এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > হেভিওয়েট নেতাদের বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান, বাম-কংগ্রেসের জোট চাপ বাড়াচ্ছে মমতার!

হেভিওয়েট নেতাদের বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান, বাম-কংগ্রেসের জোট চাপ বাড়াচ্ছে মমতার!


গত লোকসভা নির্বাচনের পর কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে, এই রাজ্যে মূল লড়াই হতে চলেছে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে। কেননা একদিকে তৃণমূলের বাইশটা আসন, অন্যদিকে বিজেপির আঠারোটা আসন কংগ্রেসের পাওয়া দুটো আসনকে কার্যত ফিকে করে দিয়েছিল। বাম এবং কংগ্রেস জোট করেও সেভাবে সাফল্য না পাওয়ায়, তারা এবার সাইন বোর্ডে পরিণত হয়েছে বলে দাবি করেছিল রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

এমনকি সমকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ তরজা তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে হওয়াতে বঙ্গ রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা কার্যত নিশ্চিত হয়ে পড়েছিল যে, আসন্ন নির্বাচনগুলোতে মূল্য লড়াই হতে চলেছে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে। কিন্তু এবার সেই তৃণমূল এবং বিজেপি দুই দলকেই অস্বস্তিতে ফেলে বড়সড় যোগদান করালো কংগ্রেস। যা বাম এবং কংগ্রেসের জোটকে তৃণমূল এবং বিজেপির তরজার মাঝে সামনের সারিতে নিয়ে আসল বলেই দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

সূত্রের খবর, এদিন রঞ্জন ভট্টাচার্য, বিনোদ পাসোয়ান সহ বিজেপি এবং তৃণমূলের বেশ কিছু নেতাকর্মী কংগ্রেসে যোগ দেন। আর এদিনের এই যোগদান পর্ব সম্পন্ন হয়, প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দপ্তর বিধান ভবনে। আর বাম এবং কংগ্রেসকে যখন সাইনবোর্ডে পরিণত হওয়া দল বলে কটাক্ষ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক তখনই সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নরেন্দ্র মোদির অস্বস্তি বাড়িয়ে তাদের দলের বেশ কিছু নেতাকর্মীর কংগ্রেসের যোগ দেওয় যে তৃণমূল এবং বিজেপি উভয়ের কাছেই অস্বস্তিকর, সেই ব্যাপারে কার্যত নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই যোগদান পর্বের মাঝে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সোমেন মিত্র তৃণমূল এবং বিজেপির সমঝোতার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “দল গঠনের পর থেকে তৃণমূল বিজেপির সঙ্গে একাধিকবার জোট করে কেন্দ্রের সরকারে গিয়েছে। আবার কংগ্রেসের হাত ধরেও কেন্দ্রীয় সরকারের অংশীদারী হয়েছে। তাই তৃণমূল নেত্রীর মুখে নীতি-আদর্শের পাঠ মানায় না। আমাদের জোট তৃণমূলের দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে বলেই মুখ্যমন্ত্রীর রোষের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে। কলকাতা পৌর নির্বাচনে আমরা জোটবদ্ধভাবে লড়াই করব।”

তবে শুধু কলকাতা নয়, জেলাস্তরেও যে তারা জোটবদ্ধ হয়ে লড়াই করবে, তা এদিন জানিয়ে দেন প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি। তৃণমূল এবং বিজেপি নেতাদের মন্তব্যে মিল রয়েছে বলেও এদিন কটাক্ষ করেন সোমেন মিত্র। তিনি বলেন, “আমাদের ভয় নেই। তাই নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহর সঙ্গে একাকী দেখা করতে যাই না। চিদাম্বরমকে ধরতে সিবিআই যে সক্রিয়তা দেখিয়েছিল, সারদা-নারদাতে তার ছিটেফোঁটাও কি আছে!” অর্থাৎ সোমেনবাবু এই কথা বলে তৃণমূল এবং বিজেপির সমঝোতাকেই প্রকাশ্যে আনতে চাইলেন।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কংগ্রেসের যখন কার্যত ভঙ্গুর দশা, তখন বিজেপি এবং তৃণমূল দুই দল থেকেই ব্যাপক কর্মী-সমর্থকদের কংগ্রেসে যোগদান নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা এই যোগদানের ফলে তৃণমূল কংগ্রেস যে অত্যন্ত চাপে পড়ল, সেই ব্যাপারে সংকোচ রাখছেন না কেউই। সামনেই পৌরসভা নির্বাচন। তারপর বিধানসভা নির্বাচন। একদিকে বাংলায় তৃণমূলকে বিজেপির চাপ সইতে হচ্ছে, আর অন্যদিকে এভাবে যদি দলের নেতাকর্মীরা কংগ্রেসে যোগদান করতে শুরু করেন, তাহলে তা যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপালে শনি নাচার শামিল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল‌। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!