এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দলের কর্মসূচি থেকেই “গায়েব” হেভিওয়েট নেতা! উত্তরবঙ্গ জুড়ে তীব্র জল্পনা শুরু!

দলের কর্মসূচি থেকেই “গায়েব” হেভিওয়েট নেতা! উত্তরবঙ্গ জুড়ে তীব্র জল্পনা শুরু!

অনেকেরই আপত্তি ছিল। কিন্তু তাও বাম আমলের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে টিকিট দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের প্রাক্তন যুবনেতা নিশীথ প্রামাণিক বিজেপি টিকিটে দাঁড়ানোয়, জয়লাভ করতে পারেননি তৃণমূলের পরেশ অধিকারী। আর লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই তৃণমূলের আর কোনো কর্মসূচিতে সেইভাবে পরেশবাবুকে না দেখায় এখন জেলা জুড়ে তীব্র গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

বস্তুত, লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পর কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতির পদ থেকে রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে সরিয়ে, সেখানে বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকে দায়িত্ব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনীতিতে রবিবাবুর অনুগামী বলে পরিচিত বাম আমলের পরেশ অধিকারী ভোটে হেরে যাওয়ার পর কেন তৃণমূলের কোনো কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন সকলেই। কিন্তু যারা রাজনীতি করবে তাদের ক্ষেত্রে হারা, জেতায় কোনো বাধা আসবে কেন!

আর তাইতো পরেশবাবু হেরে যাওয়ার পর জেলায় তৃণমূলের কোনো কর্মসূচিতে তাকে দেখতে না পাওয়ায় শ্লেষাত্মক মন্তব্য করতে ছাড়ছেন না তৃণমূলের অনেক কর্মী সমর্থকরাই। কেন তিনি উপস্থিত থাকছেন না দলের কোনো কর্মসূচিতে! এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি তথা বর্তমান মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এই বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করব না। যিনি জেলা সভাপতি রয়েছেন, তিনিই এই ব্যাপারে যা বলার বলবেন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এই ব্যাপারে কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “আমি যখন থেকে জেলা সভাপতির দায়িত্বে এসেছি, তখন থেকে পরেশবাবুকে সব জায়গায় ডাকা হচ্ছে। আমরা তাকে সঠিক মর্যাদা দিই। কিন্তু কারও ব্যক্তিগত সমস্যা থাকতেই পারে। এর বেশি কিছু বলার নেই।” একইভাবে বর্ষিয়ান নেতা হিসেবে পরেশ অধিকারীকে দল যথেষ্ট গুরুত্ব দেয় বলে জানিয়েছেন কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ তথা জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়।

কিন্তু সকলে তাঁকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বললেও তিনি কেন দলের কোনো কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন না! এদিন এই প্রসঙ্গে সেই পরেশ অধিকারী বলেন, “দল যেভাবে যেখানে ডেকেছে, সাড়া দিয়েছি। বিধানসভা ভিত্তিক ওয়ার্কিং কমিটিতে আমাকে রাখা হয়নি কেন তা নিয়ে কিছু বলতে পারব না। তবে এর আগে কোচবিহারে দলের একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন আমি কলকাতায় ছিলাম। কোচবিহারে দলের বিজয়া সম্মেলনির অনুষ্ঠানের দিন শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান ছিল। আমি শিলিগুড়িতে ছিলাম। তাই এসব কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারিনি।”

কিন্তু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, পরেশবাবু মুখে দলের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা বললেও সেইভাবে তাঁকে লোকসভা নির্বাচনের পর কোনো কর্মসূচিতে যোগ দিতে দেখা যায়নি। যা নিয়ে জেলা তৃণমূলের অন্দরে তৈরি হয়েছে অসন্তোষ। অনেকেই প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন, বাম আমলে প্রাক্তন মন্ত্রীকে এনে তাহলে লাভটা হল কি? কিন্তু এখন এই সমস্ত প্রশ্নচিহ্নকে উড়িয়ে দিয়ে পরেশ অধিকারী ঠিক পাকাপাকিভাবে জেলা তৃণমূলের কর্মসূচিতে কবে থেকে যোগ দেন, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!