের জেলা সভাপতি অমল আচার্য,চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান প্রমুখরা।

এ খবর প্রকাশ্যে আসতেই বাতাসে আগুন লাগার মতো খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। তারপর থেকেই গোটা ঘটনাটি নিয়ে তীব্র চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিকমহলে। তবে কেন হঠাৎ করে জাকির আবেদিনের মতো প্রভাবশালী তৃণমূল নেতাকে লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি পর্বে দল থেকে ছাটাই করা হল? আসুন জেনে নেওয়া যাক।

সূত্রের খবর,চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট ২৪ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ২২ টি আসন জিতে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন নিজেদের দখলে নেয়। আর বিজেপির ঝুলিতে আসে মাত্র ২ টি আসন। পঞ্চায়েত সভাপতি পদের জন্য তৃণমূলের তরফ থেকে একাধিক দাবীদার থাকলেও সদ্য সিপিএম থেকে আসা এক সদস্যকে সভাপতির বানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্যানেল বানান বহিষ্কৃত ব্লক সভাপতি জাকির আবেদিন। দলীয় নেতৃত্বরা সভাপতি হিসাবে প্রীতিরঞ্জন ঘোষকে সভাপতি পদের জন্য উপযুক্ত মনে করেন। কিন্তু সভাপতি নির্বাচনের দিন তিনি সিপিএম থেকে আসা আজহারউদ্দিনের নাম প্রস্তাব করেন এবং সদস্যদের ভোটেই তিনি সভাপতি হন। নেতৃত্বের প্যানেলটি কার্যকর না হওয়ার ফলে তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় অসন্তোষ আরো তীব্র আকার নেয়। তারপরই জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে দল বিরোধী কাজ করার অভিযোগ ওঠে। এবং ৬ বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

এ প্রসঙ্গে চোপড়ার বিধায়ক তৃণমূলের হামিদুল রহমান বলেন, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচনের দিন দলীয় নেতৃত্বের দেওয়া প্যানেলের বিরুদ্ধে গিয়ে দলের অপমান করেছেন জাকির আবেদিন। এ নিয়ে জেলা কমিটির কাছে অভিযোগের ভিত্তিতে আবেদিনকে ছ’বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে,’দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গেলে কাউকেই রেয়াত করা হবে না।’ এমনটাই জানালেন জেলা সভাপতি অমলবাবু। তবে এ অভিযোগ মেনে নিতে নারাজ বহিষ্কৃত যুবনেতা জাকির আবেদিন। তাঁর বক্তব্য,দলের তরফ থেকে বহিষ্কার সংক্রান্ত কোনো লিখিত অভিযোগ এখনো তিনি পাননি। কানে শুনেছেন শুধু। এ নিয়ে তাকে এখনো শোকজও করা হয়নি বলে দাবীতে জানালেন তিনি।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো  করুন এই লিঙ্কেখবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক

উল্লেখ্য,প্যানেলের সম্মতি না নিয়ে সভাপতি হওয়া আজহারউদ্দীনের বিরুদ্ধে দল কী ব্যবস্থা নেবে তা নিয়ে এখনো কিছু চূড়ান্ত করা হয়নি। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের চোপড়া ব্লক সভাপতি চিত্ত রায় জানান,’সমস্ত বিষয়েই দলের জেলা কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সভাপতির বিষয়েও জেলা কমিটিকে জানানো হয়েছে। তারা কী ব্যবস্থা নেবে আমি জানি না।’ সবমিলিয়ে চূড়ান্ত শোরগোল শুরু হয়েছে চোপড়ায় পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে। বলাবাহুল্য, ফের একবার পঞ্চায়েত স্তরে তৃণমূলের সাংগঠনিক দূর্বলতা সামনে এল। যা নিয়ে উদ্বেগের পারদ চড়া হল শাসকদলের শিবিরে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!