এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > স্বীকৃতি সম্মেলনে গিয়েও পেলেন না সুযোগ, ক্ষোভে ফুঁসছেন হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা!

স্বীকৃতি সম্মেলনে গিয়েও পেলেন না সুযোগ, ক্ষোভে ফুঁসছেন হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা!

তৃণমূলে নব্য বনাম পুরাতন কর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বর্তমানে নতুন কিছু নয়। 2011 সালের আগে যারা বাম আমলে লড়াই করে তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতার স্বাদ পাইয়ে দিয়েছিল, ক্ষমতায় আসার পর সেই সমস্ত কর্মী-সমর্থকদের ভুলে গেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তবে সাম্প্রতিক কালে লোকসভা নির্বাচনের পর দলের ভরাডুবি হলে, এই কারণটি উপলব্ধি করতে পারেন তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর।

আর তা অনুধাবন করেই দিদিকে বলোর পর বর্তমানে বাংলার গর্ব মমতা কর্মসূচি লঞ্চ করেছেন তিনি। আর “বাংলার গর্ব মমতা” কর্মসূচির অন্যতম অঙ্গ রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের পুরনো কর্মীদের সম্মান দিতে, একটি কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। যার নাম ছিল, স্বীকৃতি সম্মেলন। আশা করা হয়েছিল, এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে তৃণমূলের পুরনো কর্মীরা তাদের ক্ষোভের কথা দলের কাছে তুলে ধরতে পারবেন। তবে এবার হয়ত সেই আশার মুখে ছাই পড়ে গেল।

দলের ডাকে স্বীকৃতি সম্মেলনে গিয়ে তৃণমূলের পুরাতন কর্মী বরুণ রায় ভেবেছিলেন, দলের কাছে একগুচ্ছ অভিযোগ জানাবেন। সেইমতো রাজগঞ্জ শ্রীসংঘ ক্লাবে তৃণমূলের স্বীকৃতি সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন, রাজগঞ্জ ব্লকের প্রথম দিনে তৃণমূল কর্মী বরুণবাবু। তবে আশ্চর্যজনকভাবে স্বীকৃতি সম্মেলনে তাকে কোনো কিছুই বলতে না দেওয়ায়, কার্যত দলের উপরে হতাশ তিনি।

জানা যায়, এই বরুণবাবুর ছেলের চাকরির জন্য তার কাছ থেকে শাসক দলের এক নেতা 8 লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন। আর সেই কথাই তিনি দলের ডাক পেয়ে এই স্বীকৃতি সম্মেলনে তুলে ধরবেন বলে মনস্থির করেছিলেন। কিন্তু তা না হওয়াতে এবার সেই স্বীকৃতি সম্মেলন নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূলের প্রথম দিনকার কর্মী বরুণ রায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তিনি বলেন, “এই ধরনের সভা আয়োজন করে কিছু লাভ হবে না। কারণ মনের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেওয়া হল না। আমার অনেক কিছু বলার ছিল। এই ব্লকে আমরা দল প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। আমার ছেলে প্রাইমারি স্কুলে চাকরির ব্যাপারে স্থানীয় উচ্চ নেতৃত্ব আমার কাছ থেকে 8 লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন। কাটমানি নিয়ে নেতা-নেত্রী সরব হলেও, কাটমানি খাওয়া প্রতিদিন বাড়ছে। 100 দিনের কাজের টাকা থেকেও কাটমানি নেওয়া হচ্ছে। এইসব তথ্য দলকে দেব বলে ভেবেছিলাম। হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছি।”

কিন্তু পুরনো কর্মীদের সম্মান জানানোর পাশাপাশি তাদের মতামত নেওয়া যখন অত্যন্ত দরকার, তখন তা না করে কেন এরকম দায়সারা কর্মসূচি পালন করছে তৃণমূল? এদিন এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কিষাণ কুমার কল্যাণী বলেন, “উনি চাইলে অনেক আগেই আমাদের জানাতে পারতেন, এখন তিনি আলাদাভাবে জানাতেই পারেন, এই স্বীকৃতি সম্মেলনে আসা বেশিরভাগ পুরোনো কর্মী খুশি। অনুষ্ঠান পুরোপুরি সফল।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূলের পুরনো কর্মীরা আর কিছু চায় না। চায় শুধু একটু সম্মান। প্রশান্ত কিশোর দায়িত্ব নেওয়ার পর পুরনো কর্মীদের সম্মান জানানোর এই উদ্যোগ নিলেও, দলের জন্য পুরনো কর্মীদের যদি সেই অনুষ্ঠানে কথাই বলতে না দেওয়া হয়, তাহলে তাদের গুরুত্ব দেওয়ার মিথ্যে নাটক কেন করছে তৃনমূল কংগ্রেস! প্রশ্নটা উঠছে সমালোচক মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!