এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > হাসপাতাল থেকে বাড়ি এসেই রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অর্জুন সিং

হাসপাতাল থেকে বাড়ি এসেই রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অর্জুন সিং


লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই নানা সময় উত্তপ্ত হয়ে উঠতে দেখা গেছে ভাটপাড়াকে। তবে রবিবারের ঘটনা অতীতের সমস্ত ঘটনাকে ম্লান করে দিয়েছে। যেখানে পার্টি অফিস দখল, পাল্টা দখল কাণ্ডে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে মাথা ফেটেছে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের। যার জন্য গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সেই বিজেপি সাংসদ। তবে অবশেষে দু’দিন পর জগদ্দলের বাড়িতে ফিরলেন অর্জুন সিং।

কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর মঙ্গলবার বিকেলে বাড়িতে আসেন তিনি। এদিকে রোববারের ঘটনার পর সোমবার রাতে গাড়ুলিয়ার গাঙ্গুলি পাড়ায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতার বাড়ির সামনে গুলি চলে। যেখানে তৃনমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, বিজেপির দুষ্কৃতীরাই গুলি চালিয়েছে। তবে বিজেপির তরফে সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত রবিবার জগদ্দলের সার্কাস মোড়ে গুরুতর মাথায় চোট পাওয়ার পর ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ প্রথমে ভর্তি ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হলে তাঁর মাথায় সাতটি সেলাই পড়ে। আর এরপরই তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে দু’দিন ধরে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। সূত্রের খবর, এদিন দুপুরে অর্জুনবাবু হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পর দলীয় কর্মীদের দেখতে বেলঘরিয়ার একটি নার্সিংহোমে যান। আর সেখান থেকে তিনি বারাকপুর কোর্টে গিয়ে বিকেল জগদ্দলের মজদুর ভবনে ফেরেন।

কিন্তু হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই এদিন রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ। তিনি বলেন, “আমাদের জখম কর্মীদের বারাকপুরের বিএন বসু হাসপাতালে ভর্তি নেয়নি। রাজ্যের স্বাস্থ্য রাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ফোন করে বারণ করে দিয়েছিলেন। তাঁরা এখন নার্সিংহোমে ভর্তি। তাঁদেরই দেখতে গিয়েছিলাম। থানায় গেলেও আমাদের অভিযোগ নেওয়া হচ্ছে না। আমরা উচ্চ আদালতে মামলা করব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি তাঁকে বারাকপুরের পুলিস কমিশনার মনোজ বর্মা খুন করতে চেয়েছিলেন। পুরো ঘটনা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে জানানো হয়েছে বলেও জানান ব্যারাকপুরের এই দাপুটে বিজেপি নেতা। অন্যদিকে সোমবার রাতে গাড়ুলিয়ার গাঙ্গুলিপাড়ায় টিএমসিপি নেতা শুভরঞ্জন সিংয়ের বাড়ির সামনে দুই রাউন্ড গুলি চলায় উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়।

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের বারাকপুর লোকসভা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সমীরেন্দুকৃষ্ণ সাহা বলেন, “রবিবার শুভর বাড়ি ভাঙচুর হয়। সোমবার রাতে দুটি বাইকে চেপে ছয়জন দুষ্কৃতী আসে। তারা শুভর বাড়ির সামনে গুলি চালায়। দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় পাড়ার মোড়েও এক রাউন্ড গুলি চালায়। বিজেপির দুষ্কৃতীরাই এই কাজ করেছে। আমরা থানা লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।”

অন্যদিকে তৃণমূলের এই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির বারাকপুর জেলা কমিটির সভাপতি ফাল্গুনী পাত্র বলেন, “আমাদের কেউ গুলি চালায়নি। তৃণমূল নিজেরাই গুলি চালিয়ে আমাদের কর্মীদের ফাঁসানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। আর এই কাজে মদত দিচ্ছে পুলিস।”

আর এসব দেখে বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন, নির্বাচনের আগে হোক বা নির্বাচনের পরে, যেভাবে দিনকে দিন অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ ঘিরে সরগরম হয়ে উঠছে ভাটপাড়া এবং ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল, তাতে কবে এই সর্বনাশের আগুন সেখানে নিভবে! এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!