এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রাহুলকে দেখেই কি ইফতারের আয়োজন বিজেপির উঠছে প্রশ্ন

রাহুলকে দেখেই কি ইফতারের আয়োজন বিজেপির উঠছে প্রশ্ন


সম্প্রতি হায়দ্রাবাদের এক বিজেপি বিধায়ক রাজা সিংকে দেশের বিরোধীদের আয়োজিত ইফতার পার্টির বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করতে দেখা গেছিলো। ভোটবিক্ষুকরাই নাকি ইফতার পার্টিতে মাতছে,বিজেপি কখনো এসব পার্টির আয়োজন করবে না। এমনটাই দাবী ছিল তাঁর। এই মন্তব্যের জেরে বিতর্কেও জড়াতে দেখা গেছিলো বিধায়ককে। সেই গেরুয়া পার্টির আবার ভোল পাল্টে আয়োজন করেছিলো ইফতার পার্টির। তবে এই অনুষ্ঠানের জন্যে বিজেপির সদর দপ্তর নির্বাচন করা হয়নি, বাছা হয়েছিলো কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নকভির সরকারি বাংলোকে।

জানা যাচ্ছে তেমন রাজকীয় ভাবে পালিত হয়নি না অনুষ্ঠান। তবে এই পরবের গরিমা বাড়াতে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষবর্ধন,রবিশঙ্কর প্রসাদ,স্মৃতি ইরানি,প্রকাশ জাভড়েকর,রাজনাথ সিং সহ আরো অনেকে। এছাড়াও ১৫০ জন মহিলা অতিথিকে আনা হয়েছিলো যাঁদের ভিতর বেশিরভাগই ছিলেন সমাজকর্মী,ডিভোর্সী, এমনকি হাউজমেকারও। এঁদের পাশাপাশি হাজির ছিলেন তালাক আইনের পক্ষে থাকা বিভিন্ন মহিলা সংগঠনের মুখপাত্ররা।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

অন্যদিকে,কংগ্রেসের তরফ থেকেও ইফতারের আয়োজন করা হয়েছিলো ইফতার উপলক্ষে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা প্রনব মুখোপাধ্যায় সহ সিপিএম,তৃণমূল, জেডিইউ,আরজেভি,জেএমএম সহ উপস্থিত ছিলেন বিরোধীদলের বাঘা বাঘা ব্যক্তিত্বরা। আর অবশ্যই হাজির ছিলেন বিজেপি বিরোধী জোট গড়ার মুখপাত্র তথা জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী। এদিন তিনি হাল্কা মেজাজে বৈঠকি চালে মহাজোট করার কথা বলেন,এমনটাই জানা যাচ্ছে।

উল্লেখ্য,এরপর থেকেই নাকি বিজেপিশিবিরে ইফতার পার্টির আয়োজন করা নিয়ে হইচই শুরু হয়। আয়োজন করতে চাঞ্চল্য দেখান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নকভি। তারপর থেকেই জাতীয় রাজনৈতিক স্তরে গুঞ্জন শোনা যায়, তবে কি কংগ্রেসী নেতাদের অনুকরণ করেই বিজেপিও একই পথে হাঁটছে? যদিও এই জল্পনার মুখ বন্ধ করতে প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে দেখা যায়নি বিজেপি নেতৃত্বকে। তবে মোদীজি বা অমিত শাহকে দেখা যায়নি এই বিজেপি আয়োজিত ইফতার পার্টিতে। তাই ইফতার পার্টিকে তাঁরা মেনে নিলেন কিনা তা নিয়েও দলীয় অন্দরে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!