এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার প্রাসাদপ্রম ‘অবৈধ’ অট্টালিকা তৃণমূল পরিচালিত পুরসভাই ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল

হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার প্রাসাদপ্রম ‘অবৈধ’ অট্টালিকা তৃণমূল পরিচালিত পুরসভাই ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল

2011 সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরই রাজধর্ম পালনের কথা বলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে নিজের দলের কেউ যদি অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে তাকেও রেয়াত করা হবে না বলে বারেবারেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা শাসকদল নিজের দলের দুর্নীতি ভাঙতে কঠোর পদক্ষেপও নিয়েছে।

আর এরই অঙ্গ হিসেবে এবার হুগলি তৃণমূল কংগ্রেসের বাঁশবেড়িয়া শহরের প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি দেবরাজ পালের ‘অবৈধ’ প্রাসাদোপম ভবন ভেঙে দিল তৃণমূল পরিচালিত বাঁশবেড়িয়া পুরসভা। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ত্রিবেণীর কাছে পারুল ঘোষ নামে এক মহিলার জমিতে গড়ে ওঠা স্থানীয় এলাকায় হোয়াইট হাউস নামে পরিচিত বাড়িটি ভাঙার কাজ শুরু হতেই এলাকায় তীব্র গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।

প্রসঙ্গত, একসময় তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা দেবরাজ পাল সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই এলাকাছাড়া। সম্প্রতি তাঁর স্ত্রী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে তাঁর গ্যারাজ সহ অন্যান্য কয়েকটি সম্পত্তিতে গত দেড়মাসে একাধিকবার হামলা হয়েছে। এবার একদা তাঁরই নিয়ন্ত্রণে থাকা পুরসভা আইনি নির্দেশকে হাতিয়ার করে বাড়ি ভাঙার কাজে নামল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে বাঁশবেড়িয়া শহর তৃণমূলের বর্তমান সভাপতি তথা পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সদস্য অমিত ঘোষ বলেন, “ওই জমিটি যাঁর নামে সেই পারুল ঘোষকে আমরা নোটিস করেছিলাম। এনিয়ে আদালতে মামলাও ছিল। বাড়িটি পুরসভার আইন না মেনেই তৈরি হয়েছিল। ফলে আমরা তা ভেঙে দিচ্ছি। কে বাড়ি করেছিলেন তা আমাদের দেখার কথা নয়, জমির মালিককেই আমাদের আইনত চিঠি করতে হয়।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে দেবরাজ পাল বা তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা না গেলেও পারুলদেবীর পরিবারের তরফে দাবি করা করেছে যে, ওই জমিটি একসময় দেবরাজ পাল জোর করে দখল করে নিয়েছিল। সেই কারণে আদালতে মামলাও করা হয়েছিল। এতদিনে জমিটি দখলমুক্ত হওয়ার ওই পরিবার অবশ্য খুশি। বস্তুত, এই জেলার এক মন্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে বাঁশবেড়িয়া, ত্রিবেণী সহ বিস্তীর্ণ এলাকার নিজের আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন দেবরাজ পাল। যার জেরে বাঁশবেড়িয়া পুরসভাও তিনিই নিয়ন্ত্রণ করতেন।

কিন্তু তখন তার বিরুদ্ধে জবরদখলের বিবিধ অভিযোগ উঠলেও সেই ভাবে তা মোকাবিলা করা যায়নি। তবে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরই অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করে। সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে হুগলি লোকসভায় তৃণমূল হেরে যেতেই সেই দেবরাজ পালের বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ সৃষ্টি হয়। আর এরপরই পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তিনি লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান তিনি।

যার পর প্রায় দু’বার তার গ্যারাজ, গাড়ি ও অন্যান্য কয়েকটি সম্পত্তিতে হামলা হয়। আর এবার অবৈধতার অভিযোগ তুলে একদা তাঁরই নিয়ন্ত্রণের পুরসভা তার বাড়ি ভেঙে দিল।সব মিলিয়ে একসময় এলাকায় শেষ কথা বলা দেবরাজ পালের অবৈধ বাড়ি ভেঙে দিয়ে তৃণমূল পরিচালিত পৌরসভা প্রমাণ করার চেষ্টা করল যে তারা অনৈতিক কাজকে কখনই বরদাস্ত করে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!