এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > এবার হেভিওয়েট বাম নেতাকে পৌরসভার প্রশাসক পদে বসাতে চলেছে রাজ্য! শুরু তীব্র চাঞ্চল্য

এবার হেভিওয়েট বাম নেতাকে পৌরসভার প্রশাসক পদে বসাতে চলেছে রাজ্য! শুরু তীব্র চাঞ্চল্য

রাজ্যে ক্ষমতার পরিবর্তন হয়েছে বামেদের। প্রায় সব শক্ত বাম ঘাঁটিতে ফুটে গিয়েছে ঘাসফুল। কিন্তু শিলিগুড়ি পৌরসভা এখনও রয়েছে সেই বামফ্রন্টের দখলেই। অশোক ভট্টাচার্যের মত হেভিওয়েট নেতা শিলিগুড়ির ক্ষমতা নিজেদের দখলে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। তবে করোনা ভাইরাসের জন্য বর্তমানে পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। কলকাতা পৌরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে।

তবে এতদিন ইতিহাসে এমন কোনো ঘটনা না ঘটলেও, এবার সেই কলকাতা পৌরসভায় প্রশাসক বসিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। যেখানে প্রশাসক করা হয়েছে সেখানকার প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। যার পরেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে যে, রাজ্য সরকার নিজেদের দখলে পৌরসভা রাখবার জন্য নিজেদের নেতাদের প্রশাসক পদে বসিয়ে দিচ্ছে। তবে এবার বিরোধীদের তরফে যাতে করে প্রশ্ন তোলা না হয়, তার জন্য এবার শিলিগুড়ি পৌরসভা নিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য সরকার।

যেখানে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত মাস্টারস্ট্রোক হতে চলেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কি এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে রাজ্য সরকার? বস্তুত, শিলিগুড়ি পৌরসভার মেয়াদ আগামী 17 মে শেষ হচ্ছে। এখানকার মেয়র ছিলেন অশোক ভট্টাচার্য। তাই কলকাতা পৌরসভায় যেমন প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে সেখানকার প্রশাসক পদে বসানো হয়েছে, ঠিক তেমনই বামেদের দখলে থাকা শিলিগুড়ি পৌরসভার প্রশাসক পদে বসানো হচ্ছে বামেদের প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্যকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, আগামী দু-একদিনের মধ্যেই রাজ্যের পুরো ও নগরোন্নয়ন দপ্তর থেকে এই ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ি পৌরসভার মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের নাম প্রশাসক হিসেবে মনোনীত করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, অশোকবাবুর পাশাপাশি বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধিকেও সেই বোর্ডের সদস্য হিসেবে রাখা হতে পারে বলে খবর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের পেছনে অন্য কারণ রয়েছে।

কেননা কলকাতা পৌরসভায় নিজেদের প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে রাজ্য সরকার সেখানে প্রশাসক পদে বসানোর পর বিরোধীদের পক্ষ থেকে নানা প্রশ্ন তোলা হয়। তবে বামেদের দখলে থাকা শিলিগুড়ি পৌরসভায় যদি অন্য কাউকে বসানো হত, তাহলে রাজ্য সরকারকে বিরোধীদের আরও প্রশ্নের মুখে পড়ে চাপে পড়তে হত। তাই সেই প্রশ্নবাণে যাতে জর্জরিত না হতে হয়, তার জন্যই রাজধর্ম পালন করল রাজ্য সরকার।

আর অশোক ভট্টাচার্যকে পৌরসভার বোর্ডের প্রশাসক করে সকলের ক্ষেত্রেই যে রাজ্য সরকার এক ভূমিকা পালন করছে, তা প্রমাণ করার চেষ্টা করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বলে মত রাজনৈতিক মহলের। তবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তারা কি কিছুটা চাপে পড়ল! এদিন এই প্রসঙ্গে কৌশলী মন্তব্য করেছেন শিলিগুড়ি পৌরসভার বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের রঞ্জন সরকার।

তিনি বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে পৌরসভার ব্যাপারে রাজ্য সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে, তাই মানব।” অনেকে বলছেন, এখানে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সেভাবে বিরোধিতা করা যাবে না। কেননা রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে‌ যে সিদ্ধান্তই হোক না কেন, তা যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই সিদ্ধান্ত, তা বুঝতে বাকি নেই কারোরই। ফলে এখন অশোক ভট্টাচার্যকে শিলিগুড়ি পৌরসভার প্রশাসক করে রাজ্য সরকার কি পদ্ধতি অবলম্বন করে এবং এর ফলে বামেদের কতটা সুবিধা হয় এবং তৃণমূল কোন ঘুটি সাজায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!