এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ক্রমশ জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি, দুই হেভিওয়েটের দন্দ্ব মেটাতে আসরে মন্ত্রী, বাড়ছে জল্পনা!

ক্রমশ জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি, দুই হেভিওয়েটের দন্দ্ব মেটাতে আসরে মন্ত্রী, বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের দ্বন্দ্ব এখন চরম আকার ধারণ করেছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে বিদায়ী চেয়ারম্যান মোহন বসু দায়িত্ব না পাওয়ার পরেই তিনি সরব হন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কিষান কুমার কল্যাণীর বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, কিষানবাবুর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হওয়ার পাশাপাশি তাকে অবিলম্বে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরাতে হবে বলেও দাবি তুলতে শুরু করেন মোহন বসু।

এমনকি কিষানবাবুর বিরুদ্ধে তিনি দলের অনেক নেতাকে নিয়ে নিজের মত করে গোষ্ঠী তৈরি করতে শুরু করেন। যার ফলে কার্যত বিড়ম্বনায় পড়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এভাবে চলতে থাকলে এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা শুরু হয় দলের অন্দরে। পরিস্থিতি সামলাতে এবং দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব মেটাতে এবার বৈঠকে বসলেন তৃণমূলের উত্তরবঙ্গ কমিটির চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী গৌতম দেব।

সূত্রের খবর, শনিবার জলপাইগুড়িতে গৌতম বাবু দফায় দফায় বৈঠক করেন। প্রথমে তিনি বৈঠক করেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি কিষান কুমার কল্যাণীর সঙ্গে। পরবর্তীতে জলপাইগুড়ি পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহন বসুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ রাজগঞ্জ তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের সঙ্গে আলোচনা করতে দেখা যায় গৌতমবাবুকে। মূলত দুই গোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠক করে দুজনের মধ্যে যাতে বনিবনা নিয়ে আসা যায়, তার চেষ্টা করেছেন উত্তরবঙ্গের তৃণমূলের কোর কমিটির চেয়ারম্যান। কিন্তু এর ফলে আদৌ কি সমস্যা মিটল! কি হল বৈঠকে?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে মোহন বসুর ঘনিষ্ঠ রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, “আলোচনার ভিত্তিতে আমরা সহাবস্থানে পৌঁছেছি। সাংগঠনিক ব্যাপারে আলোচনায় ব্লক সভাপতি হিসেবে আমার মনোনীত প্রার্থীকে গৌতমবাবু মেনে নিয়েছেন। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের সভাপতি হিসেবে জেলা সভাপতি মনোনীত প্রার্থীকে আমি মেনে নিয়েছি।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে গৌতম দেবের সঙ্গে বৈঠকের পর আলোচনা সন্তোষজনক হয়েছে বলে জানান জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কিষান কল্যানী।

তিনি বলেন, “সাংগঠনিক আলোচনা সন্তোষজনক হয়েছে। দল যা নির্দেশ দেবে, সেই মতো কাজ করব। দল এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। সকলকে নিয়ে চলতে হবে। কারও পদ চিরস্থায়ী নয়। অতীতেও সভাপতি পরিবর্তন হয়েছে।” এদিকে এই প্রসঙ্গে মোহন বসু বলেন, “আমি আমার দাবি নেতৃত্বকে আগেই জানিয়েছি। গৌতমবাবুর নেতৃত্বে ওই বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যে দুজন বিধায়ক বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন, তাদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ রয়েছে। আমি আশা রাখছি সেসব প্রশমিত হবে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্ত সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া উচিত।”

কিন্তু তিনি দলের দুই জেলা নেতার দ্বন্দ্ব মেটাতে বৈঠক করলেও, কি অনুভব করলেন! দ্বন্দ্ব কি আদৌ মিটবে? এদিন এই প্রসঙ্গে বৈঠক শেষ করে রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “এদিন সাংগঠনিক নানা বিষয়ে আলোচনা করি। দলের কারো কিছু বলার থাকলে দলের অভ্যন্তরে জানানো উচিত। আমি বলব, আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বকে এই ব্যাপারে রিপোর্ট দেব। নেতৃত্ব পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতীতে যখন মোহন বসু ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন, তখন তার মান ভাঙাতে তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন গৌতম দেব। কিন্তু তারপরেও মোহন বসুর মান ভাঙ্গেনি। উল্টে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে আরও বেশি করে সুর চড়াতে দেখা গেছে তাকে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি যখন একেবারেই হাতের বাইরে বেরিয়ে গেছে, তখন দলের তরফে গৌতম দেব নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেন। কিন্তু আপাতভাবে সকলে এই বৈঠকে খুশি হলেও বাস্তব কোন দিকে মোড় নেয়, দ্বন্দ্ব সম্পূর্ণরূপে মিলিয়ে যায়, নাকি তলায় তলায় তা অব্যাহত থাকে, সেদিকেই এখন নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!