করোনা মোকাবিলায় বাধা! মমতার চাপ বাড়িয়ে বড়সড় অভিযোগ ডক্টরস ফোরামের কলকাতা রাজ্য May 8, 2020 করোনার মত ভয়াবহ মারন ভাইরাসকে বধ করতে এখন সকলেই তাকিয়ে রয়েছে চিকিৎসক থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞদের দিকে। সরকারপক্ষ করোনা মোকাবিলায় সবথেকে বেশি ভরসা রাখছেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিৎসকদের ওপর। যত দিন যাচ্ছে, ততই বাংলায় করোনা দাপট বাড়ছে। আর এমত পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের ওপর সমস্ত কিছু ছেড়ে দেওয়া হলেও, আলিপুরদুয়ার জেলায় করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য দপ্তরের কাজে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠল আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। যেখানে সৌরভবাবুর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন চিকিৎসকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ডক্টরস। সূত্রের খবর, বুধবার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির কাছে লিখিতভাবে একটি অভিযোগ জানানো হয়। পাশাপাশি সেই অভিযোগ পত্র পাঠানো হয় রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের ডিরেক্টরের কাছেও। জানা গেছে, সেই চিঠিতে আলিপুরদুয়ারের স্বাস্থ্য দপ্তরের কাজে তৃণমূল বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী হস্তক্ষেপ করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন সংগঠনের সদস্যরা। চিঠিতে তাদের দাবি, আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক অযাচিতভাবে কোভিড কন্ট্রোল ম্যানেজমেন্টের হস্তক্ষেপ করছেন। এছাড়াও আলিপুরদুয়ার জেলার উপস্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছেন বিধায়ক। এর ফলে সকলের মনোবল ভেঙে যাচ্ছে। অবিলম্বে বিধায়কের অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করা হোক। আর করানোর মত ভয়াবহ ভাইরাস মোকাবিলায় যেখানে চিকিৎসকরা একত্রিত হয়ে কাজ করছেন, সেখানে তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে চিকিৎসকদের সংগঠনের তরফ থেকে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে জমা পড়া এই অভিযোগ সৌরভবাবুকে অনেকটাই অস্বস্তিতে ফেলবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ডক্টরসের জেনারেল সেক্রেটারি মানস গুমটা বলেন, “করোনা নিয়ন্ত্রণে গোটা রাজ্যে আলিপুরদুয়ার রোল মডেল। বিভিন্ন মহলে এই জেলার আধিকারিক এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের কাজের প্রশংসা হচ্ছে। কিন্তু উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি একটি ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক। তার জেরে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বাধ্য হয়ে উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে চিঠি দিয়ে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। এই ঘটনা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের মনে আঘাত লেগেছে। আমরা বিধায়কের এই অযাচিত হস্তক্ষেপের নিন্দা করছি। স্বাস্থ্য প্রশাসনকে উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাস্তির সিদ্ধান্ত না নেওয়ার দাবি জানিয়েছি।” কিন্তু কেন তিনি চিকিৎসকদের কাজে হস্তক্ষেপ করছেন! তার বিরুদ্ধে তোলা এই অভিযোগ কতটা সত্যি? এদিন এই প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “আমি আলিপুরদুয়ার জেলা সদর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। জলপাইগুড়ি স্বাস্থ্য কমিটির দায়িত্বে রয়েছি। সরকার আমাকে এই দায়িত্ব দিয়েছে কাজ করার জন্য। সেই কারণে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আমাকে তো হস্তক্ষেপ করতেই হবে। মানুষের স্বার্থেই আমি আমার দায়িত্ব পালন করছি।” আর এখানেই বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন, দায়িত্ব পালন করা এবং হস্তক্ষেপ করা এই দুটোর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। যে যে বিষয়ে অভিজ্ঞ, তাকে সেই বিষয়ে ছেড়ে দেওয়া উচিত। যেখানে করোনার মতো ভয়াবহতা গ্রাস করছে, সেখানে চিকিৎসকদের ওপর যদি বারবার হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিধায়কদের বিরুদ্ধে, তাহলে তা নিঃসন্দেহে করোনা মোকাবিলা করা অপেক্ষা চিকিৎসক বনাম শাসকের লড়াই হয়ে দাঁড়াবে সকলের কাছে। বর্তমান সময়ে তা প্রবল উস্মার কারন হবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। এর আগেও বার বার বিরোধীরা করোনা চিকিৎসা, পরীক্ষা, সংখ্যা লুকোনো ,এমনকি মৃতদেহ তথ্য লুকানো এইসবের অভিযোগ তুলছিলেন, সাথেই বিভিন্নভাবে চিকিৎসার কাছে হস্তক্ষেপ করার ও অভিযোগ উঠছিলো ,যদিও বার বার তৃণমূলের তরফ থেকে সে অভিযোগ অস্বীকার করা হয় কিন্তু এবার তৃণমূলে নেতাদের বিরুদ্ধে ডক্টরস ফোরামের এই অভিযোগ সামনে আসায় চাপ বাড়লো মুখ্যমন্ত্রীর বলেই মত রাজনৈতিকমহলের। এখন দেখার তিনি এই পরিস্থিতি কিভাবে সামাল দেন। আপনার মতামত জানান -