এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > হেভিওয়েট মন্ত্রীর করোনা ধরা পড়তেই একযোগে সংক্রমিত হলেন ৩ হেভিওয়েট বিধায়ক! ঘুম উড়ছে এই সরকারের

হেভিওয়েট মন্ত্রীর করোনা ধরা পড়তেই একযোগে সংক্রমিত হলেন ৩ হেভিওয়েট বিধায়ক! ঘুম উড়ছে এই সরকারের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের কারণে পরিস্থিতি যে মারাত্মক ভয়াবহ হতে চলেছে, সে কথা স্পষ্ট হয়ে উঠছে ক্রমাগত। প্রাথমিকভাবে করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হয়েছিল, যা এখনো বর্তমান। কিন্তু তা সত্ত্বেও পরিস্থিতির যে বিশেষ কোনো পরিবর্তন হয়নি সেকথা স্পষ্ট। উপরন্তু পরিযায়ী শ্রমিকদের আনাগোনার ফলে দেশের করোনা পরিস্থিতি আরও মারাত্মক হয়ে উঠেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

অন্যদিকে ভারতের রাজধানী দিল্লির অবস্থাও যে এই মুহূর্তে করোনার নিরিখে চুড়ান্ত অসহনীয় তা করোনার তালিকার দিকে তাকালেই টের পাওয়া যায়। এদিকে করোনা সংক্রমণের কারণে দিল্লি মন্ত্রিসভার কপালে চিন্তার ভাঁজ। কারণ দিল্লির আপ মন্ত্রিসভা থেকে পরপর তিন জন বিধায়ক এবার করোনা আক্রান্ত হলেন। এরআগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন করোনা উপসর্গ নিয়ে হাজির হয়েছিলেন হাসপাতালে। আর বুধবার কালকাজির বিধায়ক অতীশীর করোনা সংক্রমিত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।

অন্যদিকে আপের আরও দুই  বিধায়ক বিশেষ রবি ও রাজকুমার আনন্দও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে সূত্রের খবর, স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন হাসপাতালে করোনা আশঙ্কায় ভর্তি হলেও তাঁর রিপোর্ট কিন্তু নেগেটিভ এসেছে। একইভাবে সম্প্রতি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে শোনা যায়। সেক্ষেত্রেও তাঁর করোনা পরীক্ষা করে দেখা যায়, রেজাল্ট নেগেটিভ। তবে এবার দিল্লি মন্ত্রিসভার তিন বিধায়ক করোনা আক্রান্ত হওয়ায় অবস্থা সত্যিই সংকটজনক বলে মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞদের কথা মতোই লকডাউন চললেও তার মধ্যেই করোনা সংক্রমণ মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়ে গেছে দেশে। তারপর শুরু হয়েছে ভারতজুড়ে আনলক ওয়ান পরিস্থিতি। এতে করে নিত্যদিন করোনা সংক্রমণের রেকর্ড ভাঙছে। বুধবার সারাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁয়েছে তিন লক্ষ চুয়ান্ন হাজার পঁয়ষট্টি। যার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে 11903 জনের। মনে করা হচ্ছে, দেশজুড়ে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে বুধবার। বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনো পর্যন্ত দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে সবথেকে বেশি করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে।

অন্যদিকে দিল্লি মন্ত্রিসভার তিনজন বিধায়কের শরীরে যেভাবে করোনা উপসর্গ মিলেছে, তা নিয়ে দিল্লি বিধানসভায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার এর মধ্যে 3 জন বিধায়ক যেভাবে পরপর করুনা আক্রান্ত হলেন, তা নিয়ে খুব স্বাভাবিকভাবেই চিন্তায় পড়েছে কেজরিওয়াল সরকার। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, দিল্লিতে যেভাবে ক্রমশ করোনার বাড়বাড়ন্ত বেড়ে যাচ্ছে, তাতে অচিরেই করোনার ভরকেন্দ্র হয়ে উঠবে এটি। আর তাই দিল্লীতে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কাকে মোটেই দূরে ঠেলে দেওয়া যাচ্ছেনা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!