নিমন্ত্রিত হয়েও জেলার ঐতিহ্যবাদী অনুষ্ঠানে গরহাজির থেকে জল্পনা বাড়ালেন হেভিওয়েট মন্ত্রী উত্তরবঙ্গ কলকাতা রাজ্য November 12, 2019 রাস পূর্ণিমায় প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয় কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী রাসমেলা। যে মেলা কোচবিহারের সাহিত্য এবং সংস্কৃতির অন্যতম কেন্দ্র বলেও পরিচিত। এবার সেই রাসমেলায় তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা, মন্ত্রীরা উপস্থিত থাকলেও সেখানে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেল জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি তথা মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে। সূত্রের খবর, এদিন কোচবিহারের রাসমেলায় গৌতম দেব থেকে শুরু করে পার্থ প্রতিম রায় এর মত ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত থাকলেও সেখানে অনুপস্থিত দেখা গেল রবিবাবুকে। যা নিয়ে এখন প্রবল জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে। কোচবিহারের ঐতিহ্যমন্ডিত রাসমেলায় কেন অনুপস্থিত থাকলে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী! নানা মহলে এই নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। তবে এদিন রাসমেলার সূচনা অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ উপস্থিত না থাকলেও, রাতে তিনি সেই মদনমোহন মন্দির আসেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এবারে এই কোচবিহারের রাসমেলাকে ঘিরে প্রথম থেকেই নানান বিতর্ক চাড়া দিতে শুরু করে। প্রথমে সেই রাসমেলার নির্ধারিত দিন পিছিয়ে দেওয়ায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাসমেলায় আসবার জন্য আমন্ত্রণ জানান এখানকার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। পরবর্তীতে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অফিস থেকে জানানো হয় যে, মেলা চলাকালীন যেকোনো দিন তিনি কোচবিহারের রাসমেলা দেখতে উপস্থিত থাকবেন। আর এরপরই 11 নভেম্বর রাস উৎসবের সূচনা দিন ঘোষণা করা হলে 13 নভেম্বর সেই রাসমেলার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী বলে জানানো হয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর জন্য কেন এই মেলার উদ্বোধনে বিভ্রান্তি দেখা যাবে! তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন একাংশ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর তারপরই তড়িঘড়ি 11 নভেম্বর সেই মেলার উদ্বোধন হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। আর রাসমেলাকে নিয়ে এই বিতর্ক কাটতে না কাটতেই এবার সেই মেলার উদ্বোধনে তৃণমূলের সকল নেতা থেকে মন্ত্রীরা উপস্থিত থাকলেও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের অনুপস্থিতি প্রবল জল্পনা বাড়িয়ে দিল। কেন তিনি এলেন না! এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান ভূষন সিং বলেন, “মনে রাখতে হবে তিনি একজন মন্ত্রী। কোনো বিশেষ কাজে তিনি কোথাও গিয়ে থাকতেই পারেন। এই কারণে কোথাও আটকে গিয়ে রাসমেলার অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত নাও থাকতে পারেন। রাসমেলার অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।” তবে বিরোধী দলের সাংসদ হওয়ার জন্যই কি নিশীথ প্রামানিককে এই রাস মেলায় আমন্ত্রণ জানানো হল না! এদিন এই প্রসঙ্গে ভূষন সিং বলেন, “দলের সিদ্ধান্ত মেনেই এটা করা হয়েছে।” কিন্তু যেখানে কোচবিহার জেলায় অন্যতম সংস্কৃতির অঙ্গ হিসেবে পরিচিত রাসমেলা। সেখানে তিনি এই জেলার বিধায়ক হয়েও কেন অন্য কোনো অনুষ্ঠানে চলে গেলেন! এদিন এই প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “শিলিগুড়ি থেকে ফিরে বাড়ি হয়ে আমি মদনমোহন মন্দিরের রাস উৎসবে যোগ দিয়েছি।” বিশ্লেষকরা বলছেন, রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে জেলা সভাপতির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর তিনি কার্যত কোণঠাসা হয়ে গিয়েছেন। আর এই পরিস্থিতিতে রাসমেলায় তার অনুপস্থিতি কোচবিহার জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলকেই প্রকট করল বলে মত বিশ্লেষকদের। আপনার মতামত জানান -